সাতক্ষীরার সংরক্ষিত আসন ৩১২ এর সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিনের ছেলে রাশেদ সরোয়ার রুমনের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। এঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- ইমরান হোসেন টনি, ফরহাদ হোসেন।
তবে রুমন সরোয়ারের মা মিসেস রিফাত আমিন বলেন এটা ষড়যন্ত্র। আগেও এমন ষড়যন্ত্র বারবার হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় এই মামলাটি করেন । মামলা নম্বর ৫১ , তারিখ ২৭ .০১.১৭।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে পুলিশি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মামলার বাদি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার তাকে রুমনসহ চারজন ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ী মাকছুদুর রহমানের অফিসে জোর করে ধরে নিয়ে যান। সেখানে তারা তাকে ও তার চাচাতো ভাই ফিরোজ হোসেনকে অস্ত্র দেখিয়ে মারপিট করে ও গলা টিপে শ্বাসরোধ করে নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।
একই সময়ে তারা তাকে ও ফিরোজকে খুন করার হুমকি দিয়ে জানায় রুমনকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এর অন্যথা হলে ভোমরা বন্দরে তাদের আসা ও ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হচ্ছে- ইমরান হোসেন টনি, ফরহাদ হোসেন ও তুহিন হোসেন।
ওসি আরও জানান, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। অচিরেই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নারী সাংসদ মিসেস রিফাত আমিন বলেন, আমার ছেলে তো এক মাস ধরে ঢাকায়। সে মালয়েশিয়ায় একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে চুক্তি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। সে তো সাতক্ষীরায়ই যায়নি। অথচ সকালে আমাকে ওসি একথা জানালে আমি তাকে কিছুটা বকাঝকা করেছি। সেই রাগে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দিলেন তিনি। আমি বলেছি টাকা পয়সা নিয়ে এসব খেলা আর করবেন না।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজির মামলায় ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। এছাড়াও রুমনের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতাকে মারপিট, গরু ব্যবসায়ীকে মারপিট করে টাকা আদায়, সোনার দোকানি মিলন পালের বাড়ি দখল করে ও নগদ টাকা লুটের এবং শ্যামনগর থানায় তার মায়ের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও কয়েকজন নারীসহ ধরা পড়ার মামলা রয়েছে।