ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

দুঃস্থদের খাবার খেল বিএনপি নেতাকর্মীরা

মহিউদ্দিন মাহী,


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচি। আয়োজনে বিএনপিপন্থি সংগঠন জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল। ঘটনাস্থল নয়াপল্টন। সংখ্যায় বেশি না হলেও খাবার নিতে আসলো বেশ কিছু দুঃস্থ মানুষ। কিন্তু খাবার পেলো না সবাই। কারণ, নেতা-কর্মীরাই খেয়ে ফেলেছেন খাবারের একটি বড় অংশ।

শুক্রবার দুপুরে বিএনপি কার্যালয়ের নিচ তলায় এই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে বিব্রত দলটির অনেক নেতা-কর্মী। বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

সকালে এই কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পৌনে এক ঘণ্টার এই সংবাদ সম্মেলন শেষে নিচতলায় দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়াও।

উপস্থিত দুঃস্থদের অনেকেই খাবার নিতে এসে খালি হাতে ফিরে গেছেন। এ সময় ক্ষোভ জানান তারা। ওই কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, মির্জা ফখরুলের সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রিত না থাকলেও ভিড় জমায় নেতা-কর্মীরা। তাদের চাপে সাংবাদিকরাও জায়গা করে নিতে হিমশিম খান। এরাই আবার সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দুঃস্থদের খাবার খেয়ে নেন।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুঃস্থ নারী আরজিনা বেগম। তিনি জানান, ‘ক্যাবা আমাক ডাকল। খাবার তো পাইলাম না।’

কহিনুর নামে এক নারী জানাল, তাকে রামপুরা থেকে আনা হয়েছে। কিন্তু তিনিও খাবার পাননি। তিনি বলেন, ‘আমারে কেন আনলো?’।

বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এই ধরনের অনুষ্ঠান মিডিয়ায় প্রচারের জন্য আয়োজন না করে, যে উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছে সেটাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত।’

অন্য এক নেতা বলেন, ‘দুঃস্থ ও অসহায়দের মধ্যে খাবার বিতরণ করার কথা বলা হলেও আমাদের দলের নেতাকর্মীরাই তা খেয়ে ফেলেছেন। এটা কোনোভাবেই মানা যায় না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, ‘নেতাকর্মীদেরও তো পেট আছে। তারা খাবে না? তারাও খাবে। এইটা কোনো সমস্যা নয়।’

গয়েশ্বর দুঃস্থদের খাবার নেতা-কর্মীদের খেয়ে ফেলায় সমস্যা না দেখলেও এ নিয়ে সংবাদ তৈরিতে সমস্যা দেখছেন। তিনি বলেন, ‘দেশে এতো সমস্যা, সেগুলো নিয়ে আপনারা সংবাদ করেন না। কে খাবার পেল না, সেটি নিয়ে সংবাদ করছেন কেন। এটা তো এই মুহূর্তে দেশের কোনো সমস্যা না। আর খাবার যেখানে আছে, সেখানে কেউ পাবে, কেউ পাবে না- এই অভিযোগও থাকবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি বলেন, ‘আমি তো আর সবাইকে খাবার দিতে পারবো না। আমি যতোক্ষণ ছিলাম ততোক্ষণ সবাই খাবার পেয়েছে।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

দুঃস্থদের খাবার খেল বিএনপি নেতাকর্মীরা

আপডেট সময় : ০৬:১২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৭

মহিউদ্দিন মাহী,


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচি। আয়োজনে বিএনপিপন্থি সংগঠন জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল। ঘটনাস্থল নয়াপল্টন। সংখ্যায় বেশি না হলেও খাবার নিতে আসলো বেশ কিছু দুঃস্থ মানুষ। কিন্তু খাবার পেলো না সবাই। কারণ, নেতা-কর্মীরাই খেয়ে ফেলেছেন খাবারের একটি বড় অংশ।

শুক্রবার দুপুরে বিএনপি কার্যালয়ের নিচ তলায় এই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে বিব্রত দলটির অনেক নেতা-কর্মী। বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

সকালে এই কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পৌনে এক ঘণ্টার এই সংবাদ সম্মেলন শেষে নিচতলায় দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়াও।

উপস্থিত দুঃস্থদের অনেকেই খাবার নিতে এসে খালি হাতে ফিরে গেছেন। এ সময় ক্ষোভ জানান তারা। ওই কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, মির্জা ফখরুলের সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রিত না থাকলেও ভিড় জমায় নেতা-কর্মীরা। তাদের চাপে সাংবাদিকরাও জায়গা করে নিতে হিমশিম খান। এরাই আবার সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দুঃস্থদের খাবার খেয়ে নেন।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুঃস্থ নারী আরজিনা বেগম। তিনি জানান, ‘ক্যাবা আমাক ডাকল। খাবার তো পাইলাম না।’

কহিনুর নামে এক নারী জানাল, তাকে রামপুরা থেকে আনা হয়েছে। কিন্তু তিনিও খাবার পাননি। তিনি বলেন, ‘আমারে কেন আনলো?’।

বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এই ধরনের অনুষ্ঠান মিডিয়ায় প্রচারের জন্য আয়োজন না করে, যে উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছে সেটাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত।’

অন্য এক নেতা বলেন, ‘দুঃস্থ ও অসহায়দের মধ্যে খাবার বিতরণ করার কথা বলা হলেও আমাদের দলের নেতাকর্মীরাই তা খেয়ে ফেলেছেন। এটা কোনোভাবেই মানা যায় না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, ‘নেতাকর্মীদেরও তো পেট আছে। তারা খাবে না? তারাও খাবে। এইটা কোনো সমস্যা নয়।’

গয়েশ্বর দুঃস্থদের খাবার নেতা-কর্মীদের খেয়ে ফেলায় সমস্যা না দেখলেও এ নিয়ে সংবাদ তৈরিতে সমস্যা দেখছেন। তিনি বলেন, ‘দেশে এতো সমস্যা, সেগুলো নিয়ে আপনারা সংবাদ করেন না। কে খাবার পেল না, সেটি নিয়ে সংবাদ করছেন কেন। এটা তো এই মুহূর্তে দেশের কোনো সমস্যা না। আর খাবার যেখানে আছে, সেখানে কেউ পাবে, কেউ পাবে না- এই অভিযোগও থাকবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি বলেন, ‘আমি তো আর সবাইকে খাবার দিতে পারবো না। আমি যতোক্ষণ ছিলাম ততোক্ষণ সবাই খাবার পেয়েছে।’