নাশকতা চালানোর উদ্দেশ্যে বৈঠক করছিল, এমন অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার জামায়াত-শিবিরের ২৮ নারী সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাজমহল রোড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড্ডা, আদাবর, তেজগাঁও ও শেরেবাংলা নগরসহ বিভিন্ন এলাকার ২৮ নারী তাজমহল রোডের ১১/৭ নম্বির বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে মিলিত হন। তারা সেখানে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। গোপন খবরে মোহাম্মদপুর থানা পুর্লিশ সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে। তারা জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের সক্রিয় সদস্য।
এ বিষয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর থানায় সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। এসময় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, গ্রেফতার নারীরা বেশকিছুদিন ধরে ওই বাসায় যাতায়াত করে, এমন তথ্য ছিল। সেই তথ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ওই বাসায় অভিযানে গেলে প্রথমে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে রাজী ছিল না তারা। দরজা ভেঙে প্রবেশ করার হুমকি দিলে তারা দরজা খুলে দেয়। এরপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তারা সবাই উচ্চ শিক্ষিত। তাদের মধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ডাক্তার রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ২৮ নারীকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়। আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তারা হলেন- শাহানাজ বেগম ওরফে জোৎস্না বেগম, নাইমা আক্তার নাইমা, উম্মে খালেদা, জোহরা বেগম, সৈয়দা শাহিন আক্তার, উম্মে কুলসুম ওরফে মীম, জেসমিন খান, খোদেজা আক্তার, সালমা হক, সাকিয়া তাসনিম, সেলিমা সুলতানা সুইটি, হাফসা. আকলিমা ফেরদৌস ওরফে আঁখি, রোখসানা বেগম, আফসানা মিমি, শরীফা আক্তার, রুবিনা আক্তার, তাসলিমা, আসমা খাতুন লিপি, সুফিয়া ওরফে চাঁদনি, আনোয়ারা বেগম, ইয়াসমিন আক্তার, সাদিয়া, ফাতেমা বেগম, উম্মে আতিয়া, রুমা আক্তার, রাজিয়া আক্তার ও রহিমা খাতুন ওরফে রিমা।