নিজস্ব প্রতিবেদক: হকারদের না ক্ষেপাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে হুঁশিয়ার করেছেন ফুটপাতের এই বিক্রেতাদের সংগঠনের এক নেতা। তারা (হকার) যদি ক্ষেপে যায়, তাহলে সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে,” বলেছেন হকার্স সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক আবুল হোসাইন।
ঢাকার মতিঝিল ও গুলিস্থান থেকে উচ্ছেদের পর ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে হকাররা। তার ধারাবাহিকতায় বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হকারদের ১৬টি সংগঠনের এই জোট। আবুল হোসাইন বলেন, ফুটপাত থেকে উঠিয়ে দেওয়ার পর হকাররা খুব খারাপ সময় পার করছে। তবে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে হকাররা বসে থাকবে না।
হকারদের মাথা এখনও ঠাণ্ডা রয়েছে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে হকার ভাইদের মাথা কতক্ষণ ঠাণ্ডা থাকবে জানি না। কারণ একটা কথা আছে, ক্ষুধার্ত মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে। তাই আপনি (মেয়র) দয়া করে এই ক্ষুধার্ত মানুষগুলোকে ক্ষেপাবেন না।
মেয়র খোকন হকারদের সন্ধ্যার পর বসতে দিতে রাজি হলেও তাতে আপত্তি জানিয়ে আসছে হকার্স সমন্বয় পরিষদ। পার্কে বসার ক্ষেত্রেও আপত্তি রয়েছে তাদের।
হকার নেতা হোসাইন বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, হকারদের উপরও সেভাবেই নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে নির্যাতন করে হকার উচ্ছেদ করা যাবে না।
হকার নেতা পরিচয় দিয়ে মেয়রের সঙ্গে বৈঠককারীদের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কিছু সুবিধাবাদী নিজেকে হকার নেতা দাবি করে সুবিধা নিচ্ছে। এদেরকে যদি হকারদের প্রতিনিধি দেখানো হয়, তাহলে হকাররা তা মানবে না।
সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে মিছিল করে হকাররা। মিছিলটি স্টেডিয়াম হলে মতিঝিলে গিয়ে শেষ হয়। এদিকে, বিক্ষোভের মধ্যেও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বেলা ১১টার দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।
এ সময় গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, জিরো পয়েন্ট, বায়তুল মোকাররম, স্টেডিয়াম, মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তবে ফুটপাতে হকাররা না থাকায় কোনো দোকানপাট উচ্ছেদের প্রয়োজন হয়নি।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, মতিঝিল এবং গুলিস্তান এলাকার ফুটপাত অনেক ফাঁকা। পথচারীরা নির্বিঘ্ন চলতে পারছে। তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। দক্ষিণ সিটির এ অভিযান সফল। এটি নিয়মিত চলবে।