বিএনপির হামলায় এডিসিসহ পুলিশের ১৩ সদস্য আহত
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৩৫:০৮,অপরাহ্ন ১৪ নভেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ২৭৬ বার পঠিত
নিউজ ডেস্ক:: জাতীয় নির্বাচনে ইস্যু তৈরি করতেই বিএনপি নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।বুধবার(১৪ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর বিকেল ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে, এ হামলায় মতিঝিল জোনের এডিসিসহ পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বিনা উস্কানিতে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে, এ ঘটনার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দুপুর পৌনে ১টা। পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে হঠাৎই সংঘর্ষ, টিয়ারসেল নিক্ষেপ শুরু হয়। ব্যাপক সংঘর্ষে পুরো নয়াপল্টন এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে নেতাকর্মীরা।
বেশ কিছু গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় পুলিশের কয়েকটি গাড়িতে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এসময় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বন্ধ হয়ে যায় দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে মাথায় হেলমেট পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নেতাকর্মীদের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে গত দুই দিন তারা নয়াপল্টনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য আসলেও আজ এ হঠাৎই সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষ কেন বাঁধল এমন প্রশ্নে নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সরকারের সন্ত্রাস বাহিনী লোকজন ঢুকে পড়ে এবং পুলিশের ওপর বোতল নিক্ষেপ করে। সেই বোতল নিক্ষেপ কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ বাঁধে। তারা ষড়যন্ত্র করে সম্পূর্ণভাবে এটি ঘটানো হয়েছে। আপনারা গত দুই দিন ধরে দেখেছেন, এখানে কোনো সংঘর্ষ ঘটে নেই।’
পুলিশের দাবি, বিনা উস্কানিতকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি কেন্দ্র করে সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীরা ভিড় করছিলেন। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পুলিশ সড়ক খালি করার চেষ্টা করছিল। এ থেকেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত।