ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

ফখরুল-কাদেরের বাকযুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়ছে


সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে বাকযুদ্ধ।

এর ফলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দু’দলের নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে উজ্জীবিত হচ্ছে। এখন জনমনে প্রশ্ন উঠছে তাদের এই বাকযুদ্ধ কী শুধুই একে অপরের বিরুদ্ধে কাদাছুড়াছড়ি, না দেশে চলমান সঙ্কট সমাধানের কোনো পথ বেরিয়ে আসবে?

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সোমবার এক আলোচনা সভায় দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের নামে মিথ্যাচার করছেন।

সার্চ কমিটিতে কেএম হাসানকে নাম দেয়নি বিএনপি উল্লেখ করে তিনি বলনে, কেএম হাসানের নাম প্রস্তাবের বিষয়টি কথা ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি কী তাহলে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করবেন? তাই যদি হয়। তাহলে এই ধরনের সার্চ কমিটি এ দেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না।

অপর দিকে, একই দিনে এক স্মরণ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মির্জা ফখরুলের বক্তব্যকে স্ববিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গোপন কথা তাদের নেতাদের কাছ থেকেই পাওয়া যায়। মামলার ভয়ে তারা নিজেরাই গোয়েন্দাদের তথ্য দেন।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমার বিরুদ্ধে বঙ্গভবনের গোপনীয়তা ভঙ্গের যে অভিযোগ করেছেন, সেটা স্ববিরোধী। তিনি নিজেই বলেছেন, আমরা কার নাম দিয়েছি, সেটা আওয়ামী লীগ নেতারা জানলো কী করে? আবার বলেছেন, আমরা কোনো নামই প্রস্তাব করিনি। এটা তার স্ববিরোধী বক্তব্য।

বিএনপি রাষ্ট্রপতির কাছে কার নাম প্রস্তাব করেছে, সেটা জানার জন্য বঙ্গভবনের সহযোগিতার দরকার হয় না। বিএনপির নেতারাই যথেষ্ট বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির দেয়া প্রস্তাবের গোপনীয়তা তারাই ভঙ্গ করেছেন বলেও দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

তাদের এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে ক্রমেই উত্তাপ রাজনীতির মাঠে। এরই মধ্যে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা সুস্পষ্টভাবেই বলেছেন, রাষ্ট্রপতি এই সঙ্কট নিরসনে ব্যর্থ হরে তারা রাজপথেই সমাধান খুঁবেঁন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, পারলে ঢাকা শহরে একটা মিছিল করে দেখান।

তাদের এসব বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবেই ইঙ্গিত মিলছে ভবিষ্যতে দেশের রাজনীতির মাঠ কেমন হতে পারে। বাকযুদ্ধ থেকে যেকোনো সময় রাজনীতির মাঠ আবারো সহিংস হয়ে উঠতে পারে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

ফখরুল-কাদেরের বাকযুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়ছে

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৭


সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে বাকযুদ্ধ।

এর ফলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দু’দলের নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে উজ্জীবিত হচ্ছে। এখন জনমনে প্রশ্ন উঠছে তাদের এই বাকযুদ্ধ কী শুধুই একে অপরের বিরুদ্ধে কাদাছুড়াছড়ি, না দেশে চলমান সঙ্কট সমাধানের কোনো পথ বেরিয়ে আসবে?

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সোমবার এক আলোচনা সভায় দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের নামে মিথ্যাচার করছেন।

সার্চ কমিটিতে কেএম হাসানকে নাম দেয়নি বিএনপি উল্লেখ করে তিনি বলনে, কেএম হাসানের নাম প্রস্তাবের বিষয়টি কথা ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি কী তাহলে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করবেন? তাই যদি হয়। তাহলে এই ধরনের সার্চ কমিটি এ দেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না।

অপর দিকে, একই দিনে এক স্মরণ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মির্জা ফখরুলের বক্তব্যকে স্ববিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গোপন কথা তাদের নেতাদের কাছ থেকেই পাওয়া যায়। মামলার ভয়ে তারা নিজেরাই গোয়েন্দাদের তথ্য দেন।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমার বিরুদ্ধে বঙ্গভবনের গোপনীয়তা ভঙ্গের যে অভিযোগ করেছেন, সেটা স্ববিরোধী। তিনি নিজেই বলেছেন, আমরা কার নাম দিয়েছি, সেটা আওয়ামী লীগ নেতারা জানলো কী করে? আবার বলেছেন, আমরা কোনো নামই প্রস্তাব করিনি। এটা তার স্ববিরোধী বক্তব্য।

বিএনপি রাষ্ট্রপতির কাছে কার নাম প্রস্তাব করেছে, সেটা জানার জন্য বঙ্গভবনের সহযোগিতার দরকার হয় না। বিএনপির নেতারাই যথেষ্ট বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির দেয়া প্রস্তাবের গোপনীয়তা তারাই ভঙ্গ করেছেন বলেও দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

তাদের এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে ক্রমেই উত্তাপ রাজনীতির মাঠে। এরই মধ্যে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা সুস্পষ্টভাবেই বলেছেন, রাষ্ট্রপতি এই সঙ্কট নিরসনে ব্যর্থ হরে তারা রাজপথেই সমাধান খুঁবেঁন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, পারলে ঢাকা শহরে একটা মিছিল করে দেখান।

তাদের এসব বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবেই ইঙ্গিত মিলছে ভবিষ্যতে দেশের রাজনীতির মাঠ কেমন হতে পারে। বাকযুদ্ধ থেকে যেকোনো সময় রাজনীতির মাঠ আবারো সহিংস হয়ে উঠতে পারে।