ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

আওয়ামী লীগ-বিএনপির পুনর্জাগরণ হলেই অবনতিশীল পরিস্থিতি বন্ধ হবে

বিদেশী হত্যা বাংলাদেশে সঙ্কট ঘনীভূত হওয়ার সাক্ষ্য বহন করে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পুনর্জাগরণ হলেই কেবল এ রকম অবনতিশীল প্রবণতা বন্ধ হবে। এ কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান। বার্তা সংস্থা রয়টার্স তার সাক্ষাতকারমুলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি লিখেছেন সিরাজুল ইসলাম কাদির। এতে বলা হয়েছে, বিদেশী দুই নাগরিক হত্যা নিয়ে সোমবার বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেছেন যে, দেশে আইন শৃংখলা ভেঙে পড়েছেÑ এটা তাই প্রমাণ করে। যদি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান অচলাবস্থার সমাধান না হয় তাহলে এ অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে টানা দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করার পর থেকেই বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহিংস প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তখন জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টিতে ওই নির্বাচন ছিল ত্রুটিপূর্ণ। একই সঙ্গে ইসলামপন্থি গ্রুপগুলো উচ্চ মাত্রার আক্রমণ শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে। এ বছরের শুরুতে চার ব্লগারকে হত্যা করেছে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা। গত এক সপ্তাহে এক ইতালিয়ান ও এক জাপানিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস। তারা এখানেই থেমে থাকে নি। আরও হামলার হুমকি দিয়েছে। এক সাক্ষাতকারে বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশে প্রধান দুটি বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে যতক্ষণ রাজনৈতিক কোন পুনর্জাগরণ না ঘটবে ততদিন এমন অবনতিশীল প্রবণতা চলতে থাকবে। তিনি আরও বলেছেন, দু’দলের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস সেই চেষ্টা চালানোর পর তারা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, কোন সমঝোতায় যেতে অস্বীকৃতি জানায় আওয়ামী লীগ। ওদিকে রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য বিরোধীদের দায়ী করেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। তিনি সমঝোতার প্রসঙ্গ প্রত্যাখ্যান করেন। হানিফ বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু তাতে অংশগ্রহণ করে নি বিএনপি। এটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে জাতিসংঘ। রাজনৈতিক অচলাবস্থার শেষ দিকে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনারের সমন্বয়ে ১৮ জন কূটনীতিকের একটি আলাদা গ্রুপ। অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার গ্রেগ উইলকক বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক যে মতপার্থক্য আছে তার সমাধান হতে হবে স্থানীয়ভাবে। তিনি বলেন, আমরা এ নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমুলকভাবে সেই চেষ্টা করছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

আওয়ামী লীগ-বিএনপির পুনর্জাগরণ হলেই অবনতিশীল পরিস্থিতি বন্ধ হবে

আপডেট সময় : ১২:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০১৫

বিদেশী হত্যা বাংলাদেশে সঙ্কট ঘনীভূত হওয়ার সাক্ষ্য বহন করে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পুনর্জাগরণ হলেই কেবল এ রকম অবনতিশীল প্রবণতা বন্ধ হবে। এ কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান। বার্তা সংস্থা রয়টার্স তার সাক্ষাতকারমুলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি লিখেছেন সিরাজুল ইসলাম কাদির। এতে বলা হয়েছে, বিদেশী দুই নাগরিক হত্যা নিয়ে সোমবার বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেছেন যে, দেশে আইন শৃংখলা ভেঙে পড়েছেÑ এটা তাই প্রমাণ করে। যদি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান অচলাবস্থার সমাধান না হয় তাহলে এ অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে টানা দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করার পর থেকেই বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহিংস প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তখন জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টিতে ওই নির্বাচন ছিল ত্রুটিপূর্ণ। একই সঙ্গে ইসলামপন্থি গ্রুপগুলো উচ্চ মাত্রার আক্রমণ শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে। এ বছরের শুরুতে চার ব্লগারকে হত্যা করেছে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা। গত এক সপ্তাহে এক ইতালিয়ান ও এক জাপানিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস। তারা এখানেই থেমে থাকে নি। আরও হামলার হুমকি দিয়েছে। এক সাক্ষাতকারে বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশে প্রধান দুটি বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে যতক্ষণ রাজনৈতিক কোন পুনর্জাগরণ না ঘটবে ততদিন এমন অবনতিশীল প্রবণতা চলতে থাকবে। তিনি আরও বলেছেন, দু’দলের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস সেই চেষ্টা চালানোর পর তারা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, কোন সমঝোতায় যেতে অস্বীকৃতি জানায় আওয়ামী লীগ। ওদিকে রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য বিরোধীদের দায়ী করেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। তিনি সমঝোতার প্রসঙ্গ প্রত্যাখ্যান করেন। হানিফ বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু তাতে অংশগ্রহণ করে নি বিএনপি। এটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে জাতিসংঘ। রাজনৈতিক অচলাবস্থার শেষ দিকে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনারের সমন্বয়ে ১৮ জন কূটনীতিকের একটি আলাদা গ্রুপ। অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার গ্রেগ উইলকক বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক যে মতপার্থক্য আছে তার সমাধান হতে হবে স্থানীয়ভাবে। তিনি বলেন, আমরা এ নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমুলকভাবে সেই চেষ্টা করছি।