সিনেমার সুদর্শন গর্ধব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গরুর রচনাকারী শিক্ষকদের দলের জন্য চামচামী
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৪:৩৮,অপরাহ্ন ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ৫৩১৬ বার পঠিত
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
ফয়সল ভাই যে হারে মনোয়ন বাতিল হচ্ছে শেষ পর্যন্ত কি নির্বাচন হবে? আওয়ামীলীগ কি শুরু করেছে? একটু লিখুন, প্রতিবাদ করুন। এ আমার এক পাঠকের আহাজারী। বলেছি ভাই নির্বাচন করবেন ঋণ পরিশোধ করবেননা। নির্বাচন করবেন আপনি টেলিফোনের বিল দিবেননা, তাতো হয়না। নির্বাচনে প্রাথী হলে আপনাকে সব কিছু পরিস্কার রাখতে হবে। লন্ডনে যারা নির্বাচন করেন তাদের সব কিছুই ক্লিন থাকতে হয়। পাঠক বললেন, শুধুই কি বিএনপি এবং ঐক্যফন্টের প্রার্থীদের বেলায়ই এটা ঘটছে? আওয়ামীলীগে ঋণ খেলাপি নেই? সালমান এফ রহমান সাহেবের নাকি বাড়ি গাড়ি কিছুই নেই। যদি না থাকে তাহলে তিনি এত বিশাল সম্পত্তির মালিক হন কি করে? সৈয়দ আশরাফ সাহেবের মনোয়নপত্রে কে স্বাক্ষর করলো? ফেরেশতা না শয়তান? আমি পাঠকের এ বক্তব্যে কিছুটা হলেও ধাক্কা খাই। কারণ আমি জানি দীর্ঘদিন থেকে আশরাফ সাহেব অসুস্থ। তিনি থাইল্যান্ডে সম্ভবত চিকিৎসা নিচ্ছেন। পাঠককে জিজ্ঞাস করলাম আপনি কি শিউর যে আশরাফ সাহেবের মনোয়নপত্রে তিনি স্বাক্ষর করেননি? বললেন মোর দেন হান্ড্রেড পার্সেন্ট শিউর।
প্রিয় পাঠক, আমি বেশ কদিন থেকে লক্ষ্য করছি গণহারে মনোয়নপত্র বাতিল হচ্ছে। আওয়ামী সরকার তাহলে ভালোই হোম ওয়ার্ক করেছে, যে সব এলাকায় বিরোধী পক্ষ জনপ্রিয় এবং ষ্ট্রং তাদেরকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য অনেক কৌশল তারা করেছে এবং আরো করবে। ইভিএমের ব্যাপারটি আমাকে বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। বৃটেনের মত দেশে এখনো ইভিএম ব্যবহার করা হয়না, আর তো বাংলাদেশ? যে নির্বাচন কমিশনার তিনি কি ইভিএম ব্যবহার করতে পারেন আমার সন্দেহ আছে? এত টাকা খরচ করে ইভিএম কেন কেনা হলো? কে বলেছে ট্যাক্স পেয়ারদের পয়সা দিয়ে ইভিএম কিনতে? ডিজিটাল বাংলাদেশের এটা কি আরেকটা নমুনা? সেদিন কে একজন বললেন স্যাটেলাইটে যে বঙ্গবন্ধুকে পাঠানো হয়েছিল সেটা নাকি এখন খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তাহলে স্যাটেলাইট গেল কোথায়? তারানা হালিমের মনোয়ন কি স্যাটেলাইটের সাথে জড়িত? কে জানে? আমি যতটুকু শুনেছি তারানা হালিম নাকি টাকা পয়সার দিক দিয়ে সৎ একজন মহিলা। অন্য ব্যাক্তিগত বিষয় যাই থাক আমি সেদিকে যেতে চাইনা। কারো ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা না ভালোই বলা। আমি জানিনা স্যাটেলাইটের কি হয়েছে? তিন হাজার কোটি টাকার ভবিষ্যৎ কি ? তা জয় মামা বলতে পারবেন। কারণ জয় মামা স্যাটেলাইট বুঝেন ভালো। আমি বাংলাদেশের স্যাটেলাইট বুঝিনা। তবে লন্ডনের স্যাটেলাইট ভালো বুঝি কারণ আমি ১০/১২ বছর টেলিভিশন লন্ডনে চালাতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে স্যাটেলাইট বুঝতে পেরেছি। তবে তিনহাজার কোটি টাকা যদি এই স্যাটেলাইটে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বলতে হবে সিলেটি ভাষায়, ”পাইয়া পরের ধন আর বাপে ফুতে কীর্তন” করো যা মনে লয় তাই করো।
নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কি-না? আমি বলতে পারবোনা, তবে নির্বাচন হওয়া উচিৎ। শেষ পর্যন্ত বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনের মাঠে থাকতে হবে। ডঃ কামাল হোসেন সাহেব যে বলেছেন, সারা বছর আন্দোলন করে লাভ নেই, মাত্র একটি দিন আপনাকে ভোটের কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। এটাই জরুরী, ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দিলে মারামারি লাগবেই। সরকারের প্রশাসন গুলি চালাবেই, তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ আওয়ামীলীগ মরণ কামড় দিবেই। সব কিছু প্রতিহত করার মানসিকতা থাকতে হবে। যে কোনো সময় যে কোনো কিছু ঘটে যেতে পারে। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গরুর রচনাকারী শিক্ষকের বক্তব্য ফেইসবুকে শুনছিলাম, তিনি সরকারের পক্ষে সাফাই গাইছিলেন। মনে হয়েছে তাকে …দুটি … দিতে। আরেক সিনেমার সুদর্শন গর্ধব নতুন ভোটারদের উৎসাহিত করে বক্তৃতা দিচ্ছিল, আমার মন বলছিল তাকে যদি কেউ ঐ অনুষ্টান থেকে গাড় ধরে বের করে দিত, তাহলে আর কেউ খুশী হউক না হোক অন্তত আমি খুশী হতাম। তার বক্তৃতায় কোনো যুক্তি ছিলনা। যুক্তি কি? যদি নতুন সরকার আসে,তবে তাদের নিজেদের গোছাতে ২০ বছর সময় লাগবে।
সে যাক, অনেকেই বলেন ঐক্যফ্রন্ট নাকি স্বাধীনতার বিরোধী। সুলতান মনসুর নাকি বলেছেন, দেশে রাজাকার অথবা স্বাধীনতার বিরোধী নেই। এটা নিয়ে চেতনার যারা ব্যাবসায়ি তারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। রাজাকারদের বিচার হয়ে গেছে। যুদ্ধাপরাধী যারা তাদের কি বিচার করেনি? আওয়ামী সরকার? করেছে, যারা বাকী তাদের ও বিচার হবে বা করা হউক। এখানে সব কিছুতেই চেতনার ব্যবসা বন্ধ করা হউক। হুমায়ুন আহমদের একটি নাটক দেখেছিলাম বহুব্রীহি, সেখানে অভিনয় করতে গিয়ে বলেছিল-তুই রাজাকার। আর বলেছিল, লেবু বেশী চিপলে থিথা বের হয়, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এই চেতনার ব্যবসা বন্ধ হয়নি। আরেক ব্যবসা এখনো বিদ্যমান। বঙ্গবন্ধু নাকি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, এটা সম্প্রতি বলেছেন, আরেক সিনেমার গর্ধব। বঙ্গবন্ধু যদি শ্রেষ্ঠ বাঙালী হন তাহলে ওসমানী কি? তাজ উদ্দিন কি? মুক্তিযুদ্ধে যাদের অবদান রয়েছে তারা সবাই শ্রেষ্ঠ বাঙালী। এখানে কোনো বিতর্ক নেই, বিতর্ক থাকতে পারেনা। আসলে যারা এখন বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু বলে চিৎকার করে তাদের ধান্দা আছে। মনে করে যত বেশী বঙ্গবন্ধুর কথা বলবো তত বেশী শেখ হাসিনা খুশী হবেন এবং একটি পদ পাবো। আজকের এই লেখা লিখতে বসে মনে পড়ছে ১৯৯৩/৯৪ সালের কথা। আমি তখন লন্ডনে নতুন। বছর চারেক ধরে লন্ডনে বসবাস করি। আগে কেউ লন্ডনে আসলে বিশেষ করে লেখক, কবি, সাংবাদিক টাইপের কেউ হলে আব্দুল গাফফার চৌধুরী সাহেবের দর্শন বা পদধুলি নিতে কার্পন্য করতোনা। আমি লন্ডনে আসার সময়ও আমার বেশ কিছু বন্ধু বান্ধব আমাকে বলেছিলেন, গাফফার ভাইর সাথে দেখা করতে। আমি লন্ডনে আসার পর গাফফার ভাইর সাথে দেখা করার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। এ রকম করে চার বছর অতিবাহিত হয়ে গেল। এর মধ্যে গাফফার ভাইর সাথে দু একবার দেখা হয়েছে, কথা হয়নি। তবে বঙ্গবন্ধুর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারী আমিনুল হক বাদশাহ ভাইর সাথে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, সম্পর্কও অনেক ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। বাদশাহ ভাই স্নেহ করতেন ভালোবাসতেন। তখন এতো লেখক ছিলনা, এখন যত লেখক সাংবাদিক লন্ডনে হয়েছে। আওয়ামীলীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে যারা লিখতেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গাফফার ভাই আর বাদশাহ ভাই। দিনের পর দিন বাদশাহ ভাই লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নতুন দিনে কলাম লিখতেন, হেডিং ছিল “২০ বছর ভিঁজিয়ে রেখেছি দুনয়নের জলে” সেখানে শুধুই বঙ্গবন্ধুর কথা লিখতেন বাদশাহ ভাই। আমার তখন বয়স কম। সারাক্ষণ এক কথা পড়তে ভালো লাগেনা। একদিন বাদশাহ ভাইকে বলেছিলাম বাদশাহ ভাই আপনার কি আর কোনো ইস্যু চোখে পড়েনা? আপনি যে সারাক্ষণ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেন? বাদশাহ ভাই ধমক দিয়ে বলেছিলেন, বেটা বঙ্গবন্ধুকে চিনস? বাদশাহ ভাইর ধারণা ছিল আমি বঙ্গবন্ধুকে চিনিনা জানিনা।
৯০ এর দশকে লন্ডনে বাঙালীদের মধ্যে সিলেটি নন সিলেটি সমস্যা ছিল। যারা ঢাকা থেকে বড় হয়ে লন্ডনে এসেছে তাদের ধারণা ছিল সিলেট থেকে যারা এসেছে তারা কিছুই বুঝেনা, তারা ক্ষেত। আর ঢাকা অথবা দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে যারা এসেছেন তারা নিজেকে শিয়াল পন্ডিত ভাবতেন। এখনো অনেকেই তাই ভাবে। বাদশাহ ভাইকে বলেছিলাম বাদশাহ ভাই বঙ্গবন্ধু, তাইন কে? বাদশাহ ভাই অনেকক্ষণ আমাকে বুঝালেন। আমি বুঝলাম। পরের সপ্তাহে নতুন দিনের কার্যনির্বাহি সম্পাদকের সাথে দেখা, যিনি আজকের লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও জনমতের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাশ পাশা। নাহাশ ভাইকে বলেছিলাম, নাহাশ ভাই একটা লেখা দিব ছাপবেন? নাহাশ ভাই বলেছিলেন, ছাপার যোগ্যতা থাকলে ছাপা যাবে। আমি তখন টুকটাক কলাম লিখতাম সুরমায়। সুরমার সম্পাদক ছিলেন বাসন ভাই, নজরুল ইসলাম বাসন। নাহাশ ভাই জিজ্ঞাস করলেন, কি বিষয়ে লেখা? বলেছিলাম বাদশাহ ভাই আর গাফফার ভাইর বঙ্গবন্ধু বিষয়ক লেখা পড়তে পড়তে আমি ক্লান্ত, তাদেরকে অনুরোধ করতে চাই প্রতি সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক লেখা না লিখে নতুন নতুন লেখা পাঠকদের উপহার দিতে। নাহাশ ভাই বলেছিলেন, আচ্ছা দাও। কিন্তু উনারা তো নতুন দিনে লিখেন, বলেছিলাম বেশী কিছু লিখবনা। নরম করেই লিখবো। যথারীতি লিখলাম। অনেক কিছুই লিখেছিলাম, যা মনে পড়ছে তা ছিল এ রকম ” জন মেজরের প্রাইভেট ইয়েস্টারডেতে হয়তো বা নরমা মেজর বেঁচে থাকতে পারেন বৃটিশ জাতীর বাঁচা চলেনা। (জন মেজর তৎকালীন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী) জীবন অতীতে বাঁচেনা, অতীত জীবনে বাঁচে এসব কথা গুলো আমিনুল হক বাদশাহ, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, আব্দুল মতিন সাহেবদের মত আওয়ামীপন্থী লেখক সাংবাদিকদের কে বুঝাবে? দিন নেই রাত, নেই শুধু বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু, গাফফার ভাই লিখতেন বঙ্গবন্ধু তাকে কলম দিয়েছিলেন, বাকশাল গঠনের সময় তার পরামর্শ নিয়েছিলেন, আলজেরিয়ায় গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সাথে, তাদের তিনজন যথাক্রমে এবিএম মুসা, এম আর আখতার মকুল, ও গাফফার চৌধুরী তিনজনকে বঙ্গবন্ধু স্নেহ করে ডাকতেন, আপদ বিপদ আর মুসিবত ইত্যাদি। আমি লেখা শেষ করেছিলাম এভাবে আমি লিখেছিলাম ”আসলে গল্প গল্প থাকলেই ভালো হয় গল্পকে অগল্পে টেনে আনলে ওটা রুপ কথা হয়ে দাঁড়ায়” নাহাশ ভাই লেখা ছেপেছিলেন, তবে মতামতের পাতায়। লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর আমি একদিন নতুন দিনের অফিসে গিয়েছিলাম গিয়ে দেখি গাফফার ভাই, বাদশাহ ভাই আরো কয়েকজন বসে আড্ডা দিচ্ছেন। বাদশাহ ভাই গাফফার ভাইকে বলেছিলেন, ওকে চিনতে পেরেছেন? গাফফার ভাই বলেছিলেন ও-তো-বাংলাদেশ মেলা করে। আমরা তখন লন্ডনে বাংলাদেশ মেলা নামে একটি মেলা করতাম। মোল্লারা বলতো, মেলার নামে নাফরমানী কাজ করে বেটি নাচাই, বাদশাহ ভাই বলেছিলেন না ও-আমার আপনার বিরুদ্ধে লিখেছে। গাফফার ভাই আমার দিকে একটু ভালোভাবে তাকালেন, মাথা নাড়লেন। কোনো কথা বলেননি। বাদশাহ ভাই বলেছিলেন আর লিখবিনা, গাফফার ভাই মাইন্ড করেছেন। আমি মনে মনে বলেছিলাম, আমি কি গাফফার ভাইর খাই না পড়ি? মাইন্ড করলেই কি না করলেই কি, আমার কিছুই যায় আসেনা। পরবর্তীতে গাফফার ভাই মাইন্ড করেছিলেন কি-না জানিনা, তবে এক সময় সম্পর্ক ভালোই হয়ে গিয়েছিল। তবে বাদশাহ ভাই দেখলেই বলতেন তুই কোনোভাবেই গাফফার ভাইর ব্যাপারে কিছুই লিখবেনা, গাফফার ভাই এখনো আমাদের বাতিঘর। আমি গাফফার ভাইকে শ্রদ্ধা করি ভালোবাসি, আমার ভালোই লাগে গাফফার ভাইকে। তবে গাফফার ভাই এক চোখা নীতি অবলম্বণ করে লিখেন। তিনি সব সময়ই আওয়ামীলীগের পক্ষে এবং বঙ্গবন্ধুর পক্ষে লিখেন। একজন লেখক সাংবাদিক কখনো কারো পক্ষে লিখতে পারেনা। সে লিখবে দেশের পক্ষে জাতীর পক্ষে। বিগত ২০০৭ এ বিএনপি সরকারের অন্যায় আচরণের কারণে যেমন ওয়ান ইলেভেন অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল ঠিক, তেমনি আজ আওয়ামী সরকারের অন্যায় আচরণের কারণে আরেকটি ডাবল ওয়ান ইলেভেন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কারণ আওয়ামী সরকারের নির্যাতন জেল জুলুম সব কিছুকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
শেষ কথা, আমার এক অগ্রজ সাংবাদিক বসবাস করেন আমেরিকায়। তিনি সাংবাদিক লেখক রাজনীতিবীদ। এক সময় তিনি বামধারার রাজনীতি করতেন। আমার এই অগ্রজের পিছনে হাজার হাজার ছেলে সমাজ পরিবর্তনের শ্লোগান দিয়েছে। আমার অনেক বন্ধু বান্ধব অগ্রজের পিছনে ঘুরতো। তারা সামান্তবাদ সাম্রাজ্যবাদ পুজিবাদ মুৎসুদ্দিবাদের বিরুদ্ধে জালাময়ী বক্তৃতা দিতেন কলেজ ক্যাম্পাসে। তাদের কথা উঠতি বয়সি তরুণ গোগ্রাসে গিলতো। তারা এমনভাব দেখাতেন কালই সমাজ পরিবতন হবে এবং পরশু রাষ্ট্র ক্ষমতায় তারা অধিষ্ঠিত হবেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য এক সময় দেখলেন সমাজ টমাজ পরিবর্তন হয়না। নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। পাড়ি জমিয়েছিলেন আমেরিকায়। তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার এই অগ্রজ এখনো সোচ্চার। তার ম্যাসেজটি ছিল নিম্নরুপ। আমি তার ম্যাসেজ পড়ে তাকে স্যালুট করেছি বলেছি কমরেড আপনাকে লাল সালাম, এখনো সবাই নষ্ট জলে ভেসে যায়নি। তিনি আমার গত লেখা সম্পর্কে ম্যাসেঞ্জারে লিখেছেন, চৌকস লেখা ফয়সল। আমি লিখতে পারিনা, আমার উপর অহি নাজেল হয়েছে আমি যেন রাজনীতি নিয়ে না লিখি। দ্রুত পড়লাম। মনের কথা। ফেসবুকেও দেখেছি। সেখানেও মন্তব্য করতে পারিনা কোনো রাজনৈতিক আলাপে। সাংবাদিক ছিলাম এখন অনুগত চাকরের সুখ।
আমি তাকে উত্তরে লিখেছি বড়ভাই আসসলামুআলাইকুম আপনারা যদি না লেখেন, কে লিখবে? ভয় করে লাভ হবেনা, শেষ বিচারের দিনে সবাইকে জবাব দিতে হবে।
প্রিয় পাঠক, আজ যারা নিজের অসৎ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বর্তমান সরকারের খুন গুমকে সমর্থন করছেন রোজ কিয়ামতের দিনে তাদেরকে জবাব দিতে হবে। কারণ সব কিছুরই হিসেব হবে।
লেখক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম
ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ
৮/১২/২০১৮ ইংরেজী লন্ডন