ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

বেঁধে দেয়া সময়েই যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি


মেয়াদ শেষের চার বছরের মাথায় যুবদলের পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে আপাতত স্বস্তিতে বিএনপির হাইকমান্ড। অন্য সময় কমিটি নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও এবার তেমন কোনো তৎপরতা এখনো দৃশ্যমান নয়। নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রত্যাশিত ব্যক্তিরাই পাঁচ পদে স্থান পাওয়ায় আপাত নির্ঝঞ্ঝাট যুবদল। কেন্দ্রীয় বিএনপির বেঁধে দেয়া সময় এক মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার লক্ষ্যে কাজ করছেন নতুন নেতারা।

বিএনপির এই সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১০ সালের ১ মার্চ বিএনপির বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সভাপতি ও সাইফুল আলম নীরবকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি দেয়া হয়। একই বছর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২১১ সদস্যের যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন। পরে সেটি বেড়ে ২৭১ জন হয়।

ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৩ সালের মার্চে। এরপর দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের কমিটি হচ্ছে-হবে বলে গুঞ্জনই ছিল কেবল সার। অবশেষে চার বছরের মাথায় গত ১৭ জানুয়ারি আলোর মুখ দেখে সংগঠনটির নতুন কমিটি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে তিন বছরের জন্য যুবদলের নতুন কমিটির সভাপতি করা হয় সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে।

পাঁচ সদস্যদের এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহসভাপতি মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান।

নতুন সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ছাত্রবিষয়কসহ সম্পাদকের দায়িত্বে।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হওয়ার পর সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করায় গত ডিসেম্বরে যুবদলের আহ্বায়ক করা হয় সহসভাপতি অ্যালবার্ট ডি কস্টাকে।

এদিকে কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি আগামী তিন বছরের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।

যবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর থেকে নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। পদপ্রত্যাশীরাও সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। দলীয় কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে নিজেদের উপস্থিতির জানান দিতে দেখা গেছে তাদের।

জানা গেছে, একদিকে শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে, অন্যদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ক্ষেত্রে কর্মপরিকল্পনাও ঠিক করছেন শীর্ষ নেতারা। বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে যেসব নেতাকর্মী রাজপথে ছিলেন, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন- এমন নেতাকর্মীরা জায়গা পাবেন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে। সাবেক ছাত্রনেতারা এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেতে পারেন বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় নেতৃত্বের জট তৈরি হলেও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যা আগের মতোই ২৭১ থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে যুবদলের হাইকমান্ড।

পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এক মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি করব। বিগত দিনে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন, সাবেক ছাত্রনেতাসহ যোগ্য ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা কমিটিতে জায়গা পাবেন। এখানে কোনো স্বজনপ্রীতি হবে না।’ সদস্যসংখ্যা গত কমিটির মতোই থাকবে বলে জানান নীরব।

যু্বদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যারা বিগত কমিটিতে ছিলেন, ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং যুবদলে রাজনীতি করতে চান, তাদের নিয়ে দ্রুত কমিটি করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। সেখানে যোগ্যরাই স্থান পাবেন।’

বাদরু আরো বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সবচেয়ে সুন্দর পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিতে পারবেন, যারা আগামী দিনে সরকারবিরোধী সফল আন্দোলন করতে সক্ষম হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

বেঁধে দেয়া সময়েই যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৭


মেয়াদ শেষের চার বছরের মাথায় যুবদলের পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে আপাতত স্বস্তিতে বিএনপির হাইকমান্ড। অন্য সময় কমিটি নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও এবার তেমন কোনো তৎপরতা এখনো দৃশ্যমান নয়। নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রত্যাশিত ব্যক্তিরাই পাঁচ পদে স্থান পাওয়ায় আপাত নির্ঝঞ্ঝাট যুবদল। কেন্দ্রীয় বিএনপির বেঁধে দেয়া সময় এক মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার লক্ষ্যে কাজ করছেন নতুন নেতারা।

বিএনপির এই সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১০ সালের ১ মার্চ বিএনপির বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সভাপতি ও সাইফুল আলম নীরবকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি দেয়া হয়। একই বছর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২১১ সদস্যের যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন। পরে সেটি বেড়ে ২৭১ জন হয়।

ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৩ সালের মার্চে। এরপর দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের কমিটি হচ্ছে-হবে বলে গুঞ্জনই ছিল কেবল সার। অবশেষে চার বছরের মাথায় গত ১৭ জানুয়ারি আলোর মুখ দেখে সংগঠনটির নতুন কমিটি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে তিন বছরের জন্য যুবদলের নতুন কমিটির সভাপতি করা হয় সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে।

পাঁচ সদস্যদের এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহসভাপতি মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান।

নতুন সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ছাত্রবিষয়কসহ সম্পাদকের দায়িত্বে।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হওয়ার পর সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করায় গত ডিসেম্বরে যুবদলের আহ্বায়ক করা হয় সহসভাপতি অ্যালবার্ট ডি কস্টাকে।

এদিকে কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি আগামী তিন বছরের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।

যবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর থেকে নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। পদপ্রত্যাশীরাও সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। দলীয় কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে নিজেদের উপস্থিতির জানান দিতে দেখা গেছে তাদের।

জানা গেছে, একদিকে শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে, অন্যদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ক্ষেত্রে কর্মপরিকল্পনাও ঠিক করছেন শীর্ষ নেতারা। বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে যেসব নেতাকর্মী রাজপথে ছিলেন, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন- এমন নেতাকর্মীরা জায়গা পাবেন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে। সাবেক ছাত্রনেতারা এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেতে পারেন বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় নেতৃত্বের জট তৈরি হলেও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যা আগের মতোই ২৭১ থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে যুবদলের হাইকমান্ড।

পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এক মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি করব। বিগত দিনে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন, সাবেক ছাত্রনেতাসহ যোগ্য ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা কমিটিতে জায়গা পাবেন। এখানে কোনো স্বজনপ্রীতি হবে না।’ সদস্যসংখ্যা গত কমিটির মতোই থাকবে বলে জানান নীরব।

যু্বদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যারা বিগত কমিটিতে ছিলেন, ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং যুবদলে রাজনীতি করতে চান, তাদের নিয়ে দ্রুত কমিটি করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। সেখানে যোগ্যরাই স্থান পাবেন।’

বাদরু আরো বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সবচেয়ে সুন্দর পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিতে পারবেন, যারা আগামী দিনে সরকারবিরোধী সফল আন্দোলন করতে সক্ষম হবে।