নিজস্ব প্রতিবেদক,
বিএনপির জন্ম সেনা ছাউনিতে, এজন্য দলটিকে প্রকৃত অর্থে রাজনৈতিক দল বলতে নারাজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এজন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে এককাতারে গণ্য করার বিরোধী তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। খুলনা বিভাগীয় সমিতি ঢাকা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, কূটনীতিক এবং সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ গত ৪ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন।
খুলনা বিভাগীয় সমিতি-ঢাকার সিনিয়র সহ-সভাপতি মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির, প্রয়াত মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের সহধর্মিনী মমতাজ ফারুক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী, খুলনা বিভাগীয় সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক বিএম সেলিম রেজা প্রমুখ মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সামনে বিপদ, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র কিন্তু চলছেই। যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারা এখন উল্টো কথা বলে এবং এখনো বলছে। তারা বলছে দেশে নাকি গণতন্ত্র নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিগত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জিততে পারবে না বুঝে সে নির্বাচন থেকে তারা চলে গেল এবং জ্বালাও-পোড়াও শুরু করল। এটা তো গণতন্ত্র না।’ তবে গত নির্বাচনে না এলেও এবারের নির্বাচনে বিএনপিকে আসতে হবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না’- বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা বিরোধিতা করেছে, যারা স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না, তারাই বলে দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। যদি আমরা প্রকৃত কথা বলি, সেই অর্থে বিএনপি রাজনৈতিক দল নয়। কারণ, তাদের জন্ম হলো সেনা ছাউনিতে। তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তো এক ধরনের রাজনৈতিক দল হলো না।’
প্রয়াত মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি কর্মের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবেন, তিনি একজন আদর্শ মানুষ ছিলেন। তিনি আমার শিক্ষক, সহকর্মী ও বন্ধু ছিলেন।’
মাহমুদ আলী বলেন, ‘মোস্তফা ফারুক একজন কূটনীতিক ছিলেন, সেখান থেকে কোথায় চলে এলেন। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাংলাদেশের আদর্শ, বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের প্রতি আনুগত্য তাকে এ পথে চালনা করেছে। এখানে নিয়ে এসেছে।’
গোটা দেশের মানুষকেই এ গুণী মানুষটির প্রতি সম্মান দেখানো দরকার- মন্তব্য করে মাহমুদ আলী বলেন, ‘তার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা দরকার। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, উজ্জীবিত হতে পারে।