ঢাকা: বর্তমান সরকারই প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করেছে বলে দাবি করেছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, “চিরকাল প্রশ্ন ফাঁস হয়ে আসছিল। আমরা তা বন্ধ করেছি।”
বৃহস্পতিবার সকালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর পর রাজধানীর ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন। আমরা উন্নত শিক্ষায় ছেলেমেদের শিক্ষিত করতে চাই। বর্তমানে যে প্রশ্নে পরীক্ষা হচ্ছে তাতে শিক্ষার্থীরা খুশি। তারা আনন্দ উল্লাসের মধ্যে পরীক্ষা দিচ্ছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, “সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ানো হয়।”
এ বছর ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা ২১ হাজার বেশি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন ৯ লাখের মতো পরীক্ষার্থী ছিল। সেটা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখের বেশি। এবার নম্বরপত্র মূল্যায়নে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। এ জন্য ২ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এদিন, অভিভাবকদের বিভিন্ন অভিযোগও শোনেন মন্ত্রী। পরে মন্ত্রী পরীক্ষা কেন্দ্রর বিভিন্ন হলগুলো ঘুরে দেখেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন, ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী। গতবছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন।
এবার আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিলে পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫০১ জন ও কারিগরি বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভকেশনাল) পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৪ হাজার ২১২ জন। প্রথম দিনে আজ এসএসসিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য বলছে, ১০ বোর্ডের অধীনে দুই বছর আগে ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫৩ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) করলেও নিয়মিত এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষা দিচ্ছে ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন। অর্থাৎ নিবন্ধিত ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮২৯ জন নিয়মিত শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে না। এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে ১০ম শ্রেণির নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
এবার প্রশ্নপত্রে এমসি কিউ অংশের ১০ নম্বর কমিয়ে সৃজনশীলে ১০ নম্বর বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হলে সেখানে এমসি কিউ অংশের নম্বর হবে ৩০ এবং সৃজনশীল অংশের নম্বর হবে ৭০।
সময়সূচি অনুযায়ী তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামী ২ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে ১১ মার্চ শেষ হবে।