গাঁজা চাষে জনবল খুঁজছে কানাডা
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:২১:৩৪,অপরাহ্ন ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ২৮৩ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: কানাডায় প্রায় ৯৫ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর গাঁজা খাওয়াকে বৈধ ঘোষণা জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এর পরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্রিনহাউস প্রক্রিয়ায় শুরু হয় গাঁজা চাষ। তবে ইতিমধ্যেই চাষের জন্য উপযুক্ত কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে দেশটিতে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির লাইসেন্সপ্রাপ্ত সবচেয়ে বড় কোম্পানি ক্যানোপি গ্রোথ করপোরেশনের এক হাজার ২০০টি পদ খালি পড়ে রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, কানাডার গাঁজা চাষ করা প্রথম আটটি বড় কোম্পানি প্রায় এক হাজার ৭০০ কর্মীকে নিয়োগ করবে।
দেশটির একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জানিয়েছে, গাঁজা চাষ বৈধ হওয়ায় আগামী দিনে গাঁজা নিয়ে গবেষণা, নিষ্কাশন ও এ ধরনের দ্রব্য তৈরির জন্য প্রচুর লোক নিয়োগ করতে হবে। এ শিল্পের বিস্তার আগামী এক বছরে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করবে।
গত পাঁচ বছর ধরে কানাডায় গাঁজা চাষ জনপ্রিয় হয়েছে। বৈধ ঘোষণা করার পর থেকে চাষে গতি বেড়েছে আরও কয়েকগুণ। কিন্তু দক্ষ কর্মীর অভাবে কিছুটা হলেও ধাক্কা খাচ্ছে এই খাত। পাশাপাশি গ্রিন হাউসের প্রচণ্ড গরম কর্মীদের টিকে থাকার পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপর কোম্পানি আফরিয়া ইনকর্পোরেটেড গ্রিনহাউসে গাঁজা চাষের জন্য ৫০ জন কর্মীকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পরই আট জন কর্মী কাজ ছেড়ে চলে যান। যথেষ্ট কর্মী না থাকায় ওই কোম্পানি প্রায় ১৪ হাজার গাঁজা গাছ নষ্ট করতে বাধ্য হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে।
ওই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ন্যুফেল্ড বলেছেন, ‘গরমকালে যখন গরম ও আর্দ্রতা চরমে থাকে তখন গ্রিন হাউসের মধ্যে কাজ করা খুবই কষ্টকর। ঠাণ্ডা হাওয়া চালিয়ে আমরা গরম কম করার চেষ্টা করি। কিন্তু জুলাই-আগস্টে পরিস্থিতি খুবই কষ্টকর।’
২০০১ সাল থেকে কানাডায় চিকিৎসার জন্য গাঁজা ব্যবহার করা বৈধ। জাস্টিন ট্রুডো সরকার দুই বছর কাজ করে প্রকাশ্যে গাঁজা বৈধ করার ঘোষণা দিয়েছে।পরিসংখান মতে, ২০১৮ সালে ৫.৪ মিলিয়ন কানাডিয়ান বৈধ ডিসপেনসারি থেকে গাঁজা কিনবে, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ। অবশ্য দেশটির ৪.৯ মিলিয়ন মানুষ ধূমপান করে।