স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কসড়া কমিটি প্রস্তুত করা হয়েছে। ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামীলীগের খসড়া কমিটির সংবাদে জেলার ৭টি থানায় পদ পদবী পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগসহ অঙ্গসংগঠনে থাকা নেতৃবৃন্দ। এমনকি জেলার ফতুল্লা, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ,সোনারগাঁও এবং নারায়ণগঞ্জ সদরের নেতৃত্বে থাকা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে স্থান পাওয়া এবং ত্যাগী ও দলের জন্য নিবেদিত প্রান এমন নেতৃত্বকে রাজনীতিতে সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই যে কোন সময় উক্ত ৭টি থানা আওয়ামীলীগের কমিটি বিলুপ্তির ঘোষনা এখন মাত্র সময়ের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে বলেও জেলা আওয়ামীলীগের সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় যুগ পর গঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। যার আকার ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তা নির্ভর করছে কেন্দ্রের উপর। দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর পর ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আবদুল হাই, সিনিয়র সহ-সভাপতি সিটি মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী এবং সাধারণ সম্পাদক জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদলের নাম ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ। এরপর এই তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে গত বছরের অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত আওয়ামীলীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনের পূর্বেই ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকার খসড়া প্রস্তুত করে কেন্দ্রে প্রেরণের নির্দেশনা দেয়া হয়। এদিকে এমন সংবাদে জেলার আওতাভূক্ত ৭টি থানায় পদ পদবী পাওয়ার জন্য দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এমনকি জেলা কমিটিতে থানা পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়া একাদিক নেতৃবৃন্দ স্থান পাওয়ায় থানা পর্যায়ের কমিটিতেও তারআ থাকছে না বলেও সুত্রটি নিশ্চিত করেছে।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই জানান, প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের এ কমিটিতে রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য ৭৫ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটির তালিকা ২/১ দিনের মধ্যে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পরই চূড়ান্ত হবে জেলা কমিটির সদস্যদের নাম।
তিনি আরো জানান, এ তালিকায় কার্যকরী সদস্য হিসেবে নারায়ণগঞ্জের সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্যদের নাম দেয়া হয়েছে। তবে কেউ যদি স্বেচ্ছায় কেউ কমিটিতে থাকতে না চায় তাহলে সেটা তার এখতিয়ার। তিনি আরো জানান, যেহেতু অচিরেই জেলা আওয়ামীলীগের পূনাঙ্গ কমিটি পূনাঙ্গ করে হতে যাচ্ছে। সে হিসেবে জেলার আওতাধীন থানা পর্যায়ের কমিটি গুলো ঢেলে সাজানোর বিষয়টি সময়ের ব্যাপর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২০ ডিসেম্বর শহরের শহীদ জিয়া হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ¦ীতায় মরহুম নাজমা রহমান সভাপতি ও শামীম ওসমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকার গঠন করলে শামীম ওসমান দেশ ত্যাগ করেন। তখন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন নাজমা রহমান। এর পর পরই জেলার আওতাধীণ ৭টি থানার কমিটি ঘোষনা করা হয়।