ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সাক্ষাত দিলেন না রাষ্ট্রপতি


একাদশ জাতীয় নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেই জন্য উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ। এই জন্য বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের আগের যে সব প্রস্তুতির প্রয়োজন তা পর্যবেক্ষণ করছে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সার্চ কমিটি গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি। এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য ইতোমধ্যে তার অফিস থেকে চিঠিও পাঠিয়েছেন সময় চেয়ে। তার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন বলে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এখনও কোন সময় মিলেনি। এদিকে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন। দেখা করে কেন তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চান সেটাও বলেছেন। তবে রাষ্ট্রপতির সময় মিলবে কিনা এটি কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহল চাইছে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়। এই ধরণের নির্বাচনের জন্য তারা ৫ জানুয়ারির আগ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু ওই নির্বাচনের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব তার প্রতিনিধিতে তিনবার বাংলাদেশ সফরে পাঠিয়েছেন। তা পাঠানো হলেও জাতিসংঘ যা চেয়েছিল তা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়। ওই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ার পরও চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এখনও তারা একই চেষ্টা করছে। সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য সরকারকে বার বার বলে যাচ্ছে। সরকারও সংবিধান অনুযায়ী সব করছে বলে তাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছে।

সূত্র জানায়, এই অবস্থায় যখন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, নতুন কমিশন করার জন্য সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এর আগে একত্রিশটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মত নিয়েছেন। এখন সার্চ কমিটি কাজ শুরু করেছে। তারা রাজনৈতিক দলের কাছে নাম চেয়েছে। এই অবস্থায় কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক মহল এবং জাতিসংঘ আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের তরফ থেকে এই ব্যাপারে তার প্রতিনিধি হিসাবে আবাসিক প্রতিনিধি কাজ করছেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইছেন। এই জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবন থেকে এখনও কোন সময় দেওয়া হয়নি। জাতিসংঘের তরফ থেকে এই ব্যাপারে অপেক্ষা করছে। সময় পেলেই জাতিসংঘের প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে তিনি তুলে ধরবেন জাতিসংঘ কি চায় সেই বিষয়ে। অন্যান্য কূটনীতিকরাও তার সঙ্গে থাকবেন। তারাও রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের সুপারিশ তুলে ধরবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি এই ব্যাপারে বৈঠক করার জন্য সময় দিবেন কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। কারণ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরে হস্তক্ষেপ চায় না রাষ্ট্রপতি ও সরকার। এই কারণে এই ব্যাপারে বৈঠক করার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কেউ। তাছাড়া এই সব বিষয়ে বিদেশীদের মতামত না নেওয়ারও পক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সরকার। কোনো বিদেশি নাগরিক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রটোকল মেনেই তা করতে হয়।

সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি যদি সিদ্ধান্ত নেন বৈঠক করবেন। তাহলে সময় দিলে সেই সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে জাতিসংঘ ছাড়াও বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা চাইছেন একটি সুষ্ঠু ও অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই জন্য তারা কাজ করছেন। সরকার ও বিরোধি দলসহ বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ যারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এই জন্য গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তারা দেখছেন রাষ্ট্রপতি, সার্চ কমিটি কি করে। ইতোমধ্যে তারা দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের মনোভাব জেনেছেন। সেখানে সুশীল সমাজের মত নিয়ে তারাও বুঝতে পেরেছেন দেশের জনগণ কি চায়। চলতি মাসেই তারা এই বৈঠক করেছেন। এরমধ্যে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণলয়ের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, জাতিসংঘের আবাসিকত প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার, কানাডার হাইকমিশনার, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইছেন। তারা বৈঠক করার কথাও বলেছেন। তবে রাষ্ট্রপতির সময় এখনও মেলেনি বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এই অবস্থায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে কোন উদ্যোগ নিবেন কিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কিনা সেই বিষয়েও কিছুই জানানো হয়নি।

জানা গেছে, কুটনীতিক মহলের যারা চান বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক তারা রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান,কেমন নির্বাচন কমিশণ হওয়া দরকার সেই সব বিষয়ে কিছু সুপারিশ তুলে ধরতে চাইছেন।
সূত্র জানায়, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতির সময় না পাওয়ায় তিনি বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের দুইজনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিবকে জাতিসংঘের আবাসিক রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে তারা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণের নির্বাচন দেখতে চায়। তাই এই ব্যাপারে সরকার কি কি করছে এবং নির্বাচন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কি করছেন সেই সব নিয়ে তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের বিষয়ে ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলবেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ও নেওয়া হবে তাও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেই জানতে চান। এছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন বিষয়ে রাষ্ট্রপতির যে সব পদক্ষেপ রয়েছে সেগুলো কি তাও জানতে চান। আর জেনে তারা সুপারিশও করতে চাইছেন। তারা সার্চ কমিটির সঙ্গে দেখা করতে চান কিনা এখনও এই বিষয়ে জানা যায়নি। যদিও তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তারা সার্চ কমিটি গঠনকে ইতিবাচক ঘটনা হিসাবেই মনে করছেন। সুত্র আমাদের সময়

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সাক্ষাত দিলেন না রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৭


একাদশ জাতীয় নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেই জন্য উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ। এই জন্য বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের আগের যে সব প্রস্তুতির প্রয়োজন তা পর্যবেক্ষণ করছে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সার্চ কমিটি গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি। এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য ইতোমধ্যে তার অফিস থেকে চিঠিও পাঠিয়েছেন সময় চেয়ে। তার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন বলে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এখনও কোন সময় মিলেনি। এদিকে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন। দেখা করে কেন তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চান সেটাও বলেছেন। তবে রাষ্ট্রপতির সময় মিলবে কিনা এটি কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহল চাইছে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়। এই ধরণের নির্বাচনের জন্য তারা ৫ জানুয়ারির আগ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু ওই নির্বাচনের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব তার প্রতিনিধিতে তিনবার বাংলাদেশ সফরে পাঠিয়েছেন। তা পাঠানো হলেও জাতিসংঘ যা চেয়েছিল তা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়। ওই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ার পরও চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এখনও তারা একই চেষ্টা করছে। সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য সরকারকে বার বার বলে যাচ্ছে। সরকারও সংবিধান অনুযায়ী সব করছে বলে তাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছে।

সূত্র জানায়, এই অবস্থায় যখন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, নতুন কমিশন করার জন্য সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এর আগে একত্রিশটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মত নিয়েছেন। এখন সার্চ কমিটি কাজ শুরু করেছে। তারা রাজনৈতিক দলের কাছে নাম চেয়েছে। এই অবস্থায় কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক মহল এবং জাতিসংঘ আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের তরফ থেকে এই ব্যাপারে তার প্রতিনিধি হিসাবে আবাসিক প্রতিনিধি কাজ করছেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইছেন। এই জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবন থেকে এখনও কোন সময় দেওয়া হয়নি। জাতিসংঘের তরফ থেকে এই ব্যাপারে অপেক্ষা করছে। সময় পেলেই জাতিসংঘের প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে তিনি তুলে ধরবেন জাতিসংঘ কি চায় সেই বিষয়ে। অন্যান্য কূটনীতিকরাও তার সঙ্গে থাকবেন। তারাও রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের সুপারিশ তুলে ধরবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি এই ব্যাপারে বৈঠক করার জন্য সময় দিবেন কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। কারণ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরে হস্তক্ষেপ চায় না রাষ্ট্রপতি ও সরকার। এই কারণে এই ব্যাপারে বৈঠক করার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কেউ। তাছাড়া এই সব বিষয়ে বিদেশীদের মতামত না নেওয়ারও পক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সরকার। কোনো বিদেশি নাগরিক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রটোকল মেনেই তা করতে হয়।

সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি যদি সিদ্ধান্ত নেন বৈঠক করবেন। তাহলে সময় দিলে সেই সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে জাতিসংঘ ছাড়াও বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা চাইছেন একটি সুষ্ঠু ও অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই জন্য তারা কাজ করছেন। সরকার ও বিরোধি দলসহ বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ যারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এই জন্য গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তারা দেখছেন রাষ্ট্রপতি, সার্চ কমিটি কি করে। ইতোমধ্যে তারা দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের মনোভাব জেনেছেন। সেখানে সুশীল সমাজের মত নিয়ে তারাও বুঝতে পেরেছেন দেশের জনগণ কি চায়। চলতি মাসেই তারা এই বৈঠক করেছেন। এরমধ্যে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণলয়ের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, জাতিসংঘের আবাসিকত প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার, কানাডার হাইকমিশনার, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইছেন। তারা বৈঠক করার কথাও বলেছেন। তবে রাষ্ট্রপতির সময় এখনও মেলেনি বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এই অবস্থায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে কোন উদ্যোগ নিবেন কিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কিনা সেই বিষয়েও কিছুই জানানো হয়নি।

জানা গেছে, কুটনীতিক মহলের যারা চান বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক তারা রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান,কেমন নির্বাচন কমিশণ হওয়া দরকার সেই সব বিষয়ে কিছু সুপারিশ তুলে ধরতে চাইছেন।
সূত্র জানায়, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতির সময় না পাওয়ায় তিনি বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের দুইজনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিবকে জাতিসংঘের আবাসিক রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে তারা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণের নির্বাচন দেখতে চায়। তাই এই ব্যাপারে সরকার কি কি করছে এবং নির্বাচন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কি করছেন সেই সব নিয়ে তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের বিষয়ে ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলবেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ও নেওয়া হবে তাও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেই জানতে চান। এছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন বিষয়ে রাষ্ট্রপতির যে সব পদক্ষেপ রয়েছে সেগুলো কি তাও জানতে চান। আর জেনে তারা সুপারিশও করতে চাইছেন। তারা সার্চ কমিটির সঙ্গে দেখা করতে চান কিনা এখনও এই বিষয়ে জানা যায়নি। যদিও তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তারা সার্চ কমিটি গঠনকে ইতিবাচক ঘটনা হিসাবেই মনে করছেন। সুত্র আমাদের সময়