তাজ উদ্দীন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চারটি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া খালাসাদেশের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে, মামলাগুলোতে তারেক রহমানের খালাস বহাল থাকছে। এই রায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি এনেছে এবং দলটির পক্ষ থেকে একে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল বলে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে। তাদের দাবি, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য এসব মামলা দায়ের করেছে। আপিল বিভাগের এই রায়ের মাধ্যমে বিএনপির সেই অভিযোগ আরও জোরালো হলো বলেই মনে করছেন দলটির নেতারা।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলাগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে আপিল করেছিল। তাদের যুক্তি ছিল, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো যথেষ্ট গুরুতর এবং এর যথাযথ বিচার হওয়া প্রয়োজন। তবে, আপিল বিভাগের খারিজের মাধ্যমে সরকারের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো।
রায় ঘোষণার পর বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমেও অনেকে এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এই রায় প্রমাণ করে, সত্যের জয় সবসময়ই হয়। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল, যা আজ মিথ্যা প্রমাণিত হলো।”
এই রায় এমন এক সময়ে এলো যখন বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই রায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল আরও বাড়াবে এবং তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একইসঙ্গে, সরকারের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তবে, সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এখন দেখার বিষয়, সরকার এই রায়কে কীভাবে গ্রহণ করে এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয় কিনা।
সব মিলিয়ে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৪টি মামলায় সরকারের আপিল খারিজ হয়ে যাওয়া দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই রায়ের তাৎপর্য এবং এর প্রভাব ভবিষ্যতে আরও স্পষ্ট হবে।