ঢাকা: সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, “বল এখন রাষ্ট্রপতির কোর্টে। রাষ্ট্রপতি দুভাবে বলটা খেলতে পারেন। অনুসন্ধান কমিটি, সার্চ কমিটি করার তিনি উদ্যোগ নিতে পারেন। কিন্তু এটা আমি মনে করি না, সমস্যার সমাধান করবে। এর মাধ্যমে বিতর্ক এড়ানো যাবে না।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন সুজন সম্পাদক।
সুজন সম্পাদক বলেন, “রাষ্ট্রপতি যেটা করতে পারেন, সেটা হলো- তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে বলতে পারেন- আপনারা বসুন। আপনারা বসে একটি ঐকমত্যে পৌঁছান। যেটা তিনি এরই মধ্যে বলেছেন।”
এদিকে এক মাস ধরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে প্রায় ৩১টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতে বেশির ভাগ দল কমিশন গঠনে সংবিধান অনুযায়ী আইন করার প্রস্তাব দিলেও বিএনপি ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের কথা বলেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুরো বিষয়টি এখন রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার।
বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের পর এরই মধ্যে প্রধান দুই দলের মধ্যে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেয়া হয়েছে।
দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পর এখন একটি অনুসন্ধান বা সার্চ কমিটি গঠনের কথা বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাষ্ট্রপতি এখন কী করেন, তা-ই দেখার বিষয়।
রাজনীতি ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, “পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট (রাজনৈতিক সমঝোতা) না হলে যা পূর্বে ছিল, তা পরেও থাকবে। কনট্রোভার্সি (বিতর্ক) নিয়েই ইলেকশন (নির্বাচন) হবে। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না, নির্বাচন কমিশন সব সমস্যার সমাধান না। ”
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমরা সঠিক একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে যদি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন না করতে পারি, তাহলে আমরা কিন্তু দারুণ সংকটের দিকে যাব এবং আমরা এর মধ্যে সংকটে আছি।”
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। নতুন ইসির অধীনে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন। ইসি গঠনে রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে সংকট আগের মতোই থেকে যাবে বলেও মন্তব্য করেন সুজন সম্পাদক।