নিজস্ব প্রতিবেদক।।
রাজধানী জুড়ে হিজড়াদের অত্যাচার দিন দিন বাড়ছেই। এবার তাদের হাতে নাজেহাল হলেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
ঘন্টাখানেক আগে নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ শিল্পী বিড়ম্বনার কথা লিখে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের পাঠকদের জন্য কনকচাঁপার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- কন্নার পাল্লায় পড়ে যাচ্ছিলাম মৌচাক মার্কেটে রিকশায় করে। কপালে দুর্ভোগ থাকলে যা হয়! জনারণ্য গলির মাঝেই ২ জন বৃহন্নলা পথরোধ করে বললো… হাই ফ্রেন্ডস… উই আর রিছকি…( রিসকি) আমি বিরক্ত… ফারিয়া ভীত। বলে আম্মু প্লিজ…চুপ। আমি বলি তোমরা কী চাও? বলে ম্যডাম বুইঝাও বোঝোনা? তোমরা তো স্বামী সংসার করো…বললাম কাজ করে খাও…এগুলো কী? ওদের পাওনা ওরাই নির্ধারণ করে দিয়ে দাড়িয়ে আছে!!! সেটা ছাড়া ওরা যাবেই না…আমি চরম বিস্মিত। ফারিয়া টাকা দিয়ে বিদায় করলো। বিদায়ের সময় আমাকে অভিসম্পাত ছুড়ে দিলো। আমি জানি দেশের এই ভয়ংকর অবস্থায় এগুলো কোনো ব্যাপারই না। কিন্তু তবুও!
আগে ওরা একটু কম ভয়ংকর ছিলো…এখন ওদের সাহসের সাথে দলবাজিও জুটে গেছে। ওরা নিয়মিত চাঁদাও দেয়। তাই জোর অনেক বেশি। আর ওরা যে যা তা কান্ড করতে পারে এটাও সর্বসাধারণের গা সওয়া হয়ে গেছে এবং ওদের এই আচরণ সহ্য করবো এটাও যেনো জন্মান্তরের শিক্ষা! কিন্তু আমার কথা একমাত্র প্রজনন ক্ষমতা ছাড়া ওরা আর সব ক্ষেত্রেই পরিপূর্ণ মানুষ। পৃথিবীর অনেক দেশেই বৃহন্নলা বা হিজড়ারা অন্য দশজনের মত কাজ করে খায় সম্মানের সাথে। সেই ক্ষেত্রে ওদের আত্মমর্যাদাবোধের ‘বোধোদয়’ জাগিয়ে তুলতে কি মানবাধিকার সংস্থাগুলো কিছু কাজ করতে পারেন না? এখন তো ছিনতাইকারীদের চাইতেও ওরা ভয়ংকর হয়ে উঠছে! ছিনতাইকারী রা মার খাওয়ার ভয় করে..ওদের সে ভয়ডর নেই।
এ দেশটাতে স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার কি ক্রমশই বুজে যাচ্ছে?