ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যাত্রী আন্দোলনের মুখে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসে সিলেট থেকে হরষপুর পর্যন্ত আন্দোলন করলেও মৌলভীবাজার লাভবান হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মো. ফয়সল মাধবপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি-চুরির মামলা চাঞ্চল্যকর জিয়া হত্যা: দীর্ঘ এক বছর পর আপন ভাই বাবুল গ্রেফতার, পরিবারের দিকেই সন্দেহের তীর গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র দ্বীবার্ষিক সম্মেলন ও নতুন কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত রেলের টিকেট ঘরে বসে বুকিং আর নয়, স্টেশনে গেলেই “দৈত্যের” হাতে মিলবে রেলের টিকিট! আমিরাতে লটারি জিতে একসঙ্গে ভাগ্য খুলে গেল দুই বাংলাদেশির মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম ১২ কর্মকর্তাকে ঢাকায় না থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ সড়ক উপদেষ্টার “সিলেট পলিটেকনিকে দিনব্যাপী স্কিলস এন্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন সম্পন্ন”

‘বিয়ের আগেই হৃদয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল’

বিয়ের ৪/৫ বছর আগে থেকে হৃদয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল ইতালিপ্রবাসী আলী মতুর্জা (রহিম)-এর সঙ্গে। নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হকের আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছে গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদাউস মিতু (২২)। দেশের প্রথম সারির একটি জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে।

জবানবন্দিতে মিতু জানায়, মিরওয়ারিশপুর ইউপির কেন্দুরবাগ গ্রামের ইতালিপ্রবাসী স্বামী আলী মর্তুজা (রহিম)-এর সঙ্গে ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। আর মো. ইয়াছিন আরাফাত হৃদয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয় ৪/৫ বছর আগে। তাই ভালবাসার টানে চলতি বছরের ২ মাস আগে মো. ইয়াছিন আরাফাত হৃদয় (২০)-এর সঙ্গে স্বেচ্ছায় চলে যাই। আমিই হৃদয়কে মোবাইলে আসতে বলি।

এরপর আমার কথামতো ও চলে আসে। এরপর ওর সঙ্গে ঢাকায় চলে যাই। এর আগে নোয়াখালী এসে কোর্ট ম্যারিজ করি। আমার বাবা হাজী মো. আবদুর রব দুলাল না জেনে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অপহরণের মামলা করে। আসলে আমাকে হৃদয় অপহরণ করে নি। আমি স্বেচ্ছায় ঢাকা থেকে ২/৩ দিন আগে এসে থানায় যাই। থানায় গেলে পুলিশ আমাকে আদালতে পাঠায়।

জবানবন্দিতে তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ১৩ই আগস্ট নোয়াখালী পৌরসভার কাজী মাওলানা এম.এ বাকীর অফিসে ডিভোর্স দেই আলী মর্তুজাকে। একই দিন ভালবাসাকে চির অম্লান করে রাখতে সোনাইমুড়ী থানার নাটেশ্বর গ্রামের মো. ইয়াছিন আরাফাত হৃদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে সিদ্ধান্ত নিই। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করি এবং পরস্পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।

সূত্র জানায়, জান্নাতুল ফেরদাউস মিতু (২২) এক সন্তানের জননী। মিতুর বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। ২০১২ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি হাজী মোমিন উল্যাহর ছেলে আলী মর্তুজা (রহিম)-এর সঙ্গে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এ সময় মুনাহিব ইবনে আলীফ নামীয় পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বর্তমানে ওই পুত্রের বয়স ২ বছর ১০ মাস।

প্রসঙ্গত, গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদাউস মিতু’র পিতা হাজী মো. আবদুর রব দুলাল গত ৫ই আগস্ট ’১৫ কলেজ পড়ুয়া হৃদয় (২০)সহ ৩ জনকে আসামি করে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।1445265943_97464_153

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

যাত্রী আন্দোলনের মুখে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসে সিলেট থেকে হরষপুর পর্যন্ত আন্দোলন করলেও মৌলভীবাজার লাভবান

‘বিয়ের আগেই হৃদয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল’

আপডেট সময় : ১১:১১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

বিয়ের ৪/৫ বছর আগে থেকে হৃদয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল ইতালিপ্রবাসী আলী মতুর্জা (রহিম)-এর সঙ্গে। নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হকের আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছে গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদাউস মিতু (২২)। দেশের প্রথম সারির একটি জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে।

জবানবন্দিতে মিতু জানায়, মিরওয়ারিশপুর ইউপির কেন্দুরবাগ গ্রামের ইতালিপ্রবাসী স্বামী আলী মর্তুজা (রহিম)-এর সঙ্গে ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। আর মো. ইয়াছিন আরাফাত হৃদয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয় ৪/৫ বছর আগে। তাই ভালবাসার টানে চলতি বছরের ২ মাস আগে মো. ইয়াছিন আরাফাত হৃদয় (২০)-এর সঙ্গে স্বেচ্ছায় চলে যাই। আমিই হৃদয়কে মোবাইলে আসতে বলি।

এরপর আমার কথামতো ও চলে আসে। এরপর ওর সঙ্গে ঢাকায় চলে যাই। এর আগে নোয়াখালী এসে কোর্ট ম্যারিজ করি। আমার বাবা হাজী মো. আবদুর রব দুলাল না জেনে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অপহরণের মামলা করে। আসলে আমাকে হৃদয় অপহরণ করে নি। আমি স্বেচ্ছায় ঢাকা থেকে ২/৩ দিন আগে এসে থানায় যাই। থানায় গেলে পুলিশ আমাকে আদালতে পাঠায়।

জবানবন্দিতে তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ১৩ই আগস্ট নোয়াখালী পৌরসভার কাজী মাওলানা এম.এ বাকীর অফিসে ডিভোর্স দেই আলী মর্তুজাকে। একই দিন ভালবাসাকে চির অম্লান করে রাখতে সোনাইমুড়ী থানার নাটেশ্বর গ্রামের মো. ইয়াছিন আরাফাত হৃদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে সিদ্ধান্ত নিই। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করি এবং পরস্পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।

সূত্র জানায়, জান্নাতুল ফেরদাউস মিতু (২২) এক সন্তানের জননী। মিতুর বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। ২০১২ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি হাজী মোমিন উল্যাহর ছেলে আলী মর্তুজা (রহিম)-এর সঙ্গে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এ সময় মুনাহিব ইবনে আলীফ নামীয় পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বর্তমানে ওই পুত্রের বয়স ২ বছর ১০ মাস।

প্রসঙ্গত, গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদাউস মিতু’র পিতা হাজী মো. আবদুর রব দুলাল গত ৫ই আগস্ট ’১৫ কলেজ পড়ুয়া হৃদয় (২০)সহ ৩ জনকে আসামি করে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।1445265943_97464_153