ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা “সিলেট প্রদেশ প্রতিষ্ঠার দাবীতে লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সভা অনুষ্ঠিত”

“চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন ও কিছু কথা”


মিনহাজুল ইসলাম তুহিন,চবি প্রতিনিধি।

বিশ্বে একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ই আছে, যার শিক্ষার্থী পরিবহণের জন্য রয়েছে নিজস্ব ট্রেন।
আর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হলো বাংলাদেশের ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী একজোড়া শাটল ও একটি ডেমু ট্রেন শিক্ষার্থীদের কাছে এক আবেগ অনুভূতির জায়গা। প্রতিদিন প্রায় বারো হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতের মাধ্যম এই শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীদের কথা, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাটলের বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা শাটলে আসি শাটলে যাই। শাটলে যাওয়া আসা করতে করতেই শাটল ট্রেনের প্রেমে পড়ে যায় অনেকেই। এই শাটল ট্রেনকে দেখতে অনেকেই আসে চবিতে ঘুরতে, শাটলের ক্যাম্পাসে। শাটল ট্রেন নিজেই একটা বাদ্যযন্ত্রের সংমিশ্রণ, ট্রেনের পাটাতনকে ড্রাম বানিয়ে রচিত হয় প্যারোডি গান। ট্রেনের হালকা দুলনিতে, সুরের মোহনায়, অবিরত ড্রাম বাজিয়ে গানের ছন্দের তালে তালে পাড়ি জমায় শিক্ষার্থীরা। শাটলের জার্নির কষ্টটাও জেনো অনেকাংশেই কমিয়ে দেয় এই প্যারোডি গান। গান শুনে অনেক সময় আপনার ভুবন ভুলানো হাসি পাবে। আড্ডা, গল্প, গান, পড়ালেখা, কী নেই শাটলের মাঝে। শাটলের মাঝে হৃদয়ের লেনাদেনাও কেউকেউ করে ফেলে। শাটল ট্রেন যেনো হয়ে উঠে এক টুকরো চলন্ত বিশ্ববিদ্যালয়। শাটলের সাথে শিক্ষার্থীদের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে ফার্স্ট ইয়ার থেকেই। ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করতে করতেই কেউকেউ লিখে ফেলে শাটলের গল্প। শাটল নিয়ে গল্প কথার শেষ নেই। শাটল ট্রেনের ভিতর অনেকসময় জায়গা না হলে তখন কেউকেউ জায়গা করে নিয়ে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনের সামনে, ট্রেনের দরজায়। যদিও এটা বিপদজনক এবং নিষিদ্ধ। তবুও প্রায়ই সময় বাঁচাতে কেউকেউ ঝুঁকি নিয়ে উঠে পড়ে ট্রেনের ছাদে। আসলে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ সেই আদিকাল থেকেই। ভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও তার ব্যতিক্রম নয়।ট্রেনের ভিতরে যাওয়ার যেমন আলাদা আনন্দ আছে তেমনি ট্রেনের ছাদে যাওয়ার আলাদা শৈল্পিক আনন্দ আছে। সাপের মতো এঁকেবেঁকে, ট্রেনের দুলনিতে সবকিছুকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় শাটল ট্রেন। চারপাশের লাল, নীল, হলুদ, সবুজ আলোয় আলাদা মোহনীয় দৃশ্যপট তৈরি হয়। শাটল ট্রেনের ছাদে গলা ছেড়ে গান গাওয়া আর কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনার মাঝে এক আলাদা এবং অনন্য অনুভূতি আছে। যেগুলো লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
সব শেষে এতটুকুই বলব,সময় পেলে চড়ে আসুন চবি শাটলে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট

“চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন ও কিছু কথা”

আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭


মিনহাজুল ইসলাম তুহিন,চবি প্রতিনিধি।

বিশ্বে একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ই আছে, যার শিক্ষার্থী পরিবহণের জন্য রয়েছে নিজস্ব ট্রেন।
আর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হলো বাংলাদেশের ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী একজোড়া শাটল ও একটি ডেমু ট্রেন শিক্ষার্থীদের কাছে এক আবেগ অনুভূতির জায়গা। প্রতিদিন প্রায় বারো হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতের মাধ্যম এই শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীদের কথা, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাটলের বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা শাটলে আসি শাটলে যাই। শাটলে যাওয়া আসা করতে করতেই শাটল ট্রেনের প্রেমে পড়ে যায় অনেকেই। এই শাটল ট্রেনকে দেখতে অনেকেই আসে চবিতে ঘুরতে, শাটলের ক্যাম্পাসে। শাটল ট্রেন নিজেই একটা বাদ্যযন্ত্রের সংমিশ্রণ, ট্রেনের পাটাতনকে ড্রাম বানিয়ে রচিত হয় প্যারোডি গান। ট্রেনের হালকা দুলনিতে, সুরের মোহনায়, অবিরত ড্রাম বাজিয়ে গানের ছন্দের তালে তালে পাড়ি জমায় শিক্ষার্থীরা। শাটলের জার্নির কষ্টটাও জেনো অনেকাংশেই কমিয়ে দেয় এই প্যারোডি গান। গান শুনে অনেক সময় আপনার ভুবন ভুলানো হাসি পাবে। আড্ডা, গল্প, গান, পড়ালেখা, কী নেই শাটলের মাঝে। শাটলের মাঝে হৃদয়ের লেনাদেনাও কেউকেউ করে ফেলে। শাটল ট্রেন যেনো হয়ে উঠে এক টুকরো চলন্ত বিশ্ববিদ্যালয়। শাটলের সাথে শিক্ষার্থীদের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে ফার্স্ট ইয়ার থেকেই। ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করতে করতেই কেউকেউ লিখে ফেলে শাটলের গল্প। শাটল নিয়ে গল্প কথার শেষ নেই। শাটল ট্রেনের ভিতর অনেকসময় জায়গা না হলে তখন কেউকেউ জায়গা করে নিয়ে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনের সামনে, ট্রেনের দরজায়। যদিও এটা বিপদজনক এবং নিষিদ্ধ। তবুও প্রায়ই সময় বাঁচাতে কেউকেউ ঝুঁকি নিয়ে উঠে পড়ে ট্রেনের ছাদে। আসলে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ সেই আদিকাল থেকেই। ভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও তার ব্যতিক্রম নয়।ট্রেনের ভিতরে যাওয়ার যেমন আলাদা আনন্দ আছে তেমনি ট্রেনের ছাদে যাওয়ার আলাদা শৈল্পিক আনন্দ আছে। সাপের মতো এঁকেবেঁকে, ট্রেনের দুলনিতে সবকিছুকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় শাটল ট্রেন। চারপাশের লাল, নীল, হলুদ, সবুজ আলোয় আলাদা মোহনীয় দৃশ্যপট তৈরি হয়। শাটল ট্রেনের ছাদে গলা ছেড়ে গান গাওয়া আর কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনার মাঝে এক আলাদা এবং অনন্য অনুভূতি আছে। যেগুলো লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
সব শেষে এতটুকুই বলব,সময় পেলে চড়ে আসুন চবি শাটলে।