ট্রাম্পের মুসলিম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ নিয়ে শুক্রবার রাতে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না হোয়াইট হাউস। তবে অবশ্যই এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হবে; জানান হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র।
যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসন সীমিত করতে ২৭ জানুয়ারি ওই নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। আদেশ অনুযায়ী, আগামী চার মাস যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ থাকবে। সিরীয়দের জন্য এই আদেশ পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে। ৩ মাস বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি। ট্রাম্পের নির্বাহী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দ্বৈত-নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া (গ্রিন কার্ড হোল্ডার) ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও ওই আদেশ কার্যকর হবে। ট্রাম্পের ওই আদেশের পর তীব্র সমালোচনা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্দোলন, বিমানবন্দরগুলোতে ব্যাপক ভুল বোঝাবুঝির এক পর্যায়ে মামলা হয় সিয়াটলের আদালতে। শুক্রবার ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী নিষেধাজ্ঞায় সিয়াটলের সেই আদালতে দেওয়া স্থগিতাদেশ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ট্রাম্পের আদেশকে সুরক্ষা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার বিভাগ ওই স্থগিতাদেশ রদ করতে পদক্ষেপ নেবে।’ স্পাইসার বলেন, মার্কিন ভূখণ্ড নিরাপদ রাখতেই প্রেসিডেন্ট ওই আদেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে মার্কিন জনগণকে রক্ষার সাংবিধানিক কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব প্রেসিডেন্টের রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় ওই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মুসলিমদের নয়, বরং খ্রিস্টানদের শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করার কথা বলা হয়। আদালতের আদেশে বলা হয়, ‘খ্রিস্টানদের এক ভিন্ন গ্রুপে ফেলে দেওয়ার কোনও অবকাশ নেই।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স।