ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

ঘড়ি ছাড়াই শুধু হাতের দিকেই তাকিয়েই প্রকৃত সময় বলে দিতে পারেন যিনি!!

261
ঘড়ির ছাড়াই শুধূ হাতের দিকে তাকিয়েই প্রকৃত সময় বলে দিতে পারেন নওগাঁর রাণীনগরের ইয়াছিন। সকাল-দুপুর, বিকেল-সন্ধ্যা কিংবা রাতে যে কোন সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলে দেন এখন সময় কত! তার বলা সময় হুবহু ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে মিলে যায়।
তাই সবার কাছে এখন ঘড়ি ইয়াছিন নামে পরিচিত। রাণীনগর উপজেলার রাতোয়াল গ্রামের বাসিন্দা ইয়াছিন আলী। পেশায় একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। প্রায় ৩০ বছর ধরে এ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সংসারে চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। ওই গ্রামের শোলারপাড়ে সরকারের খাস জমিতে বসতি গড়ে কোন রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে আছেন। এমনকি বসবাসের স্থানটুকু এখন ইয়াছিনপুর নামেই পরিচিত।
ইয়াছিন আলী জানান, তিনি ২৪-২৫ বছর আগে মেঠোপথে সাইকেল করে বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা তরিতরকারী বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তার হাতেও দামি একটি ঘড়ি ছিল। রাস্তার পাশদিয়ে ঘড়ি পরে যাচ্ছিলেন এক বয়স্ক লোক। কৌতুহল বশত ইয়াছিন ওই লোককে জিজ্ঞাসা করেন, তোমার ঘড়িতে এখন সময় কত? কিন্তু ওই লোক সময় জানাতে পারেনি। সেই থেকে ইয়াছিন ঘড়ি পরা বাদ দিয়ে দেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, আর ঘড়ি পরবেননা। ঘড়ি ছাড়াই সময় নিশ্চিত করবেন।
যেই পণ, সেই কাজ। ক্রমেই ঘড়ি না দেখেই ইয়াছিন নিখুঁত সময় নির্ণয় করার সাধনা করতে থাকেন। মাত্র ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই রপ্ত করে ফেলেন ঘড়ি না দেখে নিখুঁত সময় বলে দেওয়ার কৌশল। প্রথমে বেশ এলোমেলো হলেও পরে তা সম্পূর্ণ আয়ত্তে এসে যায়। সেই থেকে ধীরে ধীরে প্রচার হতে থাকে তার ঘড়ি না দেখে সময় বলে দেওয়ার এই কাহিনী। গ্রামে গ্রামে ঘুরে এখনও সাইকেল নিয়েই কাঁচামাল কেনাবেচা করছেন ইয়াছিন আলী। গ্রামের সাধারণ মানুষ মাঠের কৃষক-কৃষাণীরা তাকে দেখে সময় জিজ্ঞেস করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

ঘড়ি ছাড়াই শুধু হাতের দিকেই তাকিয়েই প্রকৃত সময় বলে দিতে পারেন যিনি!!

আপডেট সময় : ১০:১৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৫

261
ঘড়ির ছাড়াই শুধূ হাতের দিকে তাকিয়েই প্রকৃত সময় বলে দিতে পারেন নওগাঁর রাণীনগরের ইয়াছিন। সকাল-দুপুর, বিকেল-সন্ধ্যা কিংবা রাতে যে কোন সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলে দেন এখন সময় কত! তার বলা সময় হুবহু ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে মিলে যায়।
তাই সবার কাছে এখন ঘড়ি ইয়াছিন নামে পরিচিত। রাণীনগর উপজেলার রাতোয়াল গ্রামের বাসিন্দা ইয়াছিন আলী। পেশায় একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। প্রায় ৩০ বছর ধরে এ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সংসারে চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। ওই গ্রামের শোলারপাড়ে সরকারের খাস জমিতে বসতি গড়ে কোন রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে আছেন। এমনকি বসবাসের স্থানটুকু এখন ইয়াছিনপুর নামেই পরিচিত।
ইয়াছিন আলী জানান, তিনি ২৪-২৫ বছর আগে মেঠোপথে সাইকেল করে বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা তরিতরকারী বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তার হাতেও দামি একটি ঘড়ি ছিল। রাস্তার পাশদিয়ে ঘড়ি পরে যাচ্ছিলেন এক বয়স্ক লোক। কৌতুহল বশত ইয়াছিন ওই লোককে জিজ্ঞাসা করেন, তোমার ঘড়িতে এখন সময় কত? কিন্তু ওই লোক সময় জানাতে পারেনি। সেই থেকে ইয়াছিন ঘড়ি পরা বাদ দিয়ে দেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, আর ঘড়ি পরবেননা। ঘড়ি ছাড়াই সময় নিশ্চিত করবেন।
যেই পণ, সেই কাজ। ক্রমেই ঘড়ি না দেখেই ইয়াছিন নিখুঁত সময় নির্ণয় করার সাধনা করতে থাকেন। মাত্র ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই রপ্ত করে ফেলেন ঘড়ি না দেখে নিখুঁত সময় বলে দেওয়ার কৌশল। প্রথমে বেশ এলোমেলো হলেও পরে তা সম্পূর্ণ আয়ত্তে এসে যায়। সেই থেকে ধীরে ধীরে প্রচার হতে থাকে তার ঘড়ি না দেখে সময় বলে দেওয়ার এই কাহিনী। গ্রামে গ্রামে ঘুরে এখনও সাইকেল নিয়েই কাঁচামাল কেনাবেচা করছেন ইয়াছিন আলী। গ্রামের সাধারণ মানুষ মাঠের কৃষক-কৃষাণীরা তাকে দেখে সময় জিজ্ঞেস করেন।