ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

অভিবাসীদের প্রাণহানিতে বান কি-মুনের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার,
794
সম্প্রতি গত কয়েকদিনে ভূমধ্যসাগর পথে ইউরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের বোটডুবিতে প্রাণহানির ঘটনাসমূহ প্রতিহত করতে আরও পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন অভিবাসীদের প্রাণহানির ঘটনাসমূহে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ‘সংহতির এ সঙ্কট’ প্রতিহত করতে সমষ্টিগত রাজনৈতিক সাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহকে অভিবাসনের নিরাপদ ও বৈধ চ্যানেলগুলো প্রসারিত করা তথা বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন। প্রাণহানির ঘটনাসমূহ তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন ও তার হৃদয় ভেঙে গেছে বলে মন্তব্য করেন বান কি-মুন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। একই সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার লিবীয় উপকূলে দুটি বোটডুবির ঘটনায় ৮ বাংলাদেশীসহ প্রায় ২০০ জন প্রাণ হারান। এর আগে ভিয়েনায় একটি ৭১ অভিবাসীর মৃতদেহসহ একটি লরি উদ্ধার করা হয়। হতভাগ্যদের সবাই সিরিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, দুরূহ ও বিপজ্জনক যাত্রাপথে সমুদ্রে পাড়ি দেয়া এসব শরণার্থীদের অধিকাংশই সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের নাগরিক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংঘাত এবং অন্যান্য সমস্যা ও সঙ্কট যার কারণে মানুষের সামনে পালানো ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা থাকে না, সেগুলো নিরসনে আরও বেশি দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহকে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে দেশে ফেরার পর নিপীড়নের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকলে, অভিবাসন প্রত্যাশী বা আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য না করার আহ্বান জানিয়েছেন। মুন বলেন, এটা শুধু আন্তর্জাতিক আইনের বিষয় নয়। মানুষ হিসেবেও এটা আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন, এটা সংহতির সঙ্কট, সংখ্যার নয়। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পথে উরোপে পাড়ি দেয়ার সময় আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের মৃতের সংখ্যা ওই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

অভিবাসীদের প্রাণহানিতে বান কি-মুনের আহ্বান

আপডেট সময় : ০৮:২০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৫

স্টাফ রিপোর্টার,
794
সম্প্রতি গত কয়েকদিনে ভূমধ্যসাগর পথে ইউরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের বোটডুবিতে প্রাণহানির ঘটনাসমূহ প্রতিহত করতে আরও পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন অভিবাসীদের প্রাণহানির ঘটনাসমূহে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ‘সংহতির এ সঙ্কট’ প্রতিহত করতে সমষ্টিগত রাজনৈতিক সাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহকে অভিবাসনের নিরাপদ ও বৈধ চ্যানেলগুলো প্রসারিত করা তথা বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন। প্রাণহানির ঘটনাসমূহ তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন ও তার হৃদয় ভেঙে গেছে বলে মন্তব্য করেন বান কি-মুন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। একই সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার লিবীয় উপকূলে দুটি বোটডুবির ঘটনায় ৮ বাংলাদেশীসহ প্রায় ২০০ জন প্রাণ হারান। এর আগে ভিয়েনায় একটি ৭১ অভিবাসীর মৃতদেহসহ একটি লরি উদ্ধার করা হয়। হতভাগ্যদের সবাই সিরিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, দুরূহ ও বিপজ্জনক যাত্রাপথে সমুদ্রে পাড়ি দেয়া এসব শরণার্থীদের অধিকাংশই সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের নাগরিক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংঘাত এবং অন্যান্য সমস্যা ও সঙ্কট যার কারণে মানুষের সামনে পালানো ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা থাকে না, সেগুলো নিরসনে আরও বেশি দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহকে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে দেশে ফেরার পর নিপীড়নের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকলে, অভিবাসন প্রত্যাশী বা আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য না করার আহ্বান জানিয়েছেন। মুন বলেন, এটা শুধু আন্তর্জাতিক আইনের বিষয় নয়। মানুষ হিসেবেও এটা আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন, এটা সংহতির সঙ্কট, সংখ্যার নয়। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পথে উরোপে পাড়ি দেয়ার সময় আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের মৃতের সংখ্যা ওই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।