বিতর্কিত ভাবে বেন স্টোকসের আউট হওয়ার এক ম্যাচে লর্ডসে ইংল্যান্ডকে ৬৪ রানে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
লর্ডসে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে স্টিভেন স্মিথ (৭০), জর্জ বেইলি (৫৪) ও মিচেল মার্শের (৬৪) এর তিন ফিফটিতে ৩০৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই স্টিভেন ফিনের এক বলে আঘাত পেয়ে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার। বেন স্টোকস তিনটি ও ফিন দুইটি উইকেট লাভ করেন।
৩১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা যেমন হওয়া উচিত ছিল ঠিক তেমনটাই হয়েছিল। ২১ ওভারের মধ্যে তিনটি উইকেট হারালেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচের ২৬ তম ওভারটি মিচেল স্টার্ক করতে আসার সময়েই ঘটে বিতর্কিত ঘটনাটি।
ইংল্যান্ডের রান তখন ২৫ ওভার তিন বলে তিন উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান । ওভারের চতুর্থ বলটি করতে এসে মিচেল স্টার্ক ১৪৫ কিলোমিটার বেগের একটা ডেলিভারি ছুড়েন যেটি তার দিকে ড্রাইভ করে ফেরত পাঠান বেন স্টোকস। বলটি কুড়িয়ে নিয়েই সঙ্গে সঙ্গে রান আউট করার জন্য থ্রো করেন স্টার্ক। কিন্তু আচমকা স্টাম্পের দিকে ছুটতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান স্টোকস এবং মনে হচ্ছিল পরিষ্কার ভাবে সহজাত প্রবৃত্তিতে নিজেকে বাচাতে গিয়ে বা হাতে বলটি আটকে দেন স্টোকস। স্টার্ক তখন অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড নিয়মে আউট বলে আবেদন করেন আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার কাছে। মাঠের দুই আম্পায়ার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার টিভি আম্পায়ার জো উইলসনের কাছে ছেড়ে দেন। আম্পায়ার দশ মিনিট দেখার পরে আউট দিয়ে দেন যা বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। উল্লেখ্য, ইতিহাসে মাত্র সপ্তম বারের কোনো ব্যাটসম্যান ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের শিকার হলো। সর্বশেষ ২০১৩ সালে পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের আনোয়ার আলি এই ভাবে আউট হয়েছিলেন।
পরের ওভারেই জস বাটলার শুন্য রানে ফিরে যাওয়ার পরে ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান জেমস টেইলরকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অধিনায়ক মর্গানের ৮৫ ও টেইলরের ৪৩ রান শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হন মর্গান, দলের রান তখন ২৪৫। ম্যাচের তখনো আরো সাত ওভার তিন বল বাকি ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ৫৬ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন মিচেল মার্শ।