ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

প্রশ্নবিদ্ধ সিলেট বিএনপির ৭ কাণ্ডারির কর্মকাণ্ড!


কমিটি গঠনে ব্যর্থতার দায় স্বীকার মিফতার

মনোয়ার জাহান চৌধুরী, সিলেট :আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, নাসিম হোসাইন, আলী আহমদ, বদরুজ্জামান সেলিম, হাসান পাটোয়ারি আহমদ রিপন, এমরান আহমদ চৌধুরী ও মিফতা সিদ্দিকী। তারা ‘সাতজন’। হাল ধরেন আছেন সিলেট বিএনপির। দলে সাংগঠনিক তৎপরতা থাকুক আর নাই থাকুক তারাই এখন কাণ্ডারি! জেলা ও মহানগর শাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন ওই ‘সাত’ নেতা। তারা ‘সাত নেতায়’ বছর পার করলেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা তো দূরের কথা, গেল এক বছরে তারা একসঙ্গে একে অপরের মুখোমুখি হতে পারেননি; একসঙ্গে বসতে পারেরনি তারা আলোচনার টেবিলেও। মঙ্গলবার সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির ‘সাত নেতার’ কমিটির এক বছর পার হলো। তাই প্রশ্নবিদ্ধ রয়ে গেল সিলেট বিএনপির সাত কাণ্ডারির কর্মকাণ্ড।
সম্প্রতি ‘তারা সাতজনের’ একজন সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। আবার তাদের বিরুদ্ধে একপক্ষের রয়েছে ব্যর্থতার অভিযোগও। তবে তারা এসব আমলে নেন না। নিতেও চান না। সাত নেতার একজন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ পাল্টা অভিযোগ তুললেন যারা কমিটি নিয়ে কথা বলেন তাদের বিরুদ্ধে। তিনি মানবকণ্ঠকে বলেন, অভিযোগকারীরা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেই হঠাৎ আবির্ভূত হন। দলের কোনো কর্মসূচিতে তাদের দেখা মেলে না।
অপরদিকে, সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা পদে এসেছি। প্রতিশ্রুতি ছিল দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের। কিন্তু এক বছরেও আমরা তা পারিনি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে আমরা পুরোপুরি ব্যর্থ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রে প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির যে তালিকা দাখিল করা হয়েছে আমি একজন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সে বিষয়ে অবগত নই। এটা শুধু দুর্ভাগ্যই নয়, দুঃখজনকও। তিনি স্বীকার করেন গত এক বছরে জেলা ও মহানগর বিএনপির সাত নেতা এক সঙ্গে আলোচনার টেবিলেও বসতে পারেননি। মিফতা বলেন, যদি আমরা দ্রুত কমিটি করতে না পারি তাহলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে আমি বেশিক্ষণ থাকবো না।
দু’বছর মেয়াদী কমিটির এক বছর পার করে দিয়েছেন তারা কমিটির পূর্ণাঙ্গ রূপ ছাড়াই। এখন তাদের দ্বারা আদৌ কী পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে? এমন প্রশ্ন রেখেছেন ত্যাগী এবং তৃণমূলের নেতাকর্মী। গত ২৫ জানুয়ারি বর্তমান কমিটি জেলা এবং মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওযা হয়। কিন্তু ত্যাগী নেতাকর্মীরা ওই তালিকা ‘একপেশে এবং মনগড়া’ অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ চান। এই হস্তক্ষেপ চাওয়ার কারণেই বর্তমান কমিটির নেতাদের দেয়া প্রস্তাবিত তালিকা আটকে গেল। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা দেখে যাতে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি না হয় সে মোতাবেক কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রে কাছে সুপারিশ রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম ও কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন।
২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। এদিন দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির কাঙ্খিত সম্মেলন সম্পন্ন হয়। যদিও সম্মেলন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল; ছিল শঙ্কাও। প্রথমে ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন করার ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়। কিন্তু হঠাৎ সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করে ৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। শেষমেশ গেল বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি কাঙ্খিত সেই সম্মেলনটি সম্পন্ন হয়। আর এই সম্মেলনের মাধ্যমে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি পায় নতুন ৫ নেতৃত্ব। জেলা শাখায় সাংগঠনকি সম্পাদক পদে দু’জন সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় পরবর্তীতে কেন্দ্র একজনকে যুগ্ম সম্পাদক ও অপরজনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নাম ঘোষণা করে। নেতৃত্বদানকারী ওই নেতারা দায়িত্ব পেয়েই উদ্যমী হয়ে ওঠেন, ঘোষাণা দেন শিগগিরই দু’শাখায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই সুর পাল্টান নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। কারণ ইতিমধ্যে জাতীয় সম্মেলনে বিএনপির দলীয় গঠণতন্ত্রে সংশোধনী আনা হয়। আর সেই গঠণতন্ত্রের সংশোধিত তালিকা হাতে না পাওয়ার দোহাই দিয়ে সিলেট বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি থমকে যায়। এরপর থেকেই থেমে যায় সিলেট বিএনপির সাংগঠনিক তৎপরতাও। নতুন করে শুরু হয় নেতাকর্মীদের মাঝে সমন্বয়হীনতা, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের খেলা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় কেউ কেউ নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন। আবার কেউ কেউ পাড়ি জমান দূর প্রবাসেও। বর্তমান কমিটির এক বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে না পারায় এবার ত্যাগীরা দাবি তুলতে যাচ্ছে এ কমিটি বিলুপ্তের। বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা এ তথ্য জানান।
২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। সিলেট বিএনপির ৭ নেতার এক বছর পার হলো। দীর্ঘ এক বছরেও তারা আলোর মুখ দেখাতে পারেননি পূর্ণাঙ্গ কমিটির। হচ্ছে, হবে করে আর দলীয় গঠণতন্ত্রের সংশোধিত কপি না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্বশীলরা সময়ক্ষেপন করেন, এমন অভিযোগও তুলতে থাকেন ত্যাগীরা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে হচ্ছে সে নিশ্চয়তাও দিতে পারছে না কেউ।
সিলেট জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এক ভোট কম পেয়ে পরাজিত আবদুল আহাদ খান জামাল জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা কেন্দ্রে জমা দেয়া হয় কারো সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা সমন্বয় না করেই। ওই তালিকা অনেক ত্যাগীরা বাদ পড়েছেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান কমিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ ছাড়াই বছর পার করে দিলো। তাই এখন তাদের ডাকে আর সাড়া দেয়া হবে না। আর তাদের ডাকে সাড়া দেয়াটাও হবে নৈতিকতাবিরোধী। দলীয় কর্মসূচি থাকলে আমরা আলদাভাবেই পালন করবো।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

প্রশ্নবিদ্ধ সিলেট বিএনপির ৭ কাণ্ডারির কর্মকাণ্ড!

আপডেট সময় : ০৫:০২:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭


কমিটি গঠনে ব্যর্থতার দায় স্বীকার মিফতার

মনোয়ার জাহান চৌধুরী, সিলেট :আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, নাসিম হোসাইন, আলী আহমদ, বদরুজ্জামান সেলিম, হাসান পাটোয়ারি আহমদ রিপন, এমরান আহমদ চৌধুরী ও মিফতা সিদ্দিকী। তারা ‘সাতজন’। হাল ধরেন আছেন সিলেট বিএনপির। দলে সাংগঠনিক তৎপরতা থাকুক আর নাই থাকুক তারাই এখন কাণ্ডারি! জেলা ও মহানগর শাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন ওই ‘সাত’ নেতা। তারা ‘সাত নেতায়’ বছর পার করলেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা তো দূরের কথা, গেল এক বছরে তারা একসঙ্গে একে অপরের মুখোমুখি হতে পারেননি; একসঙ্গে বসতে পারেরনি তারা আলোচনার টেবিলেও। মঙ্গলবার সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির ‘সাত নেতার’ কমিটির এক বছর পার হলো। তাই প্রশ্নবিদ্ধ রয়ে গেল সিলেট বিএনপির সাত কাণ্ডারির কর্মকাণ্ড।
সম্প্রতি ‘তারা সাতজনের’ একজন সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। আবার তাদের বিরুদ্ধে একপক্ষের রয়েছে ব্যর্থতার অভিযোগও। তবে তারা এসব আমলে নেন না। নিতেও চান না। সাত নেতার একজন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ পাল্টা অভিযোগ তুললেন যারা কমিটি নিয়ে কথা বলেন তাদের বিরুদ্ধে। তিনি মানবকণ্ঠকে বলেন, অভিযোগকারীরা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেই হঠাৎ আবির্ভূত হন। দলের কোনো কর্মসূচিতে তাদের দেখা মেলে না।
অপরদিকে, সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা পদে এসেছি। প্রতিশ্রুতি ছিল দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের। কিন্তু এক বছরেও আমরা তা পারিনি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে আমরা পুরোপুরি ব্যর্থ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রে প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির যে তালিকা দাখিল করা হয়েছে আমি একজন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সে বিষয়ে অবগত নই। এটা শুধু দুর্ভাগ্যই নয়, দুঃখজনকও। তিনি স্বীকার করেন গত এক বছরে জেলা ও মহানগর বিএনপির সাত নেতা এক সঙ্গে আলোচনার টেবিলেও বসতে পারেননি। মিফতা বলেন, যদি আমরা দ্রুত কমিটি করতে না পারি তাহলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে আমি বেশিক্ষণ থাকবো না।
দু’বছর মেয়াদী কমিটির এক বছর পার করে দিয়েছেন তারা কমিটির পূর্ণাঙ্গ রূপ ছাড়াই। এখন তাদের দ্বারা আদৌ কী পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে? এমন প্রশ্ন রেখেছেন ত্যাগী এবং তৃণমূলের নেতাকর্মী। গত ২৫ জানুয়ারি বর্তমান কমিটি জেলা এবং মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওযা হয়। কিন্তু ত্যাগী নেতাকর্মীরা ওই তালিকা ‘একপেশে এবং মনগড়া’ অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ চান। এই হস্তক্ষেপ চাওয়ার কারণেই বর্তমান কমিটির নেতাদের দেয়া প্রস্তাবিত তালিকা আটকে গেল। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা দেখে যাতে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি না হয় সে মোতাবেক কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রে কাছে সুপারিশ রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম ও কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন।
২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। এদিন দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির কাঙ্খিত সম্মেলন সম্পন্ন হয়। যদিও সম্মেলন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল; ছিল শঙ্কাও। প্রথমে ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন করার ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়। কিন্তু হঠাৎ সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করে ৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। শেষমেশ গেল বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি কাঙ্খিত সেই সম্মেলনটি সম্পন্ন হয়। আর এই সম্মেলনের মাধ্যমে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি পায় নতুন ৫ নেতৃত্ব। জেলা শাখায় সাংগঠনকি সম্পাদক পদে দু’জন সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় পরবর্তীতে কেন্দ্র একজনকে যুগ্ম সম্পাদক ও অপরজনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নাম ঘোষণা করে। নেতৃত্বদানকারী ওই নেতারা দায়িত্ব পেয়েই উদ্যমী হয়ে ওঠেন, ঘোষাণা দেন শিগগিরই দু’শাখায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই সুর পাল্টান নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। কারণ ইতিমধ্যে জাতীয় সম্মেলনে বিএনপির দলীয় গঠণতন্ত্রে সংশোধনী আনা হয়। আর সেই গঠণতন্ত্রের সংশোধিত তালিকা হাতে না পাওয়ার দোহাই দিয়ে সিলেট বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি থমকে যায়। এরপর থেকেই থেমে যায় সিলেট বিএনপির সাংগঠনিক তৎপরতাও। নতুন করে শুরু হয় নেতাকর্মীদের মাঝে সমন্বয়হীনতা, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের খেলা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় কেউ কেউ নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন। আবার কেউ কেউ পাড়ি জমান দূর প্রবাসেও। বর্তমান কমিটির এক বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে না পারায় এবার ত্যাগীরা দাবি তুলতে যাচ্ছে এ কমিটি বিলুপ্তের। বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা এ তথ্য জানান।
২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। সিলেট বিএনপির ৭ নেতার এক বছর পার হলো। দীর্ঘ এক বছরেও তারা আলোর মুখ দেখাতে পারেননি পূর্ণাঙ্গ কমিটির। হচ্ছে, হবে করে আর দলীয় গঠণতন্ত্রের সংশোধিত কপি না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্বশীলরা সময়ক্ষেপন করেন, এমন অভিযোগও তুলতে থাকেন ত্যাগীরা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে হচ্ছে সে নিশ্চয়তাও দিতে পারছে না কেউ।
সিলেট জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এক ভোট কম পেয়ে পরাজিত আবদুল আহাদ খান জামাল জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা কেন্দ্রে জমা দেয়া হয় কারো সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা সমন্বয় না করেই। ওই তালিকা অনেক ত্যাগীরা বাদ পড়েছেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান কমিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ ছাড়াই বছর পার করে দিলো। তাই এখন তাদের ডাকে আর সাড়া দেয়া হবে না। আর তাদের ডাকে সাড়া দেয়াটাও হবে নৈতিকতাবিরোধী। দলীয় কর্মসূচি থাকলে আমরা আলদাভাবেই পালন করবো।