ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

নিখোঁজ শিশুকে খুঁজতে ব্যয় ১৩০ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার,
905
নিখোঁজ এক শিশুকে খুঁজতে চার বছরে ১ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড বা প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। কিন্তু তদন্তে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের দ্য সান। ২০০৭ সালের মে মাসে পর্তুগালের প্রাইয়া দা লুজ অবকাশযাপন কেন্দ্র থেকে লাপাত্তা হয়ে যায় ছোট্ট শিশু মাডেলেইনে। পর্তুগিজ পুলিশ কয়েক বছর নিস্ফল তদন্ত চালানোর পর ২০১১ সাল থেকে তদন্ত শুরু করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। বর্তমানে এ মামলার ক্ষেত্রে যত অর্থ ব্যয় হচ্ছে, আগামী এপ্রিলে এ ব্যয় ১ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে। তবে ২০১১ সালের মে মাসে মাডেলেইনেকে উদ্ধারে অপারেশন গ্রাঞ্জের কথা ঘোষণা দেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সে সময় ক্যামেরন তদন্ত ব্যয় ৫০ লাখ ডলারের মধ্যে সীমিত রাখার আশ্বাস দেন। কিন্তু তার প্রতিশ্রুত অর্থের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি অর্থ ইতিমধ্যে ব্যয় হয়ে গেছে। কিন্তু মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা ম্যাডেলেইনের পিতামাতা কেইট ও গেরিকে মূল সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নেয়। এটি পরে ভুল প্রমাণিত হয়। এতে করে মূল অপহরণকারী আড়ালে চলে যেতে সক্ষম হয়। এছাড়াও আরও অনেক ভুল পদক্ষেপ চোখে পড়ে তদন্ত কাজে। ফলে অনেক প্রমাণ হারিয়ে যায়। মূল অপরাধীকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করার অনেক সুযোগও হারিয়ে যায়। ২০০৮ সালে এ মামলা সমাধান না করেই তদন্ত থামিয়ে দিতে বাধ্য হয় পর্তুগিজ পুলিশ। ২০১১ সালের মে মাসে কেইট ও গ্যারি নতুন করে প্রচারণা চালান এ মামলাটি যাতে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তদন্ত করে। তাদের প্রচারণা ফলপ্রসূ হয়। মামলাটি গ্রহণ করে বৃটিশ তদন্ত সংস্থাটি। কিন্তু গত চার বছরে মামলায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ম্যাডেলেইনে সহ ১৫৫ জন শিশু নিখোঁজ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে শিশু নিখোঁজ হবার প্রতি ঘটনা তদন্তে ২৪১৫ পাউন্ড ব্যয় করে যুক্তরাজ্য। কিন্তু কেবলমাত্র ম্যাডেলেইনের মামলাতেই প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড ব্যয় হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

নিখোঁজ শিশুকে খুঁজতে ব্যয় ১৩০ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৮:১১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

স্টাফ রিপোর্টার,
905
নিখোঁজ এক শিশুকে খুঁজতে চার বছরে ১ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড বা প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। কিন্তু তদন্তে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের দ্য সান। ২০০৭ সালের মে মাসে পর্তুগালের প্রাইয়া দা লুজ অবকাশযাপন কেন্দ্র থেকে লাপাত্তা হয়ে যায় ছোট্ট শিশু মাডেলেইনে। পর্তুগিজ পুলিশ কয়েক বছর নিস্ফল তদন্ত চালানোর পর ২০১১ সাল থেকে তদন্ত শুরু করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। বর্তমানে এ মামলার ক্ষেত্রে যত অর্থ ব্যয় হচ্ছে, আগামী এপ্রিলে এ ব্যয় ১ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে। তবে ২০১১ সালের মে মাসে মাডেলেইনেকে উদ্ধারে অপারেশন গ্রাঞ্জের কথা ঘোষণা দেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সে সময় ক্যামেরন তদন্ত ব্যয় ৫০ লাখ ডলারের মধ্যে সীমিত রাখার আশ্বাস দেন। কিন্তু তার প্রতিশ্রুত অর্থের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি অর্থ ইতিমধ্যে ব্যয় হয়ে গেছে। কিন্তু মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা ম্যাডেলেইনের পিতামাতা কেইট ও গেরিকে মূল সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নেয়। এটি পরে ভুল প্রমাণিত হয়। এতে করে মূল অপহরণকারী আড়ালে চলে যেতে সক্ষম হয়। এছাড়াও আরও অনেক ভুল পদক্ষেপ চোখে পড়ে তদন্ত কাজে। ফলে অনেক প্রমাণ হারিয়ে যায়। মূল অপরাধীকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করার অনেক সুযোগও হারিয়ে যায়। ২০০৮ সালে এ মামলা সমাধান না করেই তদন্ত থামিয়ে দিতে বাধ্য হয় পর্তুগিজ পুলিশ। ২০১১ সালের মে মাসে কেইট ও গ্যারি নতুন করে প্রচারণা চালান এ মামলাটি যাতে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তদন্ত করে। তাদের প্রচারণা ফলপ্রসূ হয়। মামলাটি গ্রহণ করে বৃটিশ তদন্ত সংস্থাটি। কিন্তু গত চার বছরে মামলায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ম্যাডেলেইনে সহ ১৫৫ জন শিশু নিখোঁজ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে শিশু নিখোঁজ হবার প্রতি ঘটনা তদন্তে ২৪১৫ পাউন্ড ব্যয় করে যুক্তরাজ্য। কিন্তু কেবলমাত্র ম্যাডেলেইনের মামলাতেই প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড ব্যয় হয়েছে।