ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা “সিলেট প্রদেশ প্রতিষ্ঠার দাবীতে লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সভা অনুষ্ঠিত”

ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে ফের সংশয়


গত মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে আসার কথা থাকলেও সফরের কয়েক দিন আগে তা স্থগিত হয়ে যায়। আগামী মাসে শেখ হাসিনা ভারত সফরে আসতে পারেন। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত আসতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

রবিবার ভারতের একটি উচ্চপদস্থ কূটনৈতিক সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, প্রস্তাবিত সফরের কোনও দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সাধারণত এ ধরনের হাই প্রোফাইল সফরের দিনক্ষণ কয়েক সপ্তাহ আগেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে এখনও সেটা হয়নি বলে আমরা কিছুটা সংশয়ে আছি।’

তবে ভারতের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, আগামী মাসে শেখ হাসিনার সফর বাতিল হওয়ার কোনও খবর তাদের কাছে নেই। সফর হচ্ছে ধরে নিয়েই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ‘ঐতিহাসিক’ ম্যাচটি দেখার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অনানুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দিল্লির সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, শেখ হাসিনা এই আমন্ত্রণে শেষ পর্যন্ত সাড়া দিতে পারবেন কিনা, সেটা তাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।

ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে সফরে আসার কথা ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। দীর্ঘ সাত বছর তিনি কোনও দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে আসেননি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিমত, এই সফর হলো ‘ওভারডিউ’- অর্থাৎ যা অনেক আগেই হওয়া দরকার ছিল।

কিন্তু সেই সফর স্থগিত হয়ে যায়। জানানো হয়, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে সফরের নতুন তারিখ নির্ধারণের চেষ্টা করা হবে। তবে নতুন বছরের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দু’দেশের পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে এখনও সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।

ডিসেম্বরের নির্ধারিত সফর ঠিক কী কারণে পিছিয়ে যায়, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ভারত বা বাংলাদেশের কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। গত নভেম্বরে ভারতে ৫০০ ও হাজার রুপির নোট বাতিলের পর অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে তৈরি হয় তিক্ততা। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, সফর পিছিয়ে দেওয়ার সেটা একটা বড় কারণ। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন কূটনীতিকও মনে করেন, ওই সময়ের পরিস্থিতি তিস্তা নিয়ে আলোচনার অনুকূল ছিল না।

ভারত সফর নিয়ে শেখ হাসিনার মতামত জানতে ডিসেম্বরে ঢাকায় যান ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। অনেক দিন ধরেই ভারত সরকারের তরফে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ১০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এম জে আকবরের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

কিন্তু তারপর প্রায় দেড় মাস হতে চললেও শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে ঢাকা থেকে কোনও সুস্পষ্ট আশ্বাস বা নির্দিষ্ট তারিখের প্রস্তাব আসেনি। তাই দিল্লিও বহু প্রতীক্ষিত সফরটি নিয়ে আশা ও আশঙ্কার দোলাচলে ভুগছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট

ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে ফের সংশয়

আপডেট সময় : ০৮:০৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৭


গত মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে আসার কথা থাকলেও সফরের কয়েক দিন আগে তা স্থগিত হয়ে যায়। আগামী মাসে শেখ হাসিনা ভারত সফরে আসতে পারেন। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত আসতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

রবিবার ভারতের একটি উচ্চপদস্থ কূটনৈতিক সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, প্রস্তাবিত সফরের কোনও দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সাধারণত এ ধরনের হাই প্রোফাইল সফরের দিনক্ষণ কয়েক সপ্তাহ আগেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে এখনও সেটা হয়নি বলে আমরা কিছুটা সংশয়ে আছি।’

তবে ভারতের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, আগামী মাসে শেখ হাসিনার সফর বাতিল হওয়ার কোনও খবর তাদের কাছে নেই। সফর হচ্ছে ধরে নিয়েই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ‘ঐতিহাসিক’ ম্যাচটি দেখার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অনানুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দিল্লির সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, শেখ হাসিনা এই আমন্ত্রণে শেষ পর্যন্ত সাড়া দিতে পারবেন কিনা, সেটা তাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।

ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে সফরে আসার কথা ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। দীর্ঘ সাত বছর তিনি কোনও দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে আসেননি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিমত, এই সফর হলো ‘ওভারডিউ’- অর্থাৎ যা অনেক আগেই হওয়া দরকার ছিল।

কিন্তু সেই সফর স্থগিত হয়ে যায়। জানানো হয়, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে সফরের নতুন তারিখ নির্ধারণের চেষ্টা করা হবে। তবে নতুন বছরের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দু’দেশের পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে এখনও সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।

ডিসেম্বরের নির্ধারিত সফর ঠিক কী কারণে পিছিয়ে যায়, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ভারত বা বাংলাদেশের কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। গত নভেম্বরে ভারতে ৫০০ ও হাজার রুপির নোট বাতিলের পর অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে তৈরি হয় তিক্ততা। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, সফর পিছিয়ে দেওয়ার সেটা একটা বড় কারণ। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন কূটনীতিকও মনে করেন, ওই সময়ের পরিস্থিতি তিস্তা নিয়ে আলোচনার অনুকূল ছিল না।

ভারত সফর নিয়ে শেখ হাসিনার মতামত জানতে ডিসেম্বরে ঢাকায় যান ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। অনেক দিন ধরেই ভারত সরকারের তরফে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ১০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এম জে আকবরের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

কিন্তু তারপর প্রায় দেড় মাস হতে চললেও শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে ঢাকা থেকে কোনও সুস্পষ্ট আশ্বাস বা নির্দিষ্ট তারিখের প্রস্তাব আসেনি। তাই দিল্লিও বহু প্রতীক্ষিত সফরটি নিয়ে আশা ও আশঙ্কার দোলাচলে ভুগছে।