ঢাকা: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম ও মানবতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে।
পুলিশ সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।আবদুল হামিদ বলেন, আন্তর্জাতিক পরিম-লেও আজ বাংলাদেশ পুলিশ সুপরিচিত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব বিশ্ববাসীর অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছে।
বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি বিভাগে নারী পুলিশের পদচারণা যেমন প্রতিষ্ঠানটিকে করেছে যুগোপযোগী, তেমনি দেশের নারী ও শিশুদের সেবা প্রদানে যুক্ত করেছে নতুন মাইলফলক।রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে প্রযুক্তিনির্ভর ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সেবার মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ জনপ্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তাসহ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ‘শৃঙ্খলা-নিরাপত্তা-প্রগতি’থ- এ মন্ত্রে দীক্ষিত দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্যগণ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আরও নিষ্ঠাবান ও আন্তরিক হবেন।’
বাণীতে আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের নির্ভীক পুলিশ সদস্যগণ। মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনাকারী বীর পুলিশ সদস্যদের, যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি পুলিশ সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ পরিবারের সকল সদস্যকে জানান আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং পুলিশ সপ্তাহের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।