চট্টগ্রাম: আদালতে ভাঙচুরের ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেন, “ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। চট্টগ্রামের আদালতে যে ঘটনা ঘটেছে তা আমি বিশ্বাস করি না। চট্টগ্রামে এসে পত্রিকায় সংবাদ পড়ে আমি দুঃখ পেয়েছি। আহত হয়েছি। আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামে নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনাদের (আইনজীবী) কাজ অপরাধীদের রক্ষা করা নয়। আপনাদের কাজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতির নির্দেশে তদন্ত কমিটি
মানবপাচার আইনের এক মামলায় গ্রেফতার আইনজীবী ও তার স্ত্রীর জামিন নিয়ে চট্টগ্রামের হাকিম আদালতের এজলাস ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ ও চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুসেইন মো. রেজা।
বৃস্পতিবার সকাল থেকেই কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এ তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে দাখিলের জন্য বলা হয়েছে বলে জানা যায়।
বুধবার চট্টগ্রাম আদালত ভবনে আইনজীবীর জামিন না হওয়ায় আইনজীবীদের এজলাস ভাঙচুর ও বিক্ষোভের পর মানবপাচার আইনের মামলার আসামি আইনজীবী ও তার স্ত্রীকে জামিন দেন আদালত। তারা হলেন- অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন (৪০) ও স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার (৩২)।
ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া তাদের জামিন নামঞ্জুর করলে বিক্ষোভে নামেন আইনজীবীরা। এ সময় বিচারকের এজলাস এবং খাস কামরার জানালায় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
এরপর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শুনানির পর মহানগর হাকিম মাসুদ পারভেজ তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।