ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা “সিলেট প্রদেশ প্রতিষ্ঠার দাবীতে লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সভা অনুষ্ঠিত”

জালিয়াতি মামলা: রাগীব আলী ও তার ছেলের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

সিলেট প্রতিনিধি

রাগীব আলী ও তার পুত্র আব্দুল হাই
সিলেটের তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির ঘটনায় শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারা ও ৪৬৮ ধারায় উভয়কে ৬ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪২০ ধারায় ১ বছর এবং ৪৭১ ধারায় ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৪টি ধারাতেই ১০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থ অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান জানান, চারটি ধারায় প্রত্যেককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে দখলে নেন রাগীব আলী। বাগানের একাংশে রাগীব আলী ও তার স্ত্রীর নামে মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন করেন। দেবোত্তর সম্পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেওয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটো মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ে মামলা দুটি পুনরুজ্জীবিত করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আপিল বিভাগের চার বিচারক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই রায় দেন। এরপর দুই মামলায় গত ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলে ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই দিনই পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ চলে যান রাগীব আলী ও তার ছেলে। ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন রাগীব আলী। ওই দিনই তাকে দেশে পাঠানো হলে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ১২ নভেম্বর ভারত থেকে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে ফেরার সময় আবদুল হাই গ্রেফতার হন।

আলোচিত এ মামলার ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া, আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাগীব আলীর পক্ষে তার মালিকানাধীন মালনীছড়া চা-বাগানের দুজন ব্যবস্থাপক আদালতে সাফাই সাক্ষ্য দেন। সবশেষ বুধবার এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হলে আদালত আজ বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন। রায় ঘোষণার সময় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট

জালিয়াতি মামলা: রাগীব আলী ও তার ছেলের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

সিলেট প্রতিনিধি

রাগীব আলী ও তার পুত্র আব্দুল হাই
সিলেটের তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির ঘটনায় শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারা ও ৪৬৮ ধারায় উভয়কে ৬ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪২০ ধারায় ১ বছর এবং ৪৭১ ধারায় ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৪টি ধারাতেই ১০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থ অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান জানান, চারটি ধারায় প্রত্যেককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে দখলে নেন রাগীব আলী। বাগানের একাংশে রাগীব আলী ও তার স্ত্রীর নামে মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন করেন। দেবোত্তর সম্পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেওয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটো মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ে মামলা দুটি পুনরুজ্জীবিত করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আপিল বিভাগের চার বিচারক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই রায় দেন। এরপর দুই মামলায় গত ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলে ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই দিনই পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ চলে যান রাগীব আলী ও তার ছেলে। ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন রাগীব আলী। ওই দিনই তাকে দেশে পাঠানো হলে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ১২ নভেম্বর ভারত থেকে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে ফেরার সময় আবদুল হাই গ্রেফতার হন।

আলোচিত এ মামলার ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া, আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাগীব আলীর পক্ষে তার মালিকানাধীন মালনীছড়া চা-বাগানের দুজন ব্যবস্থাপক আদালতে সাফাই সাক্ষ্য দেন। সবশেষ বুধবার এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হলে আদালত আজ বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন। রায় ঘোষণার সময় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।