ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

জীবন বদলে দিল ফেসবুক পোস্ট

1378
দরিদ্রতার কারণে সন্ধ্যার পর বাড়িতে আলো জ্বালানোর সামর্থ্য ছিলো না হরেন্দ্র সিংয়ের পরিবারের। তাই বাধ্য হয়ে বই খাতা নিয়ে হরেন্দ্র চলে আসতো মেট্রো স্টেশনে। স্টেশনের প্লাটফরমে বসে ল্যাম্পপোস্টের আলোতে বসেই সেরে নিতে হতো পড়ালেখা। হরেন্দ্রর পাশেই থাকতো ওজন মাপার একটি মেশিন।

বই পড়ার ফাঁকে প্লাটফরমের যাত্রীদের কেউ কেউ ওজন মেপে দুই-একটা টাকা দিয়ে যেতেন তাকে। এভাবে প্রতিদিন কমবেশি ৭০ রুপি আয় হলে তা দিয়ে বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনে বাড়ি ফিরতো।

এভাবেই কোন রকমে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলো সে। বেশ কয়েক দিন আগে প্লাটফরমে ঘুরতে আসা এক যাত্রী হরেন্দ্রর জীবন-যুদ্ধের এই কাহিনী ধারণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তার এই পোস্টের পরই বদলে যেতে থাকলো ১৩ বছর বয়সী হরেন্দ্রর জীবন।

হরেন্দ্রর এই অধ্যবসায়ের গল্প জানতে পেরে অনেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। খোদ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তাকে পাঁচ লাখ রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। রাষ্ট্রই তার লেখাপড়ার ভার বহন করবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে জেনে সে দারুণ খুশি। বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চায় সংগ্রামী হরেন্দ্র।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

জীবন বদলে দিল ফেসবুক পোস্ট

আপডেট সময় : ১০:২৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

1378
দরিদ্রতার কারণে সন্ধ্যার পর বাড়িতে আলো জ্বালানোর সামর্থ্য ছিলো না হরেন্দ্র সিংয়ের পরিবারের। তাই বাধ্য হয়ে বই খাতা নিয়ে হরেন্দ্র চলে আসতো মেট্রো স্টেশনে। স্টেশনের প্লাটফরমে বসে ল্যাম্পপোস্টের আলোতে বসেই সেরে নিতে হতো পড়ালেখা। হরেন্দ্রর পাশেই থাকতো ওজন মাপার একটি মেশিন।

বই পড়ার ফাঁকে প্লাটফরমের যাত্রীদের কেউ কেউ ওজন মেপে দুই-একটা টাকা দিয়ে যেতেন তাকে। এভাবে প্রতিদিন কমবেশি ৭০ রুপি আয় হলে তা দিয়ে বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনে বাড়ি ফিরতো।

এভাবেই কোন রকমে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলো সে। বেশ কয়েক দিন আগে প্লাটফরমে ঘুরতে আসা এক যাত্রী হরেন্দ্রর জীবন-যুদ্ধের এই কাহিনী ধারণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তার এই পোস্টের পরই বদলে যেতে থাকলো ১৩ বছর বয়সী হরেন্দ্রর জীবন।

হরেন্দ্রর এই অধ্যবসায়ের গল্প জানতে পেরে অনেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। খোদ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তাকে পাঁচ লাখ রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। রাষ্ট্রই তার লেখাপড়ার ভার বহন করবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে জেনে সে দারুণ খুশি। বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চায় সংগ্রামী হরেন্দ্র।