ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা “সিলেট প্রদেশ প্রতিষ্ঠার দাবীতে লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সভা অনুষ্ঠিত”

ছাত্রলীগের পুনর্মিলনীতে ক্রেস্ট ‘বঞ্চিত’ যারা


নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মধ্যে ১৮ জনকে ক্রেস্ট দেন। দলে না থাকা, সংস্কারপন্থী ও বিদেশে অবস্থান করায় ক্রেস্ট বঞ্চিত হয়েছেন ৭ জন সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

১৯৭২ সালে মুজিববাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী নূরে আলম সিদ্দিকী নাম ক্রেস্ট গ্রহণকারীদের নাম ঘোষণার সময় বলা হয়নি। তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থাকলেও বর্তমানে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের আহ্বায়ক। ব্যবসা করে জীবন-যাপন করছেন।

তার সময়ের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ছাত্রলীগে যোগ দেন। পরবর্তীতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে যোগ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়। শারীরিক অসুস্থতায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তিনিও ছাত্রলীগের ক্রেস্ট পাননি।

শাজাহান সিরাজের পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কাউন্সিল নেতা ইসমত কাদির গামা ক্রেস্ট গ্রহণ করেছেন।

ক্রেস্ট পাননি ১৯৭২-৭৩ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ শহীদুল ইসলাম এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও গণপূর্তমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বর্তমানে তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতী পার্টি (জেপি)-এর মহাসচিব। তার সময়ের সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদও ক্রেস্ট পাননি। রশিদ বর্তমানে ‘প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন’-এর সদস্য সচিব।

ক্রেস্ট পাননি ১৯৭৩-৭৪ সালের ছাত্রলীগ সভাপতি মনিরুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধান। মনিরুল হক চৌধুরী পরবর্তীতে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হন। পরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়।

শফিউল আলম প্রধান ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সভাপতি ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা।

অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত থেকেও অজ্ঞাত কারণে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট নেননি ১৯৭৭ থেকে ৮১ সালের ছাত্রলীগ সভাপতি ও বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

৮৬-৮৮ সালের ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ছাত্রলীগের পক্ষ হয়ে প্রথম ডাকসু ভিপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০২ সালের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১/১১ এর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সংস্কারপন্থী হওয়ার অভিযোগে বর্তমানে দলে কোনো পদ নেই। তিনিও পুনর্মিলনীতে ক্রেস্ট পাননি।

২০১১-১৫ সময়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। সদ্য সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক দেশের বাইরে অবস্থান করায় ক্রেস্ট বঞ্চিত হয়েছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট

ছাত্রলীগের পুনর্মিলনীতে ক্রেস্ট ‘বঞ্চিত’ যারা

আপডেট সময় : ০৯:১০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৭


নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মধ্যে ১৮ জনকে ক্রেস্ট দেন। দলে না থাকা, সংস্কারপন্থী ও বিদেশে অবস্থান করায় ক্রেস্ট বঞ্চিত হয়েছেন ৭ জন সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

১৯৭২ সালে মুজিববাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী নূরে আলম সিদ্দিকী নাম ক্রেস্ট গ্রহণকারীদের নাম ঘোষণার সময় বলা হয়নি। তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থাকলেও বর্তমানে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের আহ্বায়ক। ব্যবসা করে জীবন-যাপন করছেন।

তার সময়ের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ছাত্রলীগে যোগ দেন। পরবর্তীতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে যোগ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়। শারীরিক অসুস্থতায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তিনিও ছাত্রলীগের ক্রেস্ট পাননি।

শাজাহান সিরাজের পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কাউন্সিল নেতা ইসমত কাদির গামা ক্রেস্ট গ্রহণ করেছেন।

ক্রেস্ট পাননি ১৯৭২-৭৩ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ শহীদুল ইসলাম এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও গণপূর্তমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বর্তমানে তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতী পার্টি (জেপি)-এর মহাসচিব। তার সময়ের সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদও ক্রেস্ট পাননি। রশিদ বর্তমানে ‘প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন’-এর সদস্য সচিব।

ক্রেস্ট পাননি ১৯৭৩-৭৪ সালের ছাত্রলীগ সভাপতি মনিরুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধান। মনিরুল হক চৌধুরী পরবর্তীতে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হন। পরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়।

শফিউল আলম প্রধান ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সভাপতি ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা।

অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত থেকেও অজ্ঞাত কারণে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট নেননি ১৯৭৭ থেকে ৮১ সালের ছাত্রলীগ সভাপতি ও বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

৮৬-৮৮ সালের ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ছাত্রলীগের পক্ষ হয়ে প্রথম ডাকসু ভিপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০২ সালের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১/১১ এর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সংস্কারপন্থী হওয়ার অভিযোগে বর্তমানে দলে কোনো পদ নেই। তিনিও পুনর্মিলনীতে ক্রেস্ট পাননি।

২০১১-১৫ সময়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। সদ্য সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক দেশের বাইরে অবস্থান করায় ক্রেস্ট বঞ্চিত হয়েছেন।