ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাউয়াবাজারে বিএনপি নেতাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সমাবেশ গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্য জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে সংবর্ধনা ও গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত ইউরোপ এবং বাংলাদেশের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের সংলাপ বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরন শুরু ব্রিটেনে চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে: এনএইচকেকে প্রধান উপদেষ্টা হবিগঞ্জে হাসপাতাল থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত মেহের আফরোজ শাওন গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত নেতা সাংগঠনিক টিম প্রধান! বাংলাদেশী সংস্কৃতির বিকাশ বইমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই : মিফতাহ্ সিদ্দিকী ওয়েলস কুলাউড়া সোসাইটি ইউকের উদ্দোগে কার্ডিফে মরহুম ফিরুজ আলীর মৃত্যুতে শোক সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য জাপানের আবারও দুঃখপ্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার,
473
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাঁর দেশের ভূমিকার জন্য গভীর দু:খপ্রকাশ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জাপানের অতীত সরকারগুলোর অবস্থানই পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নতুন করে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা তিনি করেন নি।
মিঃ আবে বলেছেন তার দেশের যুদ্ধকালীন তৎপরতার কারণে ওই অঞ্চলে ব্যাপক দুঃখদুদর্শার জন্য জাপানের অনুতপ্ত বোধ করা উচিত। তবে জাপান যে সেসময় একটা আগ্রাসী যুদ্ধ চালিয়েছিল এমন বক্তব্য তিনি এড়িয়ে গেছেন।
শিনযো আবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের ভূমিকা নিয়ে কি বলেন, তা খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল এশিয়ায় তাদের অন্যান্য প্রতিবেশীরা। বিশেষ করে চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়া, যারা জাপানের হাতে নানাভাবে পর্যদুস্ত হয়েছে।
শিনজো আবে জাপানের যুদ্ধকালীন নৃশংসতাকে খাটো করে দেখাতে চাইতে পারেন, চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় মধ্যে এমন একটা আশংকা কাজ করছিল। কিন্তু মিস্টার আবে শেষ পর্যন্ত বেশ সতর্কভাবেই তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।
তিনি আগের সরকারগুলোর মত অনেকটা একই ভাষায় যুদ্ধকালীন ভূমিকার জন্য জাপান যে অনুতপ্ত তা জানিয়েছেন, কিন্তু আবার একই সঙ্গে একথাও বলেছেন যে অতীতের এই কাজের জন্য জাপানের সব ভবিষ্যত প্রজন্মকে বছরের পর বছর ক্ষমা চেয়ে যেতে হবে সেটাও ঠিক নয়।তিনি আরও বলেন, জাপান তার অতীতের ভূল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দিক থেকে জাপানী প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ বিবৃতির ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান বার্তা সংস্থা বলেছে, মিস্টার আবে যদিও গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে জাপানের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাননি। অন্যদিকে চীনের সরকারী বার্তা সংস্থা সিনহুয়া মিস্টার আবের সমালোচনা করে বলেছে, তিনি এবার ক্ষমা প্রার্থনা সুরকে যেন আরও নীচু লয়ে নিয়ে এসেছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাউয়াবাজারে বিএনপি নেতাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সমাবেশ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য জাপানের আবারও দুঃখপ্রকাশ

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৫

স্টাফ রিপোর্টার,
473
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাঁর দেশের ভূমিকার জন্য গভীর দু:খপ্রকাশ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জাপানের অতীত সরকারগুলোর অবস্থানই পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নতুন করে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা তিনি করেন নি।
মিঃ আবে বলেছেন তার দেশের যুদ্ধকালীন তৎপরতার কারণে ওই অঞ্চলে ব্যাপক দুঃখদুদর্শার জন্য জাপানের অনুতপ্ত বোধ করা উচিত। তবে জাপান যে সেসময় একটা আগ্রাসী যুদ্ধ চালিয়েছিল এমন বক্তব্য তিনি এড়িয়ে গেছেন।
শিনযো আবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের ভূমিকা নিয়ে কি বলেন, তা খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল এশিয়ায় তাদের অন্যান্য প্রতিবেশীরা। বিশেষ করে চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়া, যারা জাপানের হাতে নানাভাবে পর্যদুস্ত হয়েছে।
শিনজো আবে জাপানের যুদ্ধকালীন নৃশংসতাকে খাটো করে দেখাতে চাইতে পারেন, চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় মধ্যে এমন একটা আশংকা কাজ করছিল। কিন্তু মিস্টার আবে শেষ পর্যন্ত বেশ সতর্কভাবেই তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।
তিনি আগের সরকারগুলোর মত অনেকটা একই ভাষায় যুদ্ধকালীন ভূমিকার জন্য জাপান যে অনুতপ্ত তা জানিয়েছেন, কিন্তু আবার একই সঙ্গে একথাও বলেছেন যে অতীতের এই কাজের জন্য জাপানের সব ভবিষ্যত প্রজন্মকে বছরের পর বছর ক্ষমা চেয়ে যেতে হবে সেটাও ঠিক নয়।তিনি আরও বলেন, জাপান তার অতীতের ভূল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দিক থেকে জাপানী প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ বিবৃতির ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান বার্তা সংস্থা বলেছে, মিস্টার আবে যদিও গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে জাপানের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাননি। অন্যদিকে চীনের সরকারী বার্তা সংস্থা সিনহুয়া মিস্টার আবের সমালোচনা করে বলেছে, তিনি এবার ক্ষমা প্রার্থনা সুরকে যেন আরও নীচু লয়ে নিয়ে এসেছেন।