বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘ক্ষমতা হারালে জানে বাঁচবেন না, নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ সীমাহীন দুর্নীতি করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো’র ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বীর উত্তম শহীদ জিয়া শিক্ষা ও গভেষণা পরিষদের সভাপতি কাজী মনিরুজামান মনির প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল তার এক বক্তব্যে নিজ দলের নেতা কর্মীদেরকে উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে বলেছেন, ক্ষমতা হারালে জানে বাঁচবেন না। এ ধরনের কথা কারা বলতে পারে? এ কথা থেকেই প্রমাণ হয় তারা নিজেরাই জানেন, তারা যে অন্যায় করছে, নির্যাতন করছে, দুর্নীতি করেছে, জুলুম করেছে তা ক্ষমতা হারালে প্রমাণ হয়ে যাবে। তারা জানে, তাদের সীমাহীন দুর্নীতির কথা প্রমাণ হলে তারা জানে বাঁচবেন না, জনগণ তাদের ছেড়ে দেবে না।’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপারসন আগেই বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের মত প্রতিহিংসা পরায়ণ হবে না। তারা যেমন বিএনপির ওপর ইচ্ছামত নির্যাতন জুলুম করছে, কোনও কিছুতে জিয়ার নাম দেখলেই সেটা পরিবর্তন করছে, আমরা ক্ষমতায় গেলে সেটি হবে না। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’
আওয়ামী লীগের মধ্যে বড় ধরনের অস্থিরতা ও ভীতি কাজ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রতির সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে সার্চ কমিটি গঠনে কে এম হাসানের নাম প্রস্তাব করেনি বিএনপি অথচ ওবায়দুল কাদের বলেছেন আমরা নাকি করেছি।’
কাদেরের এ বক্তব্যের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভয়ে ও অস্থিরতায় তারা (আ.লীগ) দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কী করবে, কী বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। যদি আমরা তার নাম প্রস্তাব করেও থাকি তাহলেও তো তাদের তা জানার কথা নয়।’
দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোকোর অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর আগে কোকো ক্রিকেটাঙ্গনে বিশাল এক পরিবর্তন করে গেছেন। আজ দেশে ক্রিকেটের যে বিশ্বব্যাপী নাম তার প্রথম ধাপই শুরু হয়েছে কোকোর হাত ধরে, তিনি প্রচার বিমুখ ছিলেন না, কোনও রাজনীতিবিদও ছিলেন না। তিনি কোনও পদ-পদবির জন্য কাঙালও ছিলেন না। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ অনেক অপপ্রচার চালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল।’