ওয়াশিংটন: ওয়াশিংটন পৌঁছলেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ব্রেক্সিটের পরে আমেরিকা–বৃটেনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কী হবে, মূলত তা নিয়েই দু’জনের মধ্যে কথা হবে। এ
ছাড়া এদিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নেটো–সহ আরও একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। কিন্তু দু’জনের রাজনৈতিক মতবাদ তো ভিন্ন। কয়েকদিন আগেই টেরেসা মে বলেছিলেন,‘মাঝে মধ্যে বিপরীত মনস্ক মানুষেরা একে–অপরের প্রতি আকর্ষিত হয়ে থাকে।’
এদিকে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে প্রথমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন তিনি। জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। বলেন, ‘শনিবার মস্কোর স্থানীয় সময় সন্ধ্যাবেলা দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা টেলিফোনে কথা বলবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার পরে এই প্রথম ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন পুতিন।
তবে দু’জনের মধ্যে সব বিষয়ে হয়তো কথা হবে না। ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতেই মূলত এই ফোনালাপ। তাই আমাদের ধৈর্য ধরতেই হবে।’ এর আগে নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরেই ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন পুটিন। এমনকী নির্বাচনী প্রচারে জানিয়েছিলেন, আগামীদিনে রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা চালাবে আমেরিকা।
তাছাড়া সে সময় একাধিকবার রুশ প্রেসিডেন্টের প্রশংসাও করেছিলেন ট্রাম্প। যে কারণে নির্বাচনী প্রচারে প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটন তাকে পুতিনের ‘পোষা কুকুর’ বলে অভিহিত করেন। ট্রাম্পের পূর্বসূরি বারাক ওবামা অবশ্য বারবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন। দাবি করেছিলেন, এর পিছনে পুতিনের মস্তিষ্ক রয়েছে।