নিজস্ব প্রতিবেদক।।সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য ইতোমধ্যেই আমরা পদক্ষেপও গ্রহণ করেছি। একসেস টো ইনফরমেশন (এটুআই) গ্রাহক পর্যায় থেকে শুরু করে স্টেকহোল্ডার পর্যায় পর্যন্ত সার্ভে করছে কীভাবে দাম কমানো যায়। এজন্য ইতোমধ্যে এটুআই বিদেশি একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চুক্তি করেছে বলেও জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাইক্রোসফট আয়োজিত ‘কোডিং ফর কিডস’ নামে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
তিনি জানান, আমরা আশা করি সুনির্দিষ্ট একটি পন্থায় দাম কমানোর বিষয়ে এগোতে পারবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মার্কেটে বর্তমানে সব ধরনের ইন্টারনেটের যে দাম রয়েছে তার সঙ্গে তুলনা করে আমরা নতুন দাম নির্ধারণ করতে চাই। যাতে করে গ্রাহক এবং ব্যবসায়ী কোনো পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেজন্য বিষয়টি নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আরও আলোচনা করা হবে। আমরা চাচ্ছি, সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট একটি মূল্য থাকবে, যার মধ্যে থেকেই গ্রাহক এবং ব্যবসায়ীদের চলতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের সব প্রান্তে ক্যাবল কানেকশনের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছি। এছাড়া সব ধরনের ইন্টারনেট কানেকশনের গতি আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, তার জন্য কাজ করছি। আশা করি দ্রুত আমরা ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর কাজটি শেষ করতে পারবো।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা এখন প্রযুক্তি নির্ভর তরুণপ্রজন্ম। তোমাদের হাতে প্রযুক্তি সব সুযোগ-সুবিধা তুলে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। তবে, এই প্রযুক্তি তোমরা পজিটিভ কাজে ব্যবহার করবে। তোমরা এমনভাবে ফেসবুক বা ইন্টারনেট ব্যবহার করবে না যাতে করে অন্য কোনো মানুষের সম্মানহানি হয়। তোমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করবে জ্ঞান অর্জন ও নতুন কিছু শেখার জন্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে এক্সপিরিয়েন্স লিড ফর দ্যা সাউথইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটস মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের (developer experience lead for the southest asia markets Microsoft asia pacific) ডেভেলপার ওয়েলিংটন প্যারেরা রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত ১৫০ জন শিক্ষার্থীদের কিভাবে কোডিং করতে হয় শেখান।
পরে প্রতি তিনজন শিক্ষার্থীদের একটি করে স্মার্ট ফোন দেওয়া হয় ওয়েলিংটনের শেখানো কোডিং নিজে করার জন্য, কিন্তু অনুষ্ঠানে ওয়াইফাই ইন্টারনেট কানেকশন দুর্বল থাকায় তারা কোডিং করতে পারেনি।
এ ঘটনায় প্রতিমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, বিটিসিএল থেকে ইন্টারনেট নিলে এমন হতো না। অনুষ্ঠানটিতে ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগের দায়িত্ব ছিল ‘আমরা নেটওয়ার্ক’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার প্রমুখ।