খুলনায় প্রথমবারের মত অাগামী (৯-ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তাবলিগ জামায়াতের তিন দিনের ইজতেমা। নগরীর লবনচোরা থানাধীন খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক সংলগ্ন মোহাম্মাদ নগর এলাকায় ধর্মীয় এই অায়োজনে ১৬টি দেশের ১২০ জন বিদেশি অতিথিসহ প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ মুসল্লির সমাগম হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও অায়োজকরা তাদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ইজতেমায় তিন স্তরের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ, ইতোমধ্যে ইজতেমা এলাকা ৫৪টি সিসি ক্যামেরাসহ বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ডিসি) এবং কেএমপি পুলিশ সদর দফতরে কন্ট্রোল রুম রাখা হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বিজিবি, কোস্টগার্ড, ৱ্যাব, আনসার, ডিজিএফআই, এনএসআই, সিটিএসবিসহ সব গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এদিকে ইজতেমা অায়োজক কমিটির সমন্বয়ক মোঃ তারেক সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, মাঠ প্রস্তুত করার শেষ মুহুর্তের কাজ করছে তাবলিগ জামায়াতের সেচ্ছাসেবী কর্মীরা। প্রায় ৬ লক্ষ বর্গফুটের এই মাঠে অাগামী বৃহস্পতিবার ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই ইজতেমা। পানি, বিদ্যুৎ, মেডিকেল টিম, ৫১৬টি টয়লেট ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বাজারের সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। কোন মুসল্লি অসুস্থ্য হলে দ্রুত তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছে এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা।
সোমবার (৬-ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা মহানগরর পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি ইজতেমার মাঠ পরিদর্শনে এসে ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনের লক্ষে বলেন, প্রথম বারের মত অায়োজন করা বড় ধরনের এই ইজতেমার নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশসহ অাইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কমিটির পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে খুলনা-মোংলা রোডের ভারি যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া যে কোনো প্রয়োজনে ডিসি কন্ট্রোল রুমে (০৪১-৭২০৪৫৭ ও ০১৭৭৮-৩৭৭৫৭৭) এবং কেএমপি কন্ট্রোল রুমে (০১৫৫৮-৩২৮০০ ও ০১৫৫০-১৫০০৯৯) যোগাযোগ করা যাবে। বিশেষ প্রয়োজনে কেএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনারের (সিটিএসবি) সঙ্গে যোগাযোগ (০১৭১৩-৩৭৩২৯০) করা যাবে।