ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

আর্টিকেল ৫০’র পক্ষে ভোট দেয়া অনৈতিক: টিউলিপ


লন্ডন: ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য ব্রিটিশ সংবিধানের ‘আর্টিকেল ৫০’র পক্ষে ভোট দেয়া নিজের জন্যই অনৈতিক অবস্থান হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ এমপি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী টিউলিপ সিদ্দিক।

গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কী কারণে ছায়ামন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে ‘আর্টিকেল ৫০’ এর পক্ষে ভোট দেবেন না তিনি।

মাত্র দুবছর আগে প্রথমবারের মত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন টিউলিপ সিদ্দিক। কিন্তু এই স্বল্প সময়ে দেশটির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে যে ভয়াবহ ঝড় বয়ে গেছে তা ছুঁয়ে গেছে তাকেও।

টিউলিপ গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি ব্রেক্সিটের পক্ষে ছিলাম না। আর সে কারণেই আমার মনে হয়েছে, এই ছায়া মন্ত্রীসভায় আমার থাকা উচিত নয়। কেননা, ছায়ামন্ত্রী সভাও ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, আমি একই কারণে ‘আর্টিকেল ৫০’র পক্ষে ভোট দেব না।

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছেন টিউলিপ।

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “ভয়ঙ্কর, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে প্রচুর বাজে মন্তব্য সহ্য করতে হয়। আমাকে ভুল বুঝবেন না, কিন্তু আমি মেঝো সন্তান এবং এ সবকিছু সহ্য করার মত শক্তি আমার মধ্যে আছে। কিন্তু তাদের আক্রমণের মূল বিষয় হল- আমি ব্রিটিশ নই।”

টিউলিপ বলেন, “আমি এখানে জন্মেছি। এখানের স্কুলেই আমি পড়েছি। আমার বাবা-মা দুজনই ব্রিটিশ নাগরিক। তারাও বিয়ে করেছে ব্রিটেনে। ক্রিস নামের একজনকে আমি বিয়ে করেছি। আমার মেয়ের নাম অজেলিয়া পার্সি। আমি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কাজ করি। কিন্তু শুধুমাত্র আমার নামের জন্য এবং আমার জাতিগত অতীতের পরিচয়ের কারণে আমি ব্রিটিশ নই!”

“আমি ‘আর্টিকেল ৫০’র বিপক্ষে ভোট দেবার কথা জানানোর কিছু সময় পরই একজন আমার অফিসে এসেছিল। সে বলেছিল, টিউলিপের আরো অনেক বেশি বিবেচনার মাধ্যমে কথা বলা উচিত। কারণ তোমরা জান জো কক্সের (ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করায় তাকে হত্যা করা হয়) কী অবস্থা হয়েছিল! সেও কিন্তু (ইইউ) ছেড়ে আসার পক্ষে ছিল না।”

এ সময় টিউলিপের সঙ্গে ট্রাম্পের তুলনা করে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদক বলেন, ট্রাম্পও তার সমর্থকদের দোহাই দিয়ে যেই কাজগুলো করছে, আপনিও একই ভাবে নিজের সমর্থকদের দোহাই দিয়ে ‘আর্টিকেল ৫০’র বিরোধিতা করছেন। এটা কি একই রকম নয়।

এমন প্রশ্নের উত্তরে টিউলিপ হেসে বলেন, “প্রথমবারের মতো আমাকে কেউ ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করল। তবে হ্যাঁ, আমি শিকার করছি ট্রাম্পের মতো সমর্থকদের ইচ্ছা অনুসারে যদি কেউ দেশের গণমানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করে তাহলে সেটা যেমন অনৈতিক, তেমনি এই দেশেও শুধু সমর্থকদের জন্য যদি কোনো এমপি ‘আর্টিকেল ৫০’র বিরোধিতা করে, সেটাও অনৈতিক হবে।

তিনি বলেন, আমার ক্ষেত্রে এটি হবে বড় পরিসরে ধোঁকা দেয়া। আমার জন্য এবং আমার প্রতিবেশী এমপি কেরি স্টারমারের জন্য এটি বেশ বিতর্কিত একটি বিষয়। কেননা এটি আমাদের নিজেদের অঞ্চলের মানুষকে ধোঁকা দেয়া হবে। একই কারণে আমরা ‘এইচএস২’ বিলের বিপক্ষে ছিলাম। বিষয়টি আগেও বহুবার নিশ্চিত করেছি। আমি আগে এমপি আমার এলাকার মানুষের জন্য এবং আমার এলাকার নাগরিকদের ইচ্ছাই আমার মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।”

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

আর্টিকেল ৫০’র পক্ষে ভোট দেয়া অনৈতিক: টিউলিপ

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৭


লন্ডন: ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য ব্রিটিশ সংবিধানের ‘আর্টিকেল ৫০’র পক্ষে ভোট দেয়া নিজের জন্যই অনৈতিক অবস্থান হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ এমপি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী টিউলিপ সিদ্দিক।

গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কী কারণে ছায়ামন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে ‘আর্টিকেল ৫০’ এর পক্ষে ভোট দেবেন না তিনি।

মাত্র দুবছর আগে প্রথমবারের মত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন টিউলিপ সিদ্দিক। কিন্তু এই স্বল্প সময়ে দেশটির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে যে ভয়াবহ ঝড় বয়ে গেছে তা ছুঁয়ে গেছে তাকেও।

টিউলিপ গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি ব্রেক্সিটের পক্ষে ছিলাম না। আর সে কারণেই আমার মনে হয়েছে, এই ছায়া মন্ত্রীসভায় আমার থাকা উচিত নয়। কেননা, ছায়ামন্ত্রী সভাও ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, আমি একই কারণে ‘আর্টিকেল ৫০’র পক্ষে ভোট দেব না।

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছেন টিউলিপ।

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “ভয়ঙ্কর, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে প্রচুর বাজে মন্তব্য সহ্য করতে হয়। আমাকে ভুল বুঝবেন না, কিন্তু আমি মেঝো সন্তান এবং এ সবকিছু সহ্য করার মত শক্তি আমার মধ্যে আছে। কিন্তু তাদের আক্রমণের মূল বিষয় হল- আমি ব্রিটিশ নই।”

টিউলিপ বলেন, “আমি এখানে জন্মেছি। এখানের স্কুলেই আমি পড়েছি। আমার বাবা-মা দুজনই ব্রিটিশ নাগরিক। তারাও বিয়ে করেছে ব্রিটেনে। ক্রিস নামের একজনকে আমি বিয়ে করেছি। আমার মেয়ের নাম অজেলিয়া পার্সি। আমি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কাজ করি। কিন্তু শুধুমাত্র আমার নামের জন্য এবং আমার জাতিগত অতীতের পরিচয়ের কারণে আমি ব্রিটিশ নই!”

“আমি ‘আর্টিকেল ৫০’র বিপক্ষে ভোট দেবার কথা জানানোর কিছু সময় পরই একজন আমার অফিসে এসেছিল। সে বলেছিল, টিউলিপের আরো অনেক বেশি বিবেচনার মাধ্যমে কথা বলা উচিত। কারণ তোমরা জান জো কক্সের (ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করায় তাকে হত্যা করা হয়) কী অবস্থা হয়েছিল! সেও কিন্তু (ইইউ) ছেড়ে আসার পক্ষে ছিল না।”

এ সময় টিউলিপের সঙ্গে ট্রাম্পের তুলনা করে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদক বলেন, ট্রাম্পও তার সমর্থকদের দোহাই দিয়ে যেই কাজগুলো করছে, আপনিও একই ভাবে নিজের সমর্থকদের দোহাই দিয়ে ‘আর্টিকেল ৫০’র বিরোধিতা করছেন। এটা কি একই রকম নয়।

এমন প্রশ্নের উত্তরে টিউলিপ হেসে বলেন, “প্রথমবারের মতো আমাকে কেউ ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করল। তবে হ্যাঁ, আমি শিকার করছি ট্রাম্পের মতো সমর্থকদের ইচ্ছা অনুসারে যদি কেউ দেশের গণমানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করে তাহলে সেটা যেমন অনৈতিক, তেমনি এই দেশেও শুধু সমর্থকদের জন্য যদি কোনো এমপি ‘আর্টিকেল ৫০’র বিরোধিতা করে, সেটাও অনৈতিক হবে।

তিনি বলেন, আমার ক্ষেত্রে এটি হবে বড় পরিসরে ধোঁকা দেয়া। আমার জন্য এবং আমার প্রতিবেশী এমপি কেরি স্টারমারের জন্য এটি বেশ বিতর্কিত একটি বিষয়। কেননা এটি আমাদের নিজেদের অঞ্চলের মানুষকে ধোঁকা দেয়া হবে। একই কারণে আমরা ‘এইচএস২’ বিলের বিপক্ষে ছিলাম। বিষয়টি আগেও বহুবার নিশ্চিত করেছি। আমি আগে এমপি আমার এলাকার মানুষের জন্য এবং আমার এলাকার নাগরিকদের ইচ্ছাই আমার মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।”