ঢাকা ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

আ’লীগ অর্জিত গণতন্ত্রকে ভূগর্ভে সমাহিত করেছে : খালেদা জিয়া


ঢাকা: চক্রান্তের চোরাগলি দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী জোট আবারও অর্জিত গণতন্ত্রকে ভূগর্ভে সমাহিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠার দিবসকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উল্লেখ করে তিনি এ বাণী দেন।

বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, অলীক স্বপ্নে আওয়ামী লীগ শুধু গণতন্ত্রই নয়-দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা কখনোই সভ্য রীতি-নীতি অনুসরণ করেনি। ফলে নব্য বাকশালী জগদ্দল পাথরকে অপসারণ করার লক্ষ্যে জনগণ আজ দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবারও কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চেপে বসা গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে পরাভূত করে রক্তস্নাত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, এদের (আওয়ামী লীগ) ঐতিহ্যই হচ্ছে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার বিপন্ন করা। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভরাডুবির বিপদ টের পেয়ে তারা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।

বিএনপি প্রধান বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীতে প্রধানমন্ত্রীকে একচেটিয়া ক্ষমতা দিয়ে গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করে তার ওপর একক কর্তৃত্ববাদী নির্দয় শাসনের ইমারত নির্মাণ করা হয়েছে। তাই এখন সর্বত্রই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দখলবাজদের জয়জয়কার ।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রণেতারা জনগণ, রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের শত্রুপক্ষ বলেও মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা, আশ্রয়, পেশা, ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু এখন নৈরাজ্যের করাল গ্রাসে নিপতিত।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার চিরস্থায়ী ক্ষমতার বন্দোবস্ত করতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করে। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে। এক প্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাশ করে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী মানুষের বাক, ব্যক্তি, চলাচল ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার হরণ করে। সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত ৪ টি প্রকাশনা চালু রাখার ফরমান জারি করে। এর ফলে চিরায়ত গণতন্ত্রের প্রাণশক্তিকেই তারা সেদিন নিঃশেষ করে দেয়। দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুন্ঠিত করে। সমাজে ভয়াবহ নৈরাজ্য ছড়িয়ে দেয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

আ’লীগ অর্জিত গণতন্ত্রকে ভূগর্ভে সমাহিত করেছে : খালেদা জিয়া

আপডেট সময় : ০৭:২১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৭


ঢাকা: চক্রান্তের চোরাগলি দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী জোট আবারও অর্জিত গণতন্ত্রকে ভূগর্ভে সমাহিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠার দিবসকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উল্লেখ করে তিনি এ বাণী দেন।

বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, অলীক স্বপ্নে আওয়ামী লীগ শুধু গণতন্ত্রই নয়-দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা কখনোই সভ্য রীতি-নীতি অনুসরণ করেনি। ফলে নব্য বাকশালী জগদ্দল পাথরকে অপসারণ করার লক্ষ্যে জনগণ আজ দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবারও কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চেপে বসা গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে পরাভূত করে রক্তস্নাত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, এদের (আওয়ামী লীগ) ঐতিহ্যই হচ্ছে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার বিপন্ন করা। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভরাডুবির বিপদ টের পেয়ে তারা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।

বিএনপি প্রধান বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীতে প্রধানমন্ত্রীকে একচেটিয়া ক্ষমতা দিয়ে গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করে তার ওপর একক কর্তৃত্ববাদী নির্দয় শাসনের ইমারত নির্মাণ করা হয়েছে। তাই এখন সর্বত্রই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দখলবাজদের জয়জয়কার ।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রণেতারা জনগণ, রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের শত্রুপক্ষ বলেও মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা, আশ্রয়, পেশা, ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু এখন নৈরাজ্যের করাল গ্রাসে নিপতিত।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার চিরস্থায়ী ক্ষমতার বন্দোবস্ত করতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করে। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে। এক প্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাশ করে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী মানুষের বাক, ব্যক্তি, চলাচল ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার হরণ করে। সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত ৪ টি প্রকাশনা চালু রাখার ফরমান জারি করে। এর ফলে চিরায়ত গণতন্ত্রের প্রাণশক্তিকেই তারা সেদিন নিঃশেষ করে দেয়। দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুন্ঠিত করে। সমাজে ভয়াবহ নৈরাজ্য ছড়িয়ে দেয়।