ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

‘এই গজবের হাত থেকে নিয়ে যাও, ওরা আমাকে প্রতিদিন গণধর্ষণ করছে

প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা জীবিকার তাগিদে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যান। উন্নত জীবনই তাঁদের প্রত্যাশা। এমনই প্রত্যাশা এক দিনমজুরের স্ত্রীর।

তবে অন্যদের থেকে পার্থক্য একটাই, সেটা হলো তার বিদেশ যেতে কোন টাকা লাগবে না। সব কিছু বহন করবে সেখানকার এক লোক। বেতন হবে মাসে ২০ হাজার টাকা। একদিন স্ত্রী এ কথা গুলো বলেন, তার দিনমজুর স্বামীর কাছে, আর স্বামীটি স্ত্রী কথায় সায় না দিয়ে উল্টো শাসিয়ে দেন। কিন্তু স্বামীর কথা না মেনে স্ত্রী পাড়ি দেন সৌদি আরব।

সৌদি আরবে যাওয়ার ২৬ দিন পর এক নারী দেশে মোবাইল ফোনে তাঁর স্বামীকে বলেছেন, প্রতিদিন তাঁকে গণধর্ষণ করা হচ্ছে। স্বামী তাঁকে পরামর্শ দেন পুলিশকে জানাতে। সৌদি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও তিনি মুক্তি পাননি। উল্টো ১৫ দিন ধরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। রবিবার এক জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।

somo-প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনমজুর স্বামী (৪০) জানান, প্রায় ১৭ বছর আগে বিয়ে করা সংসারে তাঁদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ঢাকায় একটি রড সিমেন্টের দোকানে কাজ করতেন তিনি। পাঁচ বছর আগে রড বহন করার সময় এক দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বাঁ কাঁধ ভেঙে গেলে সহায়-সম্বল বিক্রি করেও আর সুস্থ হয়ে ওঠেননি। কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি।

এ অবস্থায় প্রায় সাত সদস্যের পরিবারে চলে আসে অভাব-অনটন। কিছুদিন পর তাঁর স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে নরসিংদী চলে যান। সেখানে ছেলেরা রিকশা চালায় আর স্ত্রী একটি সুতার কারখানায় কাজ নেন। তাঁদের আয়ের একটা অংশ দিয়ে নান্দাইল গ্রামের বাড়িতে দুই মেয়ে ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে কোনোমতে জীবন চলে যাচ্ছে।

গত বছরের নভেম্বরে স্ত্রী তাঁকে জানান, নরসিংদীর বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে তিনি সৌদি আরবে যাবেন কাজ করতে। এ জন্য তাঁর কোনো টাকা লাগবে না। সব কিছু বহন করবে সেখানকার এক লোক। বেতন হবে মাসে ২০ হাজার টাকা। স্ত্রীর এ কথায় দিনমজুর ব্যক্তিটি সায় না দিয়ে উল্টো শাসিয়ে দেন। কিন্তু স্বামীর কথা না মেনে স্ত্রী পাড়ি দেন সৌদি আরব।

সেখান থেকে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর কল করে জানান, তাঁকে চার তলার একটি ভবনের নিচতলায় রাখা হয়েছে। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁর ওপর চলে যৌন নির্যাতন। মালিক যাওয়ার সময় বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

‘এই গজবের হাত থেকে নিয়ে যাও, ওরা আমাকে প্রতিদিন গণধর্ষণ করছে

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৭

প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা জীবিকার তাগিদে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যান। উন্নত জীবনই তাঁদের প্রত্যাশা। এমনই প্রত্যাশা এক দিনমজুরের স্ত্রীর।

তবে অন্যদের থেকে পার্থক্য একটাই, সেটা হলো তার বিদেশ যেতে কোন টাকা লাগবে না। সব কিছু বহন করবে সেখানকার এক লোক। বেতন হবে মাসে ২০ হাজার টাকা। একদিন স্ত্রী এ কথা গুলো বলেন, তার দিনমজুর স্বামীর কাছে, আর স্বামীটি স্ত্রী কথায় সায় না দিয়ে উল্টো শাসিয়ে দেন। কিন্তু স্বামীর কথা না মেনে স্ত্রী পাড়ি দেন সৌদি আরব।

সৌদি আরবে যাওয়ার ২৬ দিন পর এক নারী দেশে মোবাইল ফোনে তাঁর স্বামীকে বলেছেন, প্রতিদিন তাঁকে গণধর্ষণ করা হচ্ছে। স্বামী তাঁকে পরামর্শ দেন পুলিশকে জানাতে। সৌদি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও তিনি মুক্তি পাননি। উল্টো ১৫ দিন ধরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। রবিবার এক জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।

somo-প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনমজুর স্বামী (৪০) জানান, প্রায় ১৭ বছর আগে বিয়ে করা সংসারে তাঁদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ঢাকায় একটি রড সিমেন্টের দোকানে কাজ করতেন তিনি। পাঁচ বছর আগে রড বহন করার সময় এক দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বাঁ কাঁধ ভেঙে গেলে সহায়-সম্বল বিক্রি করেও আর সুস্থ হয়ে ওঠেননি। কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি।

এ অবস্থায় প্রায় সাত সদস্যের পরিবারে চলে আসে অভাব-অনটন। কিছুদিন পর তাঁর স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে নরসিংদী চলে যান। সেখানে ছেলেরা রিকশা চালায় আর স্ত্রী একটি সুতার কারখানায় কাজ নেন। তাঁদের আয়ের একটা অংশ দিয়ে নান্দাইল গ্রামের বাড়িতে দুই মেয়ে ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে কোনোমতে জীবন চলে যাচ্ছে।

গত বছরের নভেম্বরে স্ত্রী তাঁকে জানান, নরসিংদীর বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে তিনি সৌদি আরবে যাবেন কাজ করতে। এ জন্য তাঁর কোনো টাকা লাগবে না। সব কিছু বহন করবে সেখানকার এক লোক। বেতন হবে মাসে ২০ হাজার টাকা। স্ত্রীর এ কথায় দিনমজুর ব্যক্তিটি সায় না দিয়ে উল্টো শাসিয়ে দেন। কিন্তু স্বামীর কথা না মেনে স্ত্রী পাড়ি দেন সৌদি আরব।

সেখান থেকে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর কল করে জানান, তাঁকে চার তলার একটি ভবনের নিচতলায় রাখা হয়েছে। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁর ওপর চলে যৌন নির্যাতন। মালিক যাওয়ার সময় বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন।