ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা “সিলেট প্রদেশ প্রতিষ্ঠার দাবীতে লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সভা অনুষ্ঠিত”

নুরুল হুদা আ.লীগ-বিএনপির সুপারিশে ছিলেন না


ডেস্ক নিউজ :দেশের পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (‍সিইসি) হয়েছেন সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা। কিন্তু তাঁর নাম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সুপারিশে ছিল না।

সিইসি হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে মাহবুব তালুকদারের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। আর সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানমের নাম সিইসি হিসেবে সুপারিশ করেছিল আওয়ামী লীগ।

আজ সোমবার রাতে সচিবালয়ে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম রাষ্ট্রপতি গঠিত অনুসন্ধান কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জন সদস্যের নাম প্রকাশ করে এ তথ্য জানান।

কে এম নুরুল হুদা ছাড়া অন্য চার কমিশনার হলেন সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব তাঁদের নাম উল্লেখ করে বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সিইসি ও ইসি সদস্যদের মনোনয়ন দিয়েছেন। রাতেই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে। সিইসি হিসেবে যাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে, বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সুপারিশে তাঁর নাম ছিল না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিইসি হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে মাহবুব তালুকদারের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। আর সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানমের নাম সিইসি হিসেবে সুপারিশ করেছিল আওয়ামী লীগ।

এর আগে সন্ধ্যায় অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবস্থানের পর তাঁরা বঙ্গভবন ছেড়ে যান। ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজনৈতিক দল থেকে নেওয়া নাম থেকে ১০টি নাম সুপারিশ করে অনুসন্ধান কমিটি। সুপারিশে সিইসি হিসেবে সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা ও আলী ইমাম মজুমদারের নাম সুপারিশ করে অনুসন্ধান কমিটি।

এ ছাড়া কমিশনার হিসেবে মাহবুব তালুকদার, জারিনা রহমান খান, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর নাম সুপারিশ করা হয়।
তাঁদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি পরবর্তী সিইসি ও ইসির সদস্য বেছে নেন।

বিকেল চারটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে অনুসন্ধান কমিটির প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে সর্বশেষ বৈঠক হয়। দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান।

গত ২৫ জানুয়ারি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের পর ছয়টি বৈঠক হয়েছে। এর মধ্যে দুই দিন বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। আর রাজনৈতিক দল থেকে নাম পাওয়ার পর অনুসন্ধান কমিটি দুটি বৈঠক করে। বিশিষ্ট নাগরিকেরা দলনিরপেক্ষ, সাহসী, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করার সুপারিশ করেছেন। তাঁদের মত হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) হতে হবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে, মেরুদণ্ড হতে হবে সোজা। যাতে চাপ কিংবা হুমকির মুখেও প্রভাবমুক্ত হয়ে তাঁরা কাজ করতে পারেন।

ইসি গঠনে ২৫ জানুয়ারি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটিকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নারীসহ ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও অন্য তিন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কমিশনার শাহনেওয়াজের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। প্রথম আলো

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট

নুরুল হুদা আ.লীগ-বিএনপির সুপারিশে ছিলেন না

আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭


ডেস্ক নিউজ :দেশের পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (‍সিইসি) হয়েছেন সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা। কিন্তু তাঁর নাম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সুপারিশে ছিল না।

সিইসি হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে মাহবুব তালুকদারের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। আর সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানমের নাম সিইসি হিসেবে সুপারিশ করেছিল আওয়ামী লীগ।

আজ সোমবার রাতে সচিবালয়ে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম রাষ্ট্রপতি গঠিত অনুসন্ধান কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জন সদস্যের নাম প্রকাশ করে এ তথ্য জানান।

কে এম নুরুল হুদা ছাড়া অন্য চার কমিশনার হলেন সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব তাঁদের নাম উল্লেখ করে বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সিইসি ও ইসি সদস্যদের মনোনয়ন দিয়েছেন। রাতেই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে। সিইসি হিসেবে যাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে, বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সুপারিশে তাঁর নাম ছিল না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিইসি হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে মাহবুব তালুকদারের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। আর সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানমের নাম সিইসি হিসেবে সুপারিশ করেছিল আওয়ামী লীগ।

এর আগে সন্ধ্যায় অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবস্থানের পর তাঁরা বঙ্গভবন ছেড়ে যান। ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজনৈতিক দল থেকে নেওয়া নাম থেকে ১০টি নাম সুপারিশ করে অনুসন্ধান কমিটি। সুপারিশে সিইসি হিসেবে সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা ও আলী ইমাম মজুমদারের নাম সুপারিশ করে অনুসন্ধান কমিটি।

এ ছাড়া কমিশনার হিসেবে মাহবুব তালুকদার, জারিনা রহমান খান, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর নাম সুপারিশ করা হয়।
তাঁদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি পরবর্তী সিইসি ও ইসির সদস্য বেছে নেন।

বিকেল চারটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে অনুসন্ধান কমিটির প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে সর্বশেষ বৈঠক হয়। দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান।

গত ২৫ জানুয়ারি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের পর ছয়টি বৈঠক হয়েছে। এর মধ্যে দুই দিন বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। আর রাজনৈতিক দল থেকে নাম পাওয়ার পর অনুসন্ধান কমিটি দুটি বৈঠক করে। বিশিষ্ট নাগরিকেরা দলনিরপেক্ষ, সাহসী, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করার সুপারিশ করেছেন। তাঁদের মত হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) হতে হবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে, মেরুদণ্ড হতে হবে সোজা। যাতে চাপ কিংবা হুমকির মুখেও প্রভাবমুক্ত হয়ে তাঁরা কাজ করতে পারেন।

ইসি গঠনে ২৫ জানুয়ারি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটিকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নারীসহ ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও অন্য তিন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কমিশনার শাহনেওয়াজের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। প্রথম আলো