ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

ফেসবুকে চাকুরি না পেয়েই ১৯ বিলিয়ন ডলারের অ্যাপ তৈরি!

ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, লাইফস্টাইল । আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ব্রায়ান অ্যাকটনের নাম হয়ত সবারই জানা আছে। যদি না জেনে থাকেন তবুও সমস্যা নেই। আজ জানবেন। এই ব্যক্তির সম্পর্কে এখন এমনকিছু বলব যা আপনার আমার জীবনে কিছুটা হলেও প্রেরণা যোগাবেই।

আজকাল প্রায় সবারই কাছে অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন আছে। আর ফোনে হোয়াটস অ্যাপ নামক অ্যাপটি নাই এমন ফোন পাওয়াই যাবে না। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা হয়ত হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারের জন্যই অ্যানড্রয়েড ফোন কিনেছেন। যাইহোক, হোয়াটস অ্যাপের কাজ সবারই জানা আছে। তবে এর আড়ালে লুকিয়ে থাকা ঘটনা কী সকলেই জানি! আসুন একটু জানার চেষ্টা করি।

ব্রায়ান অ্যাকটন যিনি হোয়াটস অ্যাপ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, তিনি ২০০৯ সালে ফেসবুকে চাকুরির জন্য গিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ফেসবুকে চাকুরি করবেন। কিন্তু ফেসবুক তাকে চাকুরি দেয়নি। অ্যাকটন এতে খুবই মনঃকষ্ট পান। তবে তিনি হার না মেনে হতাশ না হয়ে টুইটারে চাকুরির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু টুইটারেও তাঁর চাকুরি মেলেনি।

একরাশ কষ্ট নিয়ে ২০০৯ সালের ৪ আগস্ট রাতে চাকরি হয়নি বলে টুইটারে টুইট লেখেন ব্রায়ান অ্যাকটন, ‘ফেসবুক আমাকে নিয়োগ দেয়নি। দারুণ সব মানুষের সঙ্গে কাজের সুযোগ নিশ্চয় বেশ বড় সুযোগ ছিল। দেখা যাক, জীবন কোথায় নিয়ে যায়।’

আজকাল আমরা কোনো কোম্পানি বা চাকুরি থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেই ভুল পথে পা বাড়াই। আবার নিজেকে যোগ্যতাহীন মনে করে শোক করতে থাকি। আত্মহত্যার ঘটনাও আছে! থাক সেসব কথা। ব্রায়ান এমন কোনটাই করেননি। জীবনের হালও ছাড়েননি।

তিনি উঠে দাঁড়ান এবং নতুন আশা নিয়ে আগাতে থাকেন। তাঁর এক বন্ধু জ্যান কোউম এর সাথে রাতদিন পরিশ্রম করতে থাকেন। অবশেষে তাঁরা হোয়াটস অ্যাপ নামক অ্যাপটি তৈরি করতে সক্ষম হন। যেটি আজ সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, ফেসবুক ব্রায়ানের হোয়াটস অ্যাপ অ্যাপটি ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ক্রয় করেছে! ব্রায়ান আজ ফেসবুকের শেয়ার হোল্ডার তথা ভাগীদার! মনে পড়ে প্রায় ৭ বছর আগে এই ব্রায়ান ফেসবুকে চাকুরির আশায় গিয়েছিলেন!

আমাদের সফলতা আমাদের চিন্তার উপর নির্ভর করে। আমরা একটা কাজে ব্যর্থ হলেই হয়ত জীবনটাই শেষ করে দিতে চাই। ব্যর্থ হলে হতাশায় ডুবে বসে থাকি। কিন্তু এমন না করে আমাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি দিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে। তবেই আমরা সফল হতে পারব।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

ফেসবুকে চাকুরি না পেয়েই ১৯ বিলিয়ন ডলারের অ্যাপ তৈরি!

আপডেট সময় : ০৬:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৭

ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, লাইফস্টাইল । আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ব্রায়ান অ্যাকটনের নাম হয়ত সবারই জানা আছে। যদি না জেনে থাকেন তবুও সমস্যা নেই। আজ জানবেন। এই ব্যক্তির সম্পর্কে এখন এমনকিছু বলব যা আপনার আমার জীবনে কিছুটা হলেও প্রেরণা যোগাবেই।

আজকাল প্রায় সবারই কাছে অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন আছে। আর ফোনে হোয়াটস অ্যাপ নামক অ্যাপটি নাই এমন ফোন পাওয়াই যাবে না। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা হয়ত হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারের জন্যই অ্যানড্রয়েড ফোন কিনেছেন। যাইহোক, হোয়াটস অ্যাপের কাজ সবারই জানা আছে। তবে এর আড়ালে লুকিয়ে থাকা ঘটনা কী সকলেই জানি! আসুন একটু জানার চেষ্টা করি।

ব্রায়ান অ্যাকটন যিনি হোয়াটস অ্যাপ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, তিনি ২০০৯ সালে ফেসবুকে চাকুরির জন্য গিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ফেসবুকে চাকুরি করবেন। কিন্তু ফেসবুক তাকে চাকুরি দেয়নি। অ্যাকটন এতে খুবই মনঃকষ্ট পান। তবে তিনি হার না মেনে হতাশ না হয়ে টুইটারে চাকুরির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু টুইটারেও তাঁর চাকুরি মেলেনি।

একরাশ কষ্ট নিয়ে ২০০৯ সালের ৪ আগস্ট রাতে চাকরি হয়নি বলে টুইটারে টুইট লেখেন ব্রায়ান অ্যাকটন, ‘ফেসবুক আমাকে নিয়োগ দেয়নি। দারুণ সব মানুষের সঙ্গে কাজের সুযোগ নিশ্চয় বেশ বড় সুযোগ ছিল। দেখা যাক, জীবন কোথায় নিয়ে যায়।’

আজকাল আমরা কোনো কোম্পানি বা চাকুরি থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেই ভুল পথে পা বাড়াই। আবার নিজেকে যোগ্যতাহীন মনে করে শোক করতে থাকি। আত্মহত্যার ঘটনাও আছে! থাক সেসব কথা। ব্রায়ান এমন কোনটাই করেননি। জীবনের হালও ছাড়েননি।

তিনি উঠে দাঁড়ান এবং নতুন আশা নিয়ে আগাতে থাকেন। তাঁর এক বন্ধু জ্যান কোউম এর সাথে রাতদিন পরিশ্রম করতে থাকেন। অবশেষে তাঁরা হোয়াটস অ্যাপ নামক অ্যাপটি তৈরি করতে সক্ষম হন। যেটি আজ সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, ফেসবুক ব্রায়ানের হোয়াটস অ্যাপ অ্যাপটি ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ক্রয় করেছে! ব্রায়ান আজ ফেসবুকের শেয়ার হোল্ডার তথা ভাগীদার! মনে পড়ে প্রায় ৭ বছর আগে এই ব্রায়ান ফেসবুকে চাকুরির আশায় গিয়েছিলেন!

আমাদের সফলতা আমাদের চিন্তার উপর নির্ভর করে। আমরা একটা কাজে ব্যর্থ হলেই হয়ত জীবনটাই শেষ করে দিতে চাই। ব্যর্থ হলে হতাশায় ডুবে বসে থাকি। কিন্তু এমন না করে আমাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি দিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে। তবেই আমরা সফল হতে পারব।