উত্তরা ইউনিভার্সিটি বর্তমান সমাজের সামাজিক ও অর্থনৈতিক শ্রেণি পরিবর্তনের সুতিকাগার : শিক্ষামন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৮:২৫,অপরাহ্ন ৩০ অক্টোবর ২০১৮ | সংবাদটি ১০৬৪ বার পঠিত
উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২০১৮ অনুষ্ঠিত
“উত্তরা ইউনিভার্সিটি প্রমান করেছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল শিক্ষা অর্জনেরই প্রাণকেন্দ্র নয়, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামাজিক ও অর্থনৈতিক শ্রেণি পরিবর্তনেরও সুতিকাগার। কেবলমাত্র এধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ই পারে দ্রুততম সময়ে একজন শিক্ষার্থীকে নিজ যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে শ্রেণি পরিবর্তনের সুযোগ করে দিতে। উত্তরা ইউনিভার্সিটি নিরলসভাবে এই সেবাটিই প্রদান করে যাচ্ছে জন্মলগ্ন থেকে।”
আজ ৩০ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার বিকেল ০৩:৩০ মিনিটে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২০১৮ এর সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ, এমপি একথা বলেন। উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২০১৮ বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার- ৪ (নবরাত্রি হল) এ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব আবদুল মান্নান। উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২০১৮ এ শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আজিজুর রহমান এবং সমাবর্তনে উপস্থিত সকল অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য প্রদান করেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য প্রদান করেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার কাজী মহিউদ্দিন।
শিক্ষা মন্ত্রী আরো বলেন, “রাষ্ট্রের প্রয়োজনেই আমরা দক্ষ জনশক্তি নির্মাণ করতে চাই। কিন্তু এই দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা। উত্তরা ইউনিভার্সিটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন, গবেষণা সেল প্রতিষ্ঠা, নিয়মিত গবেষণা পত্রিকা প্রকাশ এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে গবেষণার প্রতি তার আগ্রহ ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার প্রমাণ দিয়েছে। আমি এ জন্য উত্তরা ইউনিভার্সিটিকে অভিনন্দন জানাই এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটি নতুন ধরনের জ্ঞান উৎপাদনের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করছি।
সমাবর্তন বক্তার ভাষনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, “ সমাবর্তন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। কারণ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একজন শিক্ষার্থীর জীবনে এরূপ
আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবন ও আত্মবিশ্বাস অর্জনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, এটি হলো শিক্ষার্থীর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এই কর্মজীবনে প্রবেশ ও এতে সফল হওয়ার প্রয়োজনীয় শিক্ষা, দক্ষতা ও আগ্রহ সৃষ্টিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে আমার বিশ্বাস। ফলে এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী শুধু যে নিজের কর্মজীবনে সফল হওয়ার জন্যে সচেষ্ট হবে তাই নয়; তারা দেশ ও সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার প্রত্যাশা। এই শুভক্ষণে গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি গৌরব বোধ করছি।”
শুভেচ্ছা বক্তব্যে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম আজিজুর রহমান বলেন, “শিক্ষিত ব্যক্তিরা একটি দেশের জন্য মূল্যবান সম্পদ এবং এ সম্পদ তৈরির জন্যে সুশিক্ষার বিকল্প নেই। এই বিষয়টি সামনে রেখে উত্তরা ইউনিভার্সিটি মানসম্মত শিক্ষাদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকদের শিক্ষাদান পদ্ধতি, সহকর্মীদের বিভিন্নমুখী প্রচেষ্টা ও সরকারের বিভিন্ন মহলের আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই উত্তরা ইউনিভার্সিটি গুণগত মানের শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাপনী ডিগ্রি প্রাপ্তির এ স্মরনীয় দিনে আমি তোমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। তোমরা আমাদের তথা দেশের জন্যে অমূল্য সম্পদ। দেশ গঠনে তোমাদের ভূমিকা হতে হবে অনন্য। তোমরা যে জ্ঞান অর্জন করেছ তা দেশের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণে ব্যয় করবে।”
শুভেচ্ছা বক্তব্যে উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা বলেন, “উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলের উপস্থিতির জন্যে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সফলতাই উত্তরা ইউনিভার্সিটির সফলতা ও দেশের সফলতা। একবিংশ শতাব্দীর সকল চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। সংকল্পে অটল থেকে সব বাধা বিঘেœর সাথে লড়াই করে কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্যের মধ্যে দিয়ে সাফল্য লাভ করতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যে নিরন্তন, নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টাই হবে তোমাদের মূলমন্ত্র। তোমরা প্রত্যেকেই সত্যকে চিত্তে ধারণ করে আলোকিত মানুষ হও। তোমাদের জন্যে এ আমরা শুভাশীষ।”
উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২০১৮ তে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য, বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্যবৃন্দ এবং সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যগণ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা সহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
বিকেল ৫ টায় ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আজিজুর রহমান এর সমাপনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২০১৮ এর সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।