ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরন শুরু ব্রিটেনে চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে: এনএইচকেকে প্রধান উপদেষ্টা হবিগঞ্জে হাসপাতাল থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত মেহের আফরোজ শাওন গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত নেতা সাংগঠনিক টিম প্রধান! বাংলাদেশী সংস্কৃতির বিকাশ বইমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই : মিফতাহ্ সিদ্দিকী ওয়েলস কুলাউড়া সোসাইটি ইউকের উদ্দোগে কার্ডিফে মরহুম ফিরুজ আলীর মৃত্যুতে শোক সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত নো-ভিসা ফি বৃদ্ধি ও ম্যানচেস্টার থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বন্ধের পায়তারার দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা নতুন দল গঠন নিয়ে বিএনপি হিংসা করে না: মির্জা আব্বাস

বিচার পাননি নির্যাতিতা ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয় ফেসবুকে

1087

মায়ের সামনে মেয়েকে এবং মেয়ের সামনে মাকে গণধর্ষণের দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু প্রতিকার পাননি নির্যাতিতা মা ও মেয়ে। ধর্ষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই এই লোমহর্ষক ঘটনা। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা প্রচারের হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে তাদের সম্পত্তি। তারপরও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয় এই ভিডিও। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৩ সালে ফেনীর দাগনভূঞায়। এ ঘটনার মূলহোতা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন মামুন। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন নির্যাতিতা ওই নারী। ওই নির্যাতিতা নারী জানান, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদিন মামুন ও তার ভাই লিঠুসহ ১৪ জন তাকে ও তার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে। ২০১২ সালে তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে জয়নাল আবেদিন মামুন তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে। তাকে বিয়ে করতে চাইলে রাজি হননি। পরবর্তীতে স্থানীয় জামাল উদ্দীনকে বিয়ে করলে আওয়ামী লীগ নেতা মামুনের হুমকির কারণে দুই মাস পর তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে নানাভাবে তাকে জিম্মি করতে চেষ্টা করে মামুন। ২০১৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তার বড় মেয়েকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় মামুনের লোকজন। খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করতে মামুনের বাসায় যান ওই নারী। তখন ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে মামুন। নির্যাতিতা জানান, ধর্ষণের পর মামুনের ছোট ভাই লিটু তাকে নিয়ে অন্য একটি বাড়িতে যায়। সেখানে তার ১৩ বছরের ছোট মেয়ের সামনে তাকে ও তার বড় মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। পালাক্রমে ১৪ দুর্বৃত্ত তাদের ধর্ষণ করে বলে তিনি জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে র‌্যাবের একটি টিম তাদের উদ্ধার করে। ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলফোনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই বিধবার কাছ থেকে ছয়টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় মামুন। পরবর্তীতে কয়েকটি দোকানসহ তার সম্পত্তি দখল করেন তিনি। তবে পরবর্তীতে ওই ভিডিওটি ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে। কিন্তু ধর্ষকরা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী হওয়ায় শুরুতে মামলা গ্রহণ করেনি ফুলগাজী থানা পুলিশ। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতা মামুনকে আসামি থেকে বাদ দিয়ে মামলা রেকর্ড করে পুলিশ (মামলা নং ২৭/১৫)। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে নির্যাতিতা বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারী। তার দলের নাম ভাঙিয়ে কাউকে এরকম অপকর্ম করার অধিকার কাউকে দেননি তিনি। বিষয়টি তিনি অবগত হলে নিশ্চয়ই আমরা বিচার পাবো। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জয়নাল আবেদিন মামুন হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে থাকায় তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরন শুরু ব্রিটেনে

বিচার পাননি নির্যাতিতা ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয় ফেসবুকে

আপডেট সময় : ১২:৪২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

1087

মায়ের সামনে মেয়েকে এবং মেয়ের সামনে মাকে গণধর্ষণের দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু প্রতিকার পাননি নির্যাতিতা মা ও মেয়ে। ধর্ষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই এই লোমহর্ষক ঘটনা। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা প্রচারের হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে তাদের সম্পত্তি। তারপরও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয় এই ভিডিও। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৩ সালে ফেনীর দাগনভূঞায়। এ ঘটনার মূলহোতা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন মামুন। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন নির্যাতিতা ওই নারী। ওই নির্যাতিতা নারী জানান, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদিন মামুন ও তার ভাই লিঠুসহ ১৪ জন তাকে ও তার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে। ২০১২ সালে তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে জয়নাল আবেদিন মামুন তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে। তাকে বিয়ে করতে চাইলে রাজি হননি। পরবর্তীতে স্থানীয় জামাল উদ্দীনকে বিয়ে করলে আওয়ামী লীগ নেতা মামুনের হুমকির কারণে দুই মাস পর তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে নানাভাবে তাকে জিম্মি করতে চেষ্টা করে মামুন। ২০১৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তার বড় মেয়েকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় মামুনের লোকজন। খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করতে মামুনের বাসায় যান ওই নারী। তখন ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে মামুন। নির্যাতিতা জানান, ধর্ষণের পর মামুনের ছোট ভাই লিটু তাকে নিয়ে অন্য একটি বাড়িতে যায়। সেখানে তার ১৩ বছরের ছোট মেয়ের সামনে তাকে ও তার বড় মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। পালাক্রমে ১৪ দুর্বৃত্ত তাদের ধর্ষণ করে বলে তিনি জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে র‌্যাবের একটি টিম তাদের উদ্ধার করে। ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলফোনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই বিধবার কাছ থেকে ছয়টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় মামুন। পরবর্তীতে কয়েকটি দোকানসহ তার সম্পত্তি দখল করেন তিনি। তবে পরবর্তীতে ওই ভিডিওটি ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে। কিন্তু ধর্ষকরা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী হওয়ায় শুরুতে মামলা গ্রহণ করেনি ফুলগাজী থানা পুলিশ। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতা মামুনকে আসামি থেকে বাদ দিয়ে মামলা রেকর্ড করে পুলিশ (মামলা নং ২৭/১৫)। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে নির্যাতিতা বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারী। তার দলের নাম ভাঙিয়ে কাউকে এরকম অপকর্ম করার অধিকার কাউকে দেননি তিনি। বিষয়টি তিনি অবগত হলে নিশ্চয়ই আমরা বিচার পাবো। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জয়নাল আবেদিন মামুন হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে থাকায় তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।