ঢাকা ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

ডানার টুকরোটি নিখোঁজ বিমানেরই: ফ্রান্স

স্টাফ রিপোর্টার,
945
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ এমএইচ৩৭০ বিমানের ধ্বংসাবশেষের সম্ভাব্য একটি অংশ ভারত মহাসাগরের দূরবর্তী এক দ্বীপ থেকে উদ্ধারের পর সেটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবশেষে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। রিইউনিয়ন দ্বীপ থেকে উদ্ধার করা বিমানের ডানার ওই টুকরোটি নিখোঁজ বিমানের বলেই গতকাল নিশ্চিত করেছেন ফরাসি আইনজীবীরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ১ মাস আগে ২ মিটার বা প্রায় ৭ ফুট দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট ডানার ওই টুকরোটি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়। এক বিবৃতিতে প্যারিসের আইনজীবীরা বলেছেন, আজ এটা নিশ্চিতভাবেই বলা সম্ভব যে, গত ২৯শে জুন রিইউনিয়ন দ্বীপে বিমানের যে ডানাটি পাওয়া গেছে, সেটি নিখোঁজ এমএইচ৩৭০ বিমানেরই। গতকাল প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তারা ডানার ওই অংশে ৩টি নম্বর শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে একটি নম্বর এমএইচ৩৭০ বিমানের সিরিয়াল নম্বরের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। বিমানটি সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে, এটা প্রমাণিত হলেও, কোথায় সেটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। গত মাসে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক যে দাবি করেছিলেন, সেটাই সত্যি বলে প্রমাণিত হলো। তদন্ত কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বিমানটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে বিধ্বস্ত হয়েছিল। গত বছরের ৮ই মার্চ বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি নিখোঁজ হয়। ২৩৯ যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পর বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে বিমানটির ভাগ্যে কি ঘটেছিল, তা জানার বহু চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র বিমানটির ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করা ও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়। কিন্তু, রহস্য অধরাই থেকে যায়। এর আগে ভার মহাসাগরে বেশ কয়েকবার কয়েকটি বস্তু পাওয়া গেলেও, শেষ পর্যন্ত সেগুলো নিখোঁজ বিমানের নয় বলে প্রমাণিত হয়। নাজিব রাজাকের ঘোষণা সত্ত্বেও, ফ্রান্সের তদন্ত কর্মকর্তারা কোন মন্তব্য করার ক্ষেত্রে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন। তারা শুধু বলেছিলেন, ধ্বংসাবশেষটি বিমানের অংশ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে মন্তব্য করেছিলেন তারা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

ডানার টুকরোটি নিখোঁজ বিমানেরই: ফ্রান্স

আপডেট সময় : ০৯:১৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

স্টাফ রিপোর্টার,
945
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ এমএইচ৩৭০ বিমানের ধ্বংসাবশেষের সম্ভাব্য একটি অংশ ভারত মহাসাগরের দূরবর্তী এক দ্বীপ থেকে উদ্ধারের পর সেটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবশেষে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। রিইউনিয়ন দ্বীপ থেকে উদ্ধার করা বিমানের ডানার ওই টুকরোটি নিখোঁজ বিমানের বলেই গতকাল নিশ্চিত করেছেন ফরাসি আইনজীবীরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ১ মাস আগে ২ মিটার বা প্রায় ৭ ফুট দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট ডানার ওই টুকরোটি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়। এক বিবৃতিতে প্যারিসের আইনজীবীরা বলেছেন, আজ এটা নিশ্চিতভাবেই বলা সম্ভব যে, গত ২৯শে জুন রিইউনিয়ন দ্বীপে বিমানের যে ডানাটি পাওয়া গেছে, সেটি নিখোঁজ এমএইচ৩৭০ বিমানেরই। গতকাল প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তারা ডানার ওই অংশে ৩টি নম্বর শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে একটি নম্বর এমএইচ৩৭০ বিমানের সিরিয়াল নম্বরের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। বিমানটি সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে, এটা প্রমাণিত হলেও, কোথায় সেটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। গত মাসে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক যে দাবি করেছিলেন, সেটাই সত্যি বলে প্রমাণিত হলো। তদন্ত কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বিমানটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে বিধ্বস্ত হয়েছিল। গত বছরের ৮ই মার্চ বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি নিখোঁজ হয়। ২৩৯ যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পর বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে বিমানটির ভাগ্যে কি ঘটেছিল, তা জানার বহু চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র বিমানটির ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করা ও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়। কিন্তু, রহস্য অধরাই থেকে যায়। এর আগে ভার মহাসাগরে বেশ কয়েকবার কয়েকটি বস্তু পাওয়া গেলেও, শেষ পর্যন্ত সেগুলো নিখোঁজ বিমানের নয় বলে প্রমাণিত হয়। নাজিব রাজাকের ঘোষণা সত্ত্বেও, ফ্রান্সের তদন্ত কর্মকর্তারা কোন মন্তব্য করার ক্ষেত্রে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন। তারা শুধু বলেছিলেন, ধ্বংসাবশেষটি বিমানের অংশ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে মন্তব্য করেছিলেন তারা।