ঢাকা ১২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা “সিলেট প্রদেশ প্রতিষ্ঠার দাবীতে লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সভা অনুষ্ঠিত” জাউয়াবাজারে বিএনপি নেতাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সমাবেশ গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্য জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে সংবর্ধনা ও গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত

ডাচ সাংবাদিক পিটার কাস্টার্স আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার,
985
বাংলাদেশের বন্ধু খেতাবপ্রাপ্ত ডাচ সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক পিটার কাস্টার্স মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নেদারল্যান্ডসের লেইডেনে নিজ বাসভবনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি সহধর্মিনী সুমিতা নায়ার এবং ছেলে সুকান্ত কাস্টার্সসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তাঁর সহধর্মিণী সুনিতা নায়ার জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরিতে ভূমিকা রেখেছিলেন পিটার। ওই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সভা-সমাবেশ করেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে নেদারল্যান্ডসের দ্য নিউ আমস্টারডাম পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ৮ ডিসেম্বর তাঁকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেফতার করে। স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেনা সরকারের আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি কারাভোগ করেন। পরে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের মধ্যস্থতায় তাঁকে মুক্তি দেয়া হয় এবং তার বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৯২ সালে পিটার আবার বাংলাদেশে আসেন। ২০১০ সালে তাকে মানবাধিকার রক্ষক ও বাংলাদেশের বন্ধু সম্মাননা দেয়া হয়।

পিটার কাস্টার্স বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে শুনানির আয়োজনে সহায়তা করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের নারী শ্রম, তৈরি পোশাক শ্রমিক, মাওলানা ভাসানী, কাজী নজরুল ইসলাম ও লালনের ওপর গবেষণা করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর বেশ কয়েকটি বই রয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

ডাচ সাংবাদিক পিটার কাস্টার্স আর নেই

আপডেট সময় : ১১:২৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

স্টাফ রিপোর্টার,
985
বাংলাদেশের বন্ধু খেতাবপ্রাপ্ত ডাচ সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক পিটার কাস্টার্স মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নেদারল্যান্ডসের লেইডেনে নিজ বাসভবনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি সহধর্মিনী সুমিতা নায়ার এবং ছেলে সুকান্ত কাস্টার্সসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তাঁর সহধর্মিণী সুনিতা নায়ার জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরিতে ভূমিকা রেখেছিলেন পিটার। ওই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সভা-সমাবেশ করেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে নেদারল্যান্ডসের দ্য নিউ আমস্টারডাম পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ৮ ডিসেম্বর তাঁকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেফতার করে। স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেনা সরকারের আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি কারাভোগ করেন। পরে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের মধ্যস্থতায় তাঁকে মুক্তি দেয়া হয় এবং তার বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৯২ সালে পিটার আবার বাংলাদেশে আসেন। ২০১০ সালে তাকে মানবাধিকার রক্ষক ও বাংলাদেশের বন্ধু সম্মাননা দেয়া হয়।

পিটার কাস্টার্স বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে শুনানির আয়োজনে সহায়তা করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের নারী শ্রম, তৈরি পোশাক শ্রমিক, মাওলানা ভাসানী, কাজী নজরুল ইসলাম ও লালনের ওপর গবেষণা করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর বেশ কয়েকটি বই রয়েছে।