General M A G Osmani
আব্দুল বাছিত খান
সিলেট ব্যুরো চীফ
@@@@@@@@@@@@
বাংলাদেশের তথা ব্রিটিশ ভারতের
অন্যতম বিরল মেধাবী , সিলেটের কৃতি
সন্তান সর্বজন প্রিয় মরহুম এম এ জি
ওসমানীর সংকিপ্ত জীবনী |
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী
1918 সালে সিলেটে জন্ম নেয়া এ
ব্যাক্তি 1934 সালে সিলেট গভর্নমেন্ট
উচ্চবিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পরীক্ষায়
সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে প্রথম স্থানে
উত্তীর্ণ হন! এজন্য ব্রিটিশ সরকার
তাকে প্রাইওটোরিয়া সম্মানে ভূষিত
করেন।
তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে 1938 সালে গ্রাজুয়েশন নেন।
এরপর 1939 সালে রয়্যাল আর্মড ফোর্সে
ক্যাডেট হন এবং 1940 সালে কমিশন
প্রাপ্ত হন। 1942 সালে তিনি ছিলেন
সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ
মেজর।
তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন
এবং 1947 সালে দেশ বিভাগের পর
পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ
দেন। 1967 সালে অবসর নেন। অতঃপর
1970 সালে আওয়ামীলীগের পক্ষে
সুনামগঞ্জ-বালাগঞ্জ,বিশ্বনাথ আসন
থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের
সাংসদ নির্বাচিত হন।
এরপর যুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিবাহীনির
সর্বাধিনায়ক হন। তিনিই সমগ্র
বাংলাদেশকে এগারটি সেক্টরে
বিভক্ত করেন। যুদ্ধশেষে 1972 সাল পর্যন্ত
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান
ছিলেন। এরপর তাকে নৌপরিবহন,
জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের
দায়িত্ব দেওয়া হয়। 1973 সালে আবার
একই আসন থেকে 94%ভোটে নির্বাচিত
হয়ে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত
হন। 1974 সালে পদত্যাগ করেন এবং 1975
সালের বাকশাল (সবদল বিলুপ্ত করে
একদল কায়েম করা) প্রতিষ্ঠার
প্রতিবাদে সংসদ এবং আওয়ামীলীগ
হতে পদত্যাগ করেন।
একই বছর 29শে আগষ্ট খন্দকার মশতাকের
প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা নিযুক্ত হন কিন্তুু
3রা নভেম্বরের জেলহত্যাকান্ডের
প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন। তিনি 1976
সালে নিজেই ‘জাতীয় জনতা পার্টি’
প্রতিষ্ঠা করেন। 1978 এবং 1981 সালের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে
প্রতিযোগিতা করেন। অবশেষে 1984
সালে এই কির্তীমান পুরুষ ক্যান্সারে
আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে মৃত্যুবরন করেন।
সংগৃহীত।