ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

নতুন নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানাল আ.লীগ, ১৪ দল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুদায়িত্ব পালনে দক্ষতার সাক্ষর রেখে কাজ করবেন।

প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত দেবেন তার প্রতি আমরা সম্মান জানাবো। রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তারা কর্মজীবনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। আশা করি আগামীতেও তারা দক্ষতার পরিচয় দেবেন’।

দলটির আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে নাম প্রস্তাব করেছিল, রাষ্ট্রপতি তাদেরকে নিয়োগ দেননি, কিন্তু রাষ্ট্রপতির ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে’।

সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির প্রতি আমাদের আস্থা বিশ্বাস রয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিয়েছেন, তাদেরকে আমরা অভিনন্দন জানাই’। তিনি বলেন, নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনাররা তারা সবাই দক্ষ এবং গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি। অতীতের মত আগামী নির্বাচনেও তারা তাদের দক্ষতার পরিচয় দিবে।

সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই’।

এদিকে নতুন নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানিয়েছে ১৪ দলীয় জোটের নেতারাও। জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, সময়তম সিদ্ধান্ত দিয়ে রাষ্ট্রপতি দেশের রাজনৈতিক দল ও জনমানুষের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন।

গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি । যা আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক। এতে জাতি উপকৃত হবে। রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব বিবেচনা করায় আমরা রাষ্ট্রপতি এবং সার্চ কমিটিকে অভিনন্দন জানাই’।

দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ একটি ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য সংলাপ আহ্বান করেছিলেন। গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সাথে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এ আলোচনা শুরু হয়। আওয়ামী লীগ ছাড়াও রাষ্ট্রপতি ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।

এর আগে গত বছর ১৮ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন গঠনকল্পে ১৩ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন। এর আলোকে গত ৬ ডিসেম্বর বিএনপি একটি প্রস্তাবনাপত্র রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ বরাবরর তার বিবেচনার জন্য প্রেরণ করেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১১ জানুয়ারি, বুধবার বিকালে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত সে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এএমএ মুহিত, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং মোহাম্মদ জমির, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হয়ে যায়। নতুন ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার উদ্যোগ নেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির এই আলোচনার সমাপ্তি ঘটে।
কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় না গিয়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দেয় আওয়ামী লীগ। একটি যোগ্য সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দেয়া প্রস্তাবেও সায় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

নতুন নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানাল আ.লীগ, ১৪ দল

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুদায়িত্ব পালনে দক্ষতার সাক্ষর রেখে কাজ করবেন।

প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত দেবেন তার প্রতি আমরা সম্মান জানাবো। রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তারা কর্মজীবনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। আশা করি আগামীতেও তারা দক্ষতার পরিচয় দেবেন’।

দলটির আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে নাম প্রস্তাব করেছিল, রাষ্ট্রপতি তাদেরকে নিয়োগ দেননি, কিন্তু রাষ্ট্রপতির ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে’।

সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির প্রতি আমাদের আস্থা বিশ্বাস রয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিয়েছেন, তাদেরকে আমরা অভিনন্দন জানাই’। তিনি বলেন, নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনাররা তারা সবাই দক্ষ এবং গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি। অতীতের মত আগামী নির্বাচনেও তারা তাদের দক্ষতার পরিচয় দিবে।

সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই’।

এদিকে নতুন নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানিয়েছে ১৪ দলীয় জোটের নেতারাও। জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, সময়তম সিদ্ধান্ত দিয়ে রাষ্ট্রপতি দেশের রাজনৈতিক দল ও জনমানুষের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন।

গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি । যা আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক। এতে জাতি উপকৃত হবে। রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব বিবেচনা করায় আমরা রাষ্ট্রপতি এবং সার্চ কমিটিকে অভিনন্দন জানাই’।

দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ একটি ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য সংলাপ আহ্বান করেছিলেন। গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সাথে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এ আলোচনা শুরু হয়। আওয়ামী লীগ ছাড়াও রাষ্ট্রপতি ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।

এর আগে গত বছর ১৮ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন গঠনকল্পে ১৩ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন। এর আলোকে গত ৬ ডিসেম্বর বিএনপি একটি প্রস্তাবনাপত্র রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ বরাবরর তার বিবেচনার জন্য প্রেরণ করেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১১ জানুয়ারি, বুধবার বিকালে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত সে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এএমএ মুহিত, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং মোহাম্মদ জমির, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হয়ে যায়। নতুন ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার উদ্যোগ নেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির এই আলোচনার সমাপ্তি ঘটে।
কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় না গিয়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দেয় আওয়ামী লীগ। একটি যোগ্য সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দেয়া প্রস্তাবেও সায় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।