ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

ওমানে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নেন নি ৭৩০০ বাংলাদেশী

2060
ওমানে অবৈধ শ্রমিকদের জন্য সাধারণ ক্ষমার সময় শেষ হচ্ছে আজ। কিন্তু এখনও ৭৩০০ বাংলাদেশী এর সদ্ব্যবহার করেন নি। এ বছরের ৩রা মে সেখানে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ বুধবার। সাধারণত সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ থাকে তিন মাস। কিন্তু যাতে বেশি শ্রমিক নিবন্ধিত হয়ে এ সুযোগ নিতে পারেন সে জন্য এবার মেয়াদ বর্ধিত করা হয়েছিল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ওমান। এতে বলা হয়, গত ছয় মাসে সাধারণ ক্ষমার জন্য নিবন্ধন করান ২৩ হাজার ৬৫৩ জন শ্রমিক। তার মধ্যে ৭৩০০ বাংলাদেশী শ্রমিক কোন যোগাযোগই করেন নি। এ কথা বলেছে ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাস থেকে দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে এ সুযোগের জন্য নিবন্ধন করিয়েছেন ২৩ হাজার ১৮৬ শ্রমিক। এর মধ্যে শুধু মাস্কট থেকে ১৪ হাজার ৩০১ জন এবং সালালাহ থেকে প্রায় এক হাজার শ্রমিক রয়েছেন। তারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে ওমান ছেড়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রায় ৫০০ জনের কাগজপত্র সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করানোর পরে আর যোগাযোগ করেন নি বাংলাদেশী ওই ৭ হাজার ৩০০ শ্রমিক। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এমনকি বিভিন্ন এলাকায় বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের বাংলাদেশীরা যেসব স্থানে রয়েছেন তাদের মাধ্যমে সমন্বয় করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওই ৭ হাজার ৩০০ বাংলাদেশী এখনও যোগাযোগ করেন নি। তবে গত বছর যে সাধারণ ক্ষমতা ঘোষণা করা হয়েছিল তার তুলনায় এবারের কর্মসূচি অনেকটা সফল। মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মতে, সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ চলাকালে ও সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এ সুযোগ নিয়েছেন ২৩ হাজার ৬৫৩ জন শ্রমিক। বাংলাদেশী একজন সমাজকর্মী মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেছেন, আমরা এ বিষয়ে আমাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বার্তা পৌঁছে দিয়েছি যে, যেসব শ্রমিকের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই বা যারা ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় ওমানে রয়েছেন তাদেরকে এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখনও সাত হাজারের বেশি বাংলাদেশী এ সুযোগ গ্রহণ করেন নি। যারা এ সুযোগ গ্রহণ করেন নি তারা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিলেন। মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা শুরুতে বলে দিয়েছেন, সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শ্রম আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওমানের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক কল্যান বিষয়ক মহাপরিচালক সালেম সাইদ আল বদি এ সুযোগ দেয়ার শুরুতে বলেছিলেন, যেসব শ্রমিকের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই বা যারা বৈধ সময়ের অতিরিক্ত সময় ওমানে অবস্থান করছেন তাদের উচিত এই মেয়াদে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ ব্যবহার করা। যদি কাউকে আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে ধরা যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে এশিয়ার চারটি দেশ থেকে ওমানে এমন শ্রমিক রয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

ওমানে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নেন নি ৭৩০০ বাংলাদেশী

আপডেট সময় : ১০:২৭:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

2060
ওমানে অবৈধ শ্রমিকদের জন্য সাধারণ ক্ষমার সময় শেষ হচ্ছে আজ। কিন্তু এখনও ৭৩০০ বাংলাদেশী এর সদ্ব্যবহার করেন নি। এ বছরের ৩রা মে সেখানে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ বুধবার। সাধারণত সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ থাকে তিন মাস। কিন্তু যাতে বেশি শ্রমিক নিবন্ধিত হয়ে এ সুযোগ নিতে পারেন সে জন্য এবার মেয়াদ বর্ধিত করা হয়েছিল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ওমান। এতে বলা হয়, গত ছয় মাসে সাধারণ ক্ষমার জন্য নিবন্ধন করান ২৩ হাজার ৬৫৩ জন শ্রমিক। তার মধ্যে ৭৩০০ বাংলাদেশী শ্রমিক কোন যোগাযোগই করেন নি। এ কথা বলেছে ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাস থেকে দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে এ সুযোগের জন্য নিবন্ধন করিয়েছেন ২৩ হাজার ১৮৬ শ্রমিক। এর মধ্যে শুধু মাস্কট থেকে ১৪ হাজার ৩০১ জন এবং সালালাহ থেকে প্রায় এক হাজার শ্রমিক রয়েছেন। তারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে ওমান ছেড়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রায় ৫০০ জনের কাগজপত্র সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করানোর পরে আর যোগাযোগ করেন নি বাংলাদেশী ওই ৭ হাজার ৩০০ শ্রমিক। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এমনকি বিভিন্ন এলাকায় বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের বাংলাদেশীরা যেসব স্থানে রয়েছেন তাদের মাধ্যমে সমন্বয় করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওই ৭ হাজার ৩০০ বাংলাদেশী এখনও যোগাযোগ করেন নি। তবে গত বছর যে সাধারণ ক্ষমতা ঘোষণা করা হয়েছিল তার তুলনায় এবারের কর্মসূচি অনেকটা সফল। মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মতে, সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ চলাকালে ও সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এ সুযোগ নিয়েছেন ২৩ হাজার ৬৫৩ জন শ্রমিক। বাংলাদেশী একজন সমাজকর্মী মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেছেন, আমরা এ বিষয়ে আমাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বার্তা পৌঁছে দিয়েছি যে, যেসব শ্রমিকের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই বা যারা ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় ওমানে রয়েছেন তাদেরকে এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখনও সাত হাজারের বেশি বাংলাদেশী এ সুযোগ গ্রহণ করেন নি। যারা এ সুযোগ গ্রহণ করেন নি তারা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিলেন। মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা শুরুতে বলে দিয়েছেন, সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শ্রম আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওমানের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক কল্যান বিষয়ক মহাপরিচালক সালেম সাইদ আল বদি এ সুযোগ দেয়ার শুরুতে বলেছিলেন, যেসব শ্রমিকের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই বা যারা বৈধ সময়ের অতিরিক্ত সময় ওমানে অবস্থান করছেন তাদের উচিত এই মেয়াদে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ ব্যবহার করা। যদি কাউকে আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে ধরা যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে এশিয়ার চারটি দেশ থেকে ওমানে এমন শ্রমিক রয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার।