শেখ জাফর আহমদ, গ্রেটার ম্যানচেষ্টার, যুক্তরাজ্য.
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ- যার অভিধানিক অর্থ জন সাধারনের দল, সর্বস্থরের মানুষের দল, স্বাধীনতা অর্জনকারী দল, এশিয়া উপমহাদেশের আদি দল, বাংলার মানুষের প্রথম ও শেষ আশ্রয় স্থলের দল. গনতান্ত্রিক চর্চার ও বহি: প্রকাশের দল. বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক রাজিনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে যাদের কোন নিয়ম তান্ত্রীক ভিত্তি নেই, ক্ষমতার ধাপঠে কিংবা প্রোয়জনের তাগিদে অনেক দলের জন্ম হয়েছে ,যার লক্ষ ও উদেশ্য ছিল কোন ব্যক্তি বা গোষ্টির ফায়দা হাছিলের জন্য. কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামীলীই একমাত্র সংগঠন, যার সু নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদেশ্য আছে , ঐতিহাসিক অতীত ও সোনালী ভবিষ্যত ও আছে. বাংলাদেশ সৃষ্টির পুর্বে থেকে শুরু করে আজবদি মানুষের অর্থনৈথিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক চাহিদা মিঠানোর জন্য, এই দলটি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে. সু- দীর্গ পথ অতিক্রম করতে গিয়ে ,দলের উপরে বিভিন্ন সময়ে এসেছে নানা ঝড়-ঝাপট. বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নিজেদের ফায়দা হাছিলের জন্য আসা নেতারা সুজোগ বুঝে গা ঢাকা দিয়েছেন, আবার পাল তোলা নৌকার তর তর যাত্রা দেখে নৌকার যাত্রী হয়ে বিভিন্ন কলা কৌশল অবলম্বন করে ,ব্যাঙের ছাতার মত তাদের শাখা -প্রশাখা বিস্তার করেছেন. আবার কেউ কেউ দুর থেকে হাত ছানি দিয়ে আওয়ামীলীগের শুভা কাংখী বলে (বামপন্থি যুক্ত দলেরা) , তারা ও তাদের ফায়দা হাছিল করা থেকে পিছিয়ে নেই. সময়-সুজোগে আওয়ামীলীগের মাথায় লবন রেখে টক -ঝালের স্বাদ ও গ্রহন করছেন. মৌসুম পরিবর্তন হলে আবহাওয়ার যেমন পরিবর্তন হয় , তারাও সুষম হাওয়ায় তাল মিলিয়ে তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্টের বিপ্লব ঘটান. রীতিনীতিহীন এক গোষ্ঠি মানুষ যাদের আসলে ও কোন দল নেই. প্রবাহ মান বাতাসের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের অগ্রযাত্রা , সমাজে যারা বাসুদ নামে পরিচিত ( বাংলাদেশ সুবিধাবাধী দল) . তারা দল ও জাতি দুটির জন্যই ক্ষতিকর.বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানূষের ঐতিহ্যবাহী দল যাদের শিরা-উপশিরায়, রন্ধে- রন্ধে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের চিন্তা-চেতনা, লক্ষ্য,উদেশ্য, আদর্শ বিদ্যমান, যারা দলের দুর্যোগ মুহুর্তে শক্ত হাতে হাল ধরেন, দলের ভাব-মুর্তি উজ্জ্বল করার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা-সাধনা,শ্রম,টাকা -পয়সা খরচ করে থাকেন, তারাই আবার দলের মধ্যে অবহেলিত, দলের সুযোগ সুবিধা তো নেওয়া দুরের কথা, দলের মধ্যে বিস্তার করা আগাছা-প্রগাছা গুলোর দারা কখনও বা লাঞ্চনার স্বীকার হতে হয়. দলের প্রতি অগাদ ভালোবাসা, দেশের প্রতি অকৃত্তিম প্রেম, বিনম্র শ্রদ্ধা ও জাতির জনকের আদর্শের প্রতি আনুগত্যতার প্রতি দুর্বল বলেই এই সকল খাটি আওয়ামীলীগরা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লড়াকু প্রকৃত সৈনিকরা নিরবে অনেক কিছু সহ্য করেন . নিজের ব্যাক্তিগত স্বার্থকে তুচ্ছ করে দেশ ও দলের জন্য নিজের প্রাপ্য অধিকার না পাওয়ার বেদনা, অবহেলা, লাঞ্চনা ও বঞ্চনাকে নিরবে-নিবৃতে মেনে নেন, আর মেনে নেন নলেই সেই আগাছা প্রগাছা গুলোর প্রভাব ও বৃদ্বি পাচ্ছে. ক্রমশ যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে হয়ত দল হারাতে পারে তার ঐতিহ্যবাহী অতীতকে, দেশ হারাতে পারে তার সোনালী ভবিষ্যতকে. দেশ ও দলের চিন্তা করে সুবিধাভোগী , বামপন্থি, ও উগ্রবাদীদের টেকাতে প্রকৃত মুজিব সেনাদের কোনঠাসা না হয়ে জেগে উঠতে হবে.