ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাউয়াবাজারে বিএনপি নেতাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সমাবেশ গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্য জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে সংবর্ধনা ও গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত ইউরোপ এবং বাংলাদেশের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের সংলাপ বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরন শুরু ব্রিটেনে চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে: এনএইচকেকে প্রধান উপদেষ্টা হবিগঞ্জে হাসপাতাল থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত মেহের আফরোজ শাওন গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত নেতা সাংগঠনিক টিম প্রধান! বাংলাদেশী সংস্কৃতির বিকাশ বইমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই : মিফতাহ্ সিদ্দিকী ওয়েলস কুলাউড়া সোসাইটি ইউকের উদ্দোগে কার্ডিফে মরহুম ফিরুজ আলীর মৃত্যুতে শোক সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত

পরীমনির দুর্ভাগ্য!

বিনোদন প্রতিনিধি,
808
দুর্ভাগ্য বলতে হবে। পরিপূর্ণ নায়িকা হিসেবে সকল যোগ্যতা থাকার পরও তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত ৪টি ছবির কোনটিই সুপারহিট হয়নি। অথচ প্রতিটি ছবিতেই পরীমনি চমৎকার অভিনয় করেছেন। পর্দায়ও তাকে যথেষ্ট গ্ল্যামারার্স মনে হয়েছে। দর্শকরাও তাকে পছন্দ করেছে। কিন্তু ছবি নির্মাণে দুর্বলতা থাকার কারণে ৪টি ছবিই প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়ায় চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীরা এটাকে পরীমনির দুর্ভাগ্য হিসেবেই চিহ্নিত করছেন। কারণ হিসেবে তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন, ৪টির মধ্যে একটিও যদি সুপারহিট হতো তাহলে পরীমনিকে নিয়ে নিশ্চিত থাকা যেত। তাদের কথা, অনেক দিন পর চলচ্চিত্র গতিশীল হওয়ার মতো একজন নায়িকা পেত। সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হচ্ছে যে ছবির মাধ্যমে পরীমনি আজকের আলোচনায় আসার সুযোগ পেয়েছেন, তার ভাষায়- আমি আজ যে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে, এর ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে ‘রানা প্লাজা’। অথচ এ ছবিটি আদালতের নির্দেশে মুক্তির দুসপ্তাহ আগে প্রদর্শনের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এ ‘রানা প্লাজা’ ছবিটি নিয়েই পরীমনিসহ সকলের অনেক বড় আশা-ভরসা ছিল। সবার মধ্যে বিশ্বাস ছিল ছবিটি ব্যাপক সাফল্য লাভ করবে এবং পরীমনি তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাবেন। নিজেকে নাম্বার ওয়ান নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু এবারও চরম দুর্ভাগ্যের শিকার হলেন সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এ নায়িকা। ‘রানা প্লাজা’র মুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় পরীমনির বড় সাফল্যটাও পিছিয়ে গেল। তারপরও পরীমনিকে নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পের অনেক আশা ভরসা। সবার বিশ্বাস এ নায়িকা একদিন তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাবেন এবং চলচ্চিত্র শিল্প পাবে দর্শক পছন্দের একজন নায়িকা। তাদের মতে, দুর্ভাগ্যের অন্ধকার ছিন্ন করে আলোর মুখ পরীমনি অবশ্যই দেখবেন। আর এর জন্য তাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, এখনও পরীমনির হাতে অনেক ছবি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মহুয়া সুন্দরী, পুড়ে যায় মন, ধূমকেতু, নদীর বুকে চাঁদ, আমার প্রেম আমার প্রিয়া, সোনাবন্ধু, মন জানে না মনের ঠিকানা, নগর মাস্তান ইত্যাদি। এসব ছবির মধ্যে এক-দুটা সাফল্য পেলেই পরীমনি সৌভাগ্যের দেখা পাবেন এবং তার আশপাশের সকল জটলা কেটে যাবে। এ প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, আমি নিজেকে নিয়ে মোটেও হতাশ নই। প্রতিটি ছবিতেই চেষ্টা করি ভাল অভিনয় করতে। আমার মুক্তিপ্রাপ্ত ৪টি
ছবিতেই আমি ভাল অভিনয় করেছি এমনটি সবাই বলেছেন। এখন দর্শক কি চান এটা নির্মাতাদের ব্যাপার। তাদের নির্মাণশৈলীর ওপর নির্ভর করে ছবির সাফল্য। আমরা শিল্পীরা হচ্ছি অলঙ্কার। সেই হিসেবে সব ছবিতেই আমার ভাল করার চেষ্টা থাকে এবং আমি আরও ভাল করবো, এমন আত্মবিশ্বাস আমার আছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাউয়াবাজারে বিএনপি নেতাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সমাবেশ

পরীমনির দুর্ভাগ্য!

আপডেট সময় : ১১:২৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৫

বিনোদন প্রতিনিধি,
808
দুর্ভাগ্য বলতে হবে। পরিপূর্ণ নায়িকা হিসেবে সকল যোগ্যতা থাকার পরও তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত ৪টি ছবির কোনটিই সুপারহিট হয়নি। অথচ প্রতিটি ছবিতেই পরীমনি চমৎকার অভিনয় করেছেন। পর্দায়ও তাকে যথেষ্ট গ্ল্যামারার্স মনে হয়েছে। দর্শকরাও তাকে পছন্দ করেছে। কিন্তু ছবি নির্মাণে দুর্বলতা থাকার কারণে ৪টি ছবিই প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়ায় চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীরা এটাকে পরীমনির দুর্ভাগ্য হিসেবেই চিহ্নিত করছেন। কারণ হিসেবে তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন, ৪টির মধ্যে একটিও যদি সুপারহিট হতো তাহলে পরীমনিকে নিয়ে নিশ্চিত থাকা যেত। তাদের কথা, অনেক দিন পর চলচ্চিত্র গতিশীল হওয়ার মতো একজন নায়িকা পেত। সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হচ্ছে যে ছবির মাধ্যমে পরীমনি আজকের আলোচনায় আসার সুযোগ পেয়েছেন, তার ভাষায়- আমি আজ যে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে, এর ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে ‘রানা প্লাজা’। অথচ এ ছবিটি আদালতের নির্দেশে মুক্তির দুসপ্তাহ আগে প্রদর্শনের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এ ‘রানা প্লাজা’ ছবিটি নিয়েই পরীমনিসহ সকলের অনেক বড় আশা-ভরসা ছিল। সবার মধ্যে বিশ্বাস ছিল ছবিটি ব্যাপক সাফল্য লাভ করবে এবং পরীমনি তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাবেন। নিজেকে নাম্বার ওয়ান নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু এবারও চরম দুর্ভাগ্যের শিকার হলেন সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এ নায়িকা। ‘রানা প্লাজা’র মুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় পরীমনির বড় সাফল্যটাও পিছিয়ে গেল। তারপরও পরীমনিকে নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পের অনেক আশা ভরসা। সবার বিশ্বাস এ নায়িকা একদিন তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাবেন এবং চলচ্চিত্র শিল্প পাবে দর্শক পছন্দের একজন নায়িকা। তাদের মতে, দুর্ভাগ্যের অন্ধকার ছিন্ন করে আলোর মুখ পরীমনি অবশ্যই দেখবেন। আর এর জন্য তাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, এখনও পরীমনির হাতে অনেক ছবি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মহুয়া সুন্দরী, পুড়ে যায় মন, ধূমকেতু, নদীর বুকে চাঁদ, আমার প্রেম আমার প্রিয়া, সোনাবন্ধু, মন জানে না মনের ঠিকানা, নগর মাস্তান ইত্যাদি। এসব ছবির মধ্যে এক-দুটা সাফল্য পেলেই পরীমনি সৌভাগ্যের দেখা পাবেন এবং তার আশপাশের সকল জটলা কেটে যাবে। এ প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, আমি নিজেকে নিয়ে মোটেও হতাশ নই। প্রতিটি ছবিতেই চেষ্টা করি ভাল অভিনয় করতে। আমার মুক্তিপ্রাপ্ত ৪টি
ছবিতেই আমি ভাল অভিনয় করেছি এমনটি সবাই বলেছেন। এখন দর্শক কি চান এটা নির্মাতাদের ব্যাপার। তাদের নির্মাণশৈলীর ওপর নির্ভর করে ছবির সাফল্য। আমরা শিল্পীরা হচ্ছি অলঙ্কার। সেই হিসেবে সব ছবিতেই আমার ভাল করার চেষ্টা থাকে এবং আমি আরও ভাল করবো, এমন আত্মবিশ্বাস আমার আছে।